ইন্ডিয়ান আর্মির হাতে সুপার উইপন, পাক-চীনের যম ফিউচার ট্যাঙ্ক! এতেই ভারতের ভবিষ্যৎ সিকিওর

।। প্রথম কলকাতা ।।

বলে বলে শত্রুনাশ করবে ভারতের ফিউচার ট্যাংক। বুক ঢিবঢিব বাড়ছে চীন-পাকিস্তানের। এলএসি-তে হবে তোলপাড়। আগামী সাত বছর পর মোক্ষম সময় ইন্ডিয়ান আর্মির। সাহস আছে, রিপ্লেস করবে রাশিয়াকে। সামনের ৩৫-৪০ বছর, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না ইন্ডিয়ান আর্মিকে। শুধু এই গ্র্যান্ড প্ল্যান এক্সিকিউট এর অপেক্ষা।বিশ্বের সবথেকে বিধ্বংসী হাতিয়ার ভারতের হাতে। ইন্ডিয়ান আর্মির টার্গেট সেট। ভারতের যুদ্ধাস্ত্র আরও বেশি পাওয়ারফুল, আপগ্রেডেড। ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিকল নামে অত্যাধুনিক নতুন প্রজন্মের ‘ফিউচার ট্যাঙ্ক’কে ইন্ডিয়ান আর্মিতে জয়েন করানোর পরিকল্পনা করছে প্রতিরক্ষা দফতর। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ ব্যাটেল ট্যাংকের ওপর জোর দিচ্ছে ভারত। এই ফিউচার ট্যাঙ্ক বহুমুখী অস্ত্রের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে ভবিষ্যতের সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে এবং খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামগ্রিক কার্যকারিতা আরও উন্নত করবে এই ফিউচার ট্যাঙ্ক।

অলরেডি, টেনশনে পড়ে গেছে ভারতের শত্রুদেশ। চীন পাকিস্তানের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পার্বত্য অঞ্চলে এই ট্যাংক বসানো হবে। একবার মোতায়েন করার পর এফআরসিভি পরবর্তী ৩৫-৪০ বছরের জন্য পরিষেবা দেবে! তাই নেক্সট জেনারেশনের উন্নত প্রযুক্তিকে গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়াতে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড ডেটা ব্যাকবোন এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। টার্গেট ২০৩০। ২০৩০ সালের মধ্যেই চার দশকেরও বেশি পুরনো রাশিয়া থেকে আনা টি-৭২ ব্যাটেল ট্যাঙ্ককে রিপ্লেস করবে এই অত্যাধুনিক ফিউচার ট্যাঙ্ক। প্রতিরক্ষা দফতর বলছে, ইন্ডিয়ান আর্মি মোট ১৭৭০টি ফিউচার ট্যাঙ্ক সংগ্রহ করছে। বিদেশ থেকে এই ধরনের ট্যাংক সংগ্রহ করতে চাইছে। মূলত কৌশলগত অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এগুলো সংগ্রহে আগ্রহী নয়াদিল্লি।

তিনটে ধাপে এই কাজ করা হবে। প্রতিটি ধাপে মোট ৫৫০-৬০০টি করে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হবে। এখানে একটা কথা জানিয়ে রাখি, যে ফিউচার ট্যাঙ্কগুলিকে প্রথম ধাপে সংগ্রহ করা হবে, তাতে বর্তমান প্রযুক্তি থাকবে, দ্বিতীয় ধাপে উন্নত প্রযুক্তি থাকবে এবং তৃতীয় ধাপে ভবিষ্যত প্রযুক্তি যুক্ত থাকবে। ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তর আশা করছে। পুরো পরিকল্পনাটা ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে! উৎপাদন শুরু করতে আরও দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগতে পারে। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে, ফিউচার ট্যাঙ্ককে বাহিনীতে জয়েন করানোর টার্গেট রয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ১০-১২ বছরের মধ্যেই শেষ হবে সমস্ত পর্যায়ের কাজ। অলরেডি এই প্রজেক্টের জন্য
৭৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন এই ফিউচার ট্যাংকগুলো হাতে পেলে পরবর্তী ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে এগুলোই হবে ইন্ডিয়ান আর্মির মেইন ব্যাটল ট্যাংক। যা যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মাইলেজ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version