Omicron Sub-variant BF.7: রান্নাঘরের এই ৪ জিনিসের কাড়া আটকাবে ইনফেকশন, করোনা থেকে মিলবে মুক্তি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Omicron Sub-variant BF.7: চীন (China) সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭(Omicron Sub-variant BF.7)। এর সংক্রমণ ক্ষমতা অত্যন্ত মারাত্মক। যার কারণে আশঙ্কায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই ভারতে ৪ জনের দেহে করোনার এই নয়া রূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে তৎপর ভারত সরকার। গত দু’বছরে গোটা বিশ্ব বুঝে গিয়েছে করোনা থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity power) আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ঠিক কতটা জরুরি। একটু সাবধানে থাকলেই এই প্রাণঘাতী রোগকে সহজেই রুখে দেওয়া যায়। আপনি চাইলেই রান্নাঘরে থাকা সামান্য কয়েকটি জিনিস দিয়ে তৈরি কাড়া পান করে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (Omicron Sub-variant BF.7) থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন। এই শক্তিশালী ক্বাথ অর্থাৎ কাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।

করোনা প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মূলত চারটি জিনিসকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিন। সেগুলি হল তুলসী পাতা, দারুচিনি, শুকনো আদা আর কালো মরিচ। চার থেকে পাঁচটি তুলসী পাতা, তার সঙ্গে এক টুকরো আদা, কয়েকটি গোলমরিচ আর এক টুকরো দারুচিনি ফুটিয়ে সকাল সন্ধ্যায় কাড়া পান করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে সূর্য নমস্কারের পাশাপাশি যদি এই চারটি জিনিসের কাড়া পান করেন তাহলে করোনার প্রভাব থেকে রক্ষা পাবেন । এছাড়াও সূর্য নমস্কার এবং ধ্যান করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার নতুন শক্তি যোগায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সকালে কাড়ার পরিবর্তে আপনি ভেষজ চা পান করতে পারেন। শরীরের জন্য উপকারী কয়েকটি পানীয়র কথা জেনে নিন।

(১)আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিপ্পজনক হতে পারে। আদা শুকিয়ে গুঁড়ো বানিয়েও খেতে পারেন।

(২)রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সর্দি,কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি সমস্যা দূর করতে হলুদ বেশ কার্যকর। সাইন্স জার্নালের পাবলিক লাইব্রেরি অনুযায়ী, কাঁচা হলুদের রয়েছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। গরম জল বা দুধের সঙ্গে হলুদ খেতে পারেন।

(৩)ঠাণ্ডা এবং গলা ব্যাথার সমস্যা সারাতে অত্যন্ত সহায়ক তুলসীর ক্বাথ। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বরের মতো মারাত্মক রোগে দেওয়া হয় গিলয়ের ক্বাথ বা রস। এটি স্থান ভেদে কোথাও বা গুলবেল, কোথাও গুরুচি, আবার কোথাও বা গুলঞ্চ নামে পরিচিত। পরিবর্তনশীল ঋতুতে অনেক ধরনের ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে এই উদ্ভিদটি আপনাকে রক্ষা করতে পারে। শীতকালে এটি পান করলে সহজেই সর্দি,কাশি, জ্বর প্রভৃতি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

(৪)ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন এক কাপ লেবু চা পান করুন। এছাড়াও যারা ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য লেবু চাপ খুব উপকারী।

আপনি ইতিমধ্যেই যদি কোন রোগে ভুগছেন এমনটা হয়, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এই ধরনের ক্বাথ পান করা উচিত।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version