Hyperloop Trains in India: বাজ পাখির মতো উড়বে ট্রেন ! ভাসমান টিউবেই লুকিয়ে হাইপারলুপের রহস্য। ভারতের হাতে কী এলো ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Hyperloop Trains in India: বাজ পাখির মতো উড়ে যাবে এই ট্রেন! আকাশে ভাসমান টিউবই রহস্যের আধার? এরোপ্লেন ফেইল, দু দিনের রাস্তা দু সেকেন্ডে? ভারতের হাইপারলুপ বদলে দেবে আপনার আমার চারিপাশ। বুলেটের স্পিড ভুলে যান। রেল ট্র্যাকে সাপের মতো পেঁচিয়ে থাকবে হাইপারলুপ। স্বপ্ন নামছে ভারতের মাটিতে, ৩০ এর আগেই কামাল। কনফার্ম করলো নীতি আয়োগ? আল্ট্রা মডার্ন টেকনোলজি কাকে বলে? ভাবনার আগেই কথা বলবে প্রযুক্তি। ছোঁ মেরে মানুষ তুলে নিয়ে উড়তে পারবে এই ট্রেন। ছোটে না, শূণ্যে ভেসে চলে। কোন ফর্মুলায় কিভাবে জাপানের হাই স্পিড বুলেট ট্রেন শিনকানসেন আর বোয়িং প্লেনকেও টেক্কা দেয় হাইপারলুপ? কী এমন ফিট করা আছে এতে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাইপারলুপ টেকনোলজির ট্রেনের স্পিড যা এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানেও ওই দূরত্ব অত কম সময়ে পেরনো যায় না। এই টেকনোলজির ট্রেন চলবে এমন একটি ভ্যাকুয়াম টিউবের মধ্যে দিয়ে, যেখানে কোনও হাওয়া বাতাস থাকবে না। হাওয়া বাতাস না থাকায় সামনের দিকে এগোতে গেলে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধার মুখে পড়তে হবে না ওই ট্রেনকে। ফলে অত্যন্ত হাই স্পিডে ছুটতে পারবে। তাই এটাকে বলা হয় হাইপারলুপ। যে টেকনোলজি ঘন্টার রাস্তা পার করতে পারবে কয়েক মিনিটে। যে টেকনোলজিতে দূষণ অনেকটাই কন্ট্রোলে থাকবে। কারণ, এগুলো চলবে তড়িৎচুম্বকীয় শক্তিতে। এর সঙ্গে জুড়েছে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন বা ম্যাগলেভ তত্ত্ব। আর এখানেই টুইস্ট। ম্যাগলেভের জন্যই হাইপারলুপ যান এত গতি তুলতে পারে।

জানিয়ে রাখি, এই ট্রেনের লাইনগুলো থেকে খানিকটা ভাসমান থাকে ট্রেন। ট্রেনের নীচে যে চুম্বকীয় লাইনিং রয়েছে, তার থেকে বিকর্ষণের ফলেও যানটি ছোটার সময় ভেসে চলে। অথচ লাইনের উপরে যে ভেসে থাকবে ট্রেন, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা। খানিকটা বালিশের উপরে বসার মতো মনে হবে। এখানেই শেষ নয়। হাইপারলুপ ট্রেনের চলাচল যাতে আরও মসৃণ হয়, সেই কারণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকার দুই সংস্থা। আরও উন্নত মানের ম্যগলেভ তৈরি করায় মন দিয়েছে তারা। আর ভারত? হাইপারলুপ এর অপেক্ষায় মুখিয়ে আছে?অনেক আগেই রেলমন্ত্রকের শীর্ষ স্তরের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক হয়ে গেছিল এক বেসরকারি সংস্থার। অসম্ভব দ্রুত গতির এই ট্রেন ভারতে কিভাবে চালানো সম্ভব, সেইসব টপিক নিয়ে হয়ে গেছে বৈঠক। এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে ভারতে হাইপারলুপ প্রযুক্তির ট্রেন চালানো কতটা যুক্তিসঙ্গত? তা আদৌ সম্ভব কি না, সেটা নির্ধারণ করতে নীতি আয়োগের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাহলে কি শীঘ্রই ভারতের মাটিতে ছুটবে হাইপারলুপ ট্রেন?

নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে সারস্বত বলছেন, এখনই খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না। এখন শুধুমাত্র বিষয়টাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গণ পরিবহণ ক্ষেত্রে শীঘ্রই এই প্রযুক্তি আসছে না ভারতে। তবে, ভবিষ্যতেও আসবে না তেমন নয়।উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকেই এই প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা ছড়াতে থাকে। সেই সময় ‘হাইপারলুপ আলফা’ নামে ৫৮ পাতার একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ্যে এনেছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। আর, ২০২০ সালের নভেম্বরে এই প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম যাত্রিবাহী যান পরীক্ষামূলক ভাবে চালিয়েছিল ভার্জিন হাইপারলুপ নামে আমেরিকার সংস্থা। ভার্জিন হাইপারলুপ এবং হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজিস নামে আমেরিকার দুই সংস্থা ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তির যান বাজারে আনতে চায়। তারপরেই ভারত এই হাই স্পিড হাইপারলুপের মালিক হয় কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version