দুর্নীতিতে লাগাম পরাতে সুপারহিট মোদী! GST নিয়ে বড় ঘোষণা, না জানলেই বিপদ

।। প্রথম কলকাতা ।।

দুর্নীতি রুখতে মোক্ষম অস্ত্র ভারত সরকারের। করফাঁকির চেষ্টা করলে বড় ভুল হবে। কারণ জিএসটিতে বড় পরিবর্তন। আর্থিক প্রতারণা আইনের আওতায় চলে এলো জিএসটি। আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে ইডি। বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তেও আসবে গতি। দ্বিমুখী হাতিয়ারে কেন এতো ভরসা মোদির? ২০০৬ সালের আগের বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে, নতুন বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে ভারত সরকার। যেখানে বলা হয়েছে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট মানে আর্থিক প্রতারণা আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলো জিএসটি কে।

এতে অর্থ পাচারের মতোই, জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর সংক্রান্ত কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবে ইডি। এমনকি, জিএসটি, ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে তথ্য আদান প্রদানেও বিরাট সুবিধা হবে। মানে, ইডি বা আর্থিক প্রতারণার তদন্তে নিযুক্ত অন্য কোনও সংস্থা চাইলেই যে কোনও ব্যক্তির জিএসটি তথ্য এবার হাতের মুঠোয় পেয়ে যাবে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, অনেক সময়ই দেখা যায় জিএসটির তথ্য ইডির হাতে না থাকায় বড় কোনও কেলেঙ্কারি বা আর্থিক প্রতারণার তদন্তে দেরী হয়, সেটাও এবার বন্ধ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত সরকারের এই নয়া পদক্ষেপের কারণে এখন কর ফাঁকি ও নথিপত্র জালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এছাড়াও, জিএসটির অধীনে যে সমস্ত অপরাধ হয়, যেমন জাল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট, জাল চালান সহ নানারকম অপরাধ এখন থেকে পিএমএলএ আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে। জিএসটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে অনিয়মগুলো করা হয়, সেগুলোও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এমনকি ভুয়ো বিলিংয়ের মাধ্যমে সরকারের থেকে কর ফাঁকি ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের। বলতেই হচ্ছে, এই দ্বিমুখী হাতিয়ারে কেন্দ্র অনেকখানিই আস্থা রাখছে। কারণ, এই মোক্ষম অস্ত্র আর্থিক দুর্নীতিতে অনেকটাই লাগাম পরাতে পারবে বলে ধারণা ভারত সরকারের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version