।। প্রথম কলকাতা ।।
Vijay Diwas 2022: বিজয় দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের সবথেকে গৌরবের দিন। প্রতিবছর বিজয় দিবস পালিত হয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় এবং ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে যে সংগ্রাম রয়েছে তা আজও মনে রেখেছে দুই দেশ। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা পেয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ২০২২ সালে বিজয় দিবস ১৪ থেকে ১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ প্রতি বছর এটি উদযাপন করে। চলতি বছর বিজয় দিবস উদযাপন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, বাংলাদেশের ডি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, এবারের বিজয় দিবসে ৬০ থেকে ৭০ জন ‘মুক্তিযোদ্ধা’ আসবেন।
ভারত সরকার কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়েও আলোচনা করবেন। মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড এর মেজর জেনারেল এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশ শুধুমাত্র ইতিহাস আর সংস্কৃতি ভাগ করে নেয় না, বরং সমসাময়িক সময়ে শক্তিশালী মানুষের সংযোগ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তির উপর নির্মিত একটি সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। ইস্টার্ন কমান্ড মেজর জেনারেল ডিএস কুশওয়াহও এএনআই-কে জানিয়েছেন, ভারত এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে হওয়া ‘প্রথম প্রতিবেশী’ নীতির অধীনে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক অর্জন গুলির মধ্যে রয়েছে স্থল ও সমুদ্রসীমার সীমানা নির্ধারণ, উন্নত যোগাযোগ, সংস্কৃতিক বিনিময় প্রভৃতি। দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত এবং বাংলাদেশ এমন একটি বিশেষ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে যেখানে সামরিক মিথস্ক্রিয়া ভারতের সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতের যোদ্ধারা ঢাকার এই দিবস উদযাপনে অংশ নেবেন।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের আন্দালিব ইলিয়াস বিজয় মাসের শুভেচ্ছা প্রদান করে জানান, এই দুই দেশ রক্ত এবং ঘামের পরীক্ষার মাধ্যমে একে অপরের বন্ধু হয়েছে। বাংলাদেশ গঠনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং ত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, এক সময় ভারত সরকার বিপুল সংখ্যক শরণার্থী থেকে ব্যাপক সহায়তা প্রদান করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার মধ্যে থাকা সম্পর্ক নজিরবিহীন। এই ঘটনাও অনেকটা বিরল যেখানে দুটি দেশ শান্ত ভাবে স্থল বা সমুদ্র সীমার সমস্যার সমাধান করে থাকে।
Kolkata| On Vijay Diwas this yr, 60-70 'Mukti joddhas' will arrive. Cultural programs to be organized by Indian govt. Scholars from both countries will also come & discuss how to take India-Bangladesh relationship forward: Andalib Elias, Dy High Commissioner of Bangladesh(6.12) pic.twitter.com/zqyyjsMrAu
— ANI (@ANI) December 7, 2022
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম