।। প্রথম কলকাতা ।।
Rain Water: বুকে গ্যাস অম্বলের জ্বালা? নিত্যদিন পেটের সমস্যায় ভুগছেন? কোনও ওষুধে কাজ না হলে বৃষ্টির জলেই সমস্যার দাওয়াই পেতে পারেন। চমকে উঠলেন তো? তবে বৃষ্টির জল নিয়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা যা বলছে, তা শুনলে চমকেই যাবেন। তীব্র গরমে স্বস্তির আরেক নাম বৃষ্টি। দীর্ঘ গরমের পর পাওয়া স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে। দু হাত মেলে চোখ বুজে আকাশের দিকে মুখ করে ভেজার মজাই আলাদা।
কিন্তু বৃষ্টির জল খেয়ে দেখেছেন কি? এই জলই শরীরে আনতে পারে জাদুকরী পরিবর্তন। বালতিতে বৃষ্টি জল ধরে রাখছেন মা-কাকিমারা ছোটবেলায় এ দৃশ্য দেখেছেন অনেকেই। পরে এই জল বাড়ির বিভিন্ন কাজে লাগানো হত। এই বৃষ্টির জল যে খাওয়াও যায়, সেটা বোধহয় অনেকেই জানেন না। জানলে অবাক হবেন, বৃষ্টির জল সুস্থ থাকার টনিক হিসেবেও কাজ করতে পারে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, বৃষ্টির জল অনেকটা মধুর মতো। বৃষ্টির জল দারুণ উপকারী। এই জল শরীরের ক্লান্তি দূর করে মন ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। বৃষ্টির জলে থাকা অ্যালকালাইন অ্যাসিডিটি কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়। এই অ্যালকালাইন পিএইচ ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়। এই রোগীদের ক্ষেত্রে তা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজ করে। প্রতিদিন সকালে সংরক্ষণ করে রাখা বৃষ্টির জল ২-৩ চামচ খেলে পাকস্থলীর সমস্যা দূর হয়। বৃষ্টির জলে ঘামাচি দূর হয়। ত্বকের জ্বালাও থাকে না। বৃষ্টির জল ত্বক ও চুলের জন্য ভাল।
কিভাবে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করবেন?
বৃষ্টি পড়া শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা পর জল সংরক্ষণ করুন। এর আগে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। সংরক্ষিত পাত্র পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। দিল্লির মতো যেসব স্থানের পরিবেশ দূষিত সেখানকার বৃষ্টির জল একেবারেই পান করা যাবে না। সেই এলাকায় বৃষ্টির জলে স্নান করাও উচিত নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম