।। প্রথম কলকাতা ।।
ফাঙ্গাল অ্যাকনে অন্য সব অ্যাকনের মত নয়। এটি স্কিনের এক ধরণের অবস্থা। যাকে বলা হয় ম্যালাসেজিয়া ফলিকুলাইটিস (Malassezia Folliculitis)। সাধারণ একনের মতো এই একনেগুলো শুধুমাত্র মুখেই হয়না। এ ধরনের একনেগুলো কপালে, বুকে কিংবা পিঠেও দেখা যায়। ছোট ছোট দানাযুক্ত এই একনেগুলো সাধারণ একনের মতো একটি বা দুটি বড় হয়ে ওঠেনা হয়না। ত্বকের নির্দিষ্ট একটি জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। এসব অ্যাকনের ক্ষেত্রে আপনি যতই AHA, BHA বা কোন একটিভ উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করুন না কেন কোনোও কিছুই কাজ করে না। কারণ ত্বকে ইষ্ট ও ফাঙ্গির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ফাংগাল অ্যাকনে ছড়িয়ে পড়ে।
আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত স্থানগুলোতে এই ফাংগাল একনে বেশি দেখা যায়। যেমন- আমাদের কপালের টি-জোন এ। নাকের দুপাশে, থুতনিতে এবং পিঠে ফাঙ্গাল একনে হয়ে থাকে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ফাংগাল একনে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। ত্বকে ফাংগাল একনে হলে ইচিং বা চুলকানোর সমস্যা দেখা দেয়। বাম্প বা একনেগুলো একই আকারের হয়ে থাকে। মুখে হওয়া ছাড়াও বুকে, পিঠে কিংবা পেছনের অংশে য়েই একনে হয়ে থাকে। মাথায় খুশকি থাকলে ফাংগাল একনে হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
ফাংগাল অ্যাকনে হওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ:
১. আবহাওয়ার প্রভাব
উষ্ণ এবং আর্দ্র অঞ্চলে ত্বকের ইস্টের ব্যালেন্স দ্রুত নষ্ট হয়। একারণে এই জাতীয় আবহাওয়ার অঞ্চলে ফাংগাল একনে বেশি দেখা দেয়।
২. ওষুধের প্রভাব
দীর্ঘ সময় ধরে অ্যান্টি বায়োটিকস সেবনের ফলে কিংবা ত্বকে ব্যবহারের ফলে ফাংগাল একনে বেড়ে যেতে পারে
৩. আমাদের ত্বক থেকে তেল উৎপন্ন হয়। আমাদের স্কিন কেয়ার রুটিনে যদি তেলযুক্ত কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করি তাহলে এই ইস্ট ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকে ফাংগাল একনের দ্রুত ছড়িয়ে যায়।
৪. আমাদের খাদ্যাভ্যাসও কারণে বিশেষ করে খাবারে চিনি বা কার্ব জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি হলে ফাংগাল একনে বেড়ে যায়। কেননা ইস্টের দ্রুত বৃদ্ধির পেছনে চিনি অনেক বেশি দায়ী।
৫.উষ্ণ এবং আর্দ্রতার প্রভাবে,ওয়ার্ক আউট কিংবা জিম থেকে এসে ভেজা কাপড় পরে থাকলে কিংবা গরমে ঘামার কারণে ফাংগাল একনের উপদ্রব বেড়ে যায়।
৬. ফাংগাল একনে আছে এমন কারো সংস্পর্শে আসলে ফাংগাল একনে হতে পারে। এমনকি, জামা কিংবা রুমাল ব্যবহারে এটি ছড়িয়ে যেতে পারে।
কিভাবে মুক্তি পাবেন ফাংগাল অ্যাকনে থেকে
- চিনি এবং সকল ধরণের কার্ব এড়িয়ে চলা
- প্রসেসড ফুড বাদ দেওয়া।
- বেশি পরিমাণ ফ্রেশ সবজি ও ফলমূল খাওয়া।পাশাপাশি ক্যানড ফুড বা প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
- ফলের মধ্যে কলা খাওয়া চলবে না। কারণ তাতে অনেক বেশি মাত্রায় মিষ্টি থাকে যা এই সময় আপনার ফাঙ্গাসকে আরও ক্ষতি করতে পারে।
- Candida albicans যুক্ত রয়েছে এমন খাবার যা এখন তা আপনার ইষ্টকে দূর করতে সাহায্য করবে খাদ্য তালিকায় সেই খাবার রাখতে হবে। যেমন – ডিম, জিরা, হলুদ, লেবু, বাদাম ইত্যাদি।
- সকালে গরম জলে আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের পিএইচ (PH) লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
- যদি আপনি ঘন ঘন অসুস্থতার কারনে হজম, স্কিন কন্ডিশন বা অন্য কোন কারণে মেডিকেশন বা পিল নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রোবায়োটিকস নেওয়া উচিত।
এছাড়া, এক্সারসাইজ বা শরীরে ঘাম ঝরার পর দ্রুত স্নান করে নিলে আপনার ত্বকে ফাংগাল অ্যাকনে ছড়াতে পারবে না। যতটা সম্ভব সুতির কাপড় ব্যবহার করতে হবে। মুখে তুলো বা কটন প্যাডের সাহায্যে টোনারের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে ACV ব্যবহার করতে পারেন। তাতে জীবাণু দ্রুত মারা যাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম