Weather Update: আমফানের মতোই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আসছে? মোচা’র আপডেট জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Weather Update: দুই বাংলায় তাণ্ডব দেখাতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। কবে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোচা? সর্বনাশা মে মাস। আমফানের সঙ্গে মোচা ঘূর্ণিঝড়ের মিল কোথায় জানেন? অমাবস্যায় অশনি সংকেত দুই বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গ -বাংলাদেশের কোথায় কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়টি? আতঙ্কিত হবেন না! আবহবিদরা কী বলছেন জানুন।

আমফানের সঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের মিল পাচ্ছেন আবহবিদরা। দুই বাংলার সুন্দরবন কতটা রিস্কে? ২০২০ সালের ১৬ মে তাণ্ডব দেখিয়েছিল আমফান ঘূর্ণিঝড়।
এবার মোচা ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রহর গোনা শুরু! ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার। কত থেকে কত তারিখের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে মোচা? ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে নোনা জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের হাজার হাজার একর চাষজমি। তছনছ হয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এবার বাংলা কতটা রিস্কে রয়েছে? অমাবস্যার রাতে কোন প্রলয় হতে চলেছে দুই বাংলার উপকূলে?

নানা আন্তর্জাতিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল অনুযায়ী, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাংলাদেশ সীমান্তে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরের যে অংশ বাসা বাঁধবে সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা প্রবল। এই আশঙ্কার বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। বঙ্গোপসাগরে ৯ থেকে ১১ মে এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোচা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড় সৃষ্টি হলে তা ১৩ থেকে ১৬ মে-এর মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে আঘাত হানতে পারে। অমাবস্যায় যেন দুই বাংলার কপালে শনি নাচছে।

বিশেষজ্ঞদের কোন আশঙ্কা বাড়ছে? তারা বলছেন ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি এবং স্থলভাগে আঘাত করার সময় যদি আরও তিন দিন পিছিয়ে ১৭-১৮ তারিখ হয় তা হলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে। কারণ ১৮ মে অমাবস্যার রাত ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হবে। আর সে কারণে জলোচ্ছ্বাসেরও শক্তি বেড়ে হবে ১৫ ফুট। যা শুধু প্লাবিত নয়, ভয়ংকর তাণ্ডব দেখাতে পারে। বরিশাল ও চট্টগ্রাম সহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার এই প্রাথমিক পূর্বাভাসে নিশ্চিন্ত নন। আবহাওয়াবিদ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা। তার মতে, ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আমফানের সঙ্গে এই ঝড়ের অনেক মিল রয়েছে। ১৩ মে ২০২০ সালে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছিল তা পরে আমফানের চেহারা নেয়। আরও চিন্তার কারণ আছে বইকি। যেখানে আমফানের ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছিল প্রায় সেখানেই তৈরি হতে পারে আগামী ঘূর্ণাবর্তটি। আমফানের প্রাথমিক পূর্বাভাসেও ঝড়টি বাংলাদেশ বা মায়ানমারে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরে সেটি পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানে।

আমফানের তাণ্ডবলীলা সহ্য করতে পারেনি দুই বাংলার সুন্দরবন। একরাতের ঝড়ে সে ক্ষতি মনে রয়েছে সকলের। তবে আন্তর্জাতিক আবহবিদরা বলছেন এত আগে থেকে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। তবে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের ঝড়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version