মা ডং সিওকে-র সাথে জুটি বাঁধছেন প্রভাস! শাহরুখ-সলমনদেরও ছাপিয়ে যাচ্ছেন বাহুবলী

সদ্যই মুক্তি পেয়েছে কল্কি 2898 এডি। প্রভাসের (Prabhas) স্টারডমের উপর ভর করেই রিলিজের দু সপ্তাহের মধ্যেই হাজার কোটির ক্লাবে ছুঁয়ে ফেলেছে ছবিটি। বড় সাফল্য তো বটেই। আর এবার শোনা গেল, বিখ্যাত অভিনেতা মাও ডং-র কোলাবোরেট করছেন আমাদের রেবেল স্টার। কেন জানেন?

কারণ সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা মনে করেন, মাও ডং এর মত হেভিওয়েট ভিলেনের সামনে প্রভাসকেই মানায়। তার মধ্যেই রয়েছে সেই সোয়্যাগ। সত্যিই কি তাই? বলিউডের কি কেউ নেই? ঠিক কী আছে প্রভাসের মধ্যে? আজকের ভিডিওতে সেটাই জানার চেষ্টা করব আমরা।

প্রভাসের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের ঈশ্বর ছবির হাত ধরে। সেই সময় ছবির টোটাল‌ বাজেট ছিল ২ কোটি। এবং প্রভাসের পারিশ্রমিক ছিল ২ থেকে ৩ লক্ষ। সেদিন হয়ত কেউ ভাবতেও পারেনি যে, প্রভাসই হয়ে উঠবেন ভারতের সেই সুপারস্টার যিনি হাজার কোটির গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলবেন।

‘বাহুবলী’, মনে আছে সেই কালজয়ী ছবির কথা? একদিন হঠাৎ করেই গোটা ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির ভাবনাচিন্তাই বদলে দিল এই ছবি। এরপর বাহুবলী দ্য কনক্লুশন দেখিয়ে দিল কীভাবে পুরনো সমস্ত রেকর্ড ধুয়েমুছে সাফ করে দিতে হয়। প্রভাসের দক্ষ অভিনয় আর রাজামৌলির নিখুঁত পরিচালনায় ছবির আয় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা। যেখানে বাহুবলীর দ্য বিগিনিং-র আয় ছিল সাড়ে ছয়শো কোটি।

এককথায় ভারতীয় ছবির ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল প্রভাসের বাহুবলী। সেই সাথে বদলে দিয়েছিল ভারতীয় পরিচালকদের চিন্তাভাবনাও। প্রভাসও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি বড় ম্যাচের প্লেয়ার। রাতারাতি তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্যান ইন্ডিয়া সুপারস্টার।

ওদিকে বলিউড তখন ধুঁকছে। একটার পর একটা বাজে স্ক্রিপ্ট, খান-কাপুরদের একচ্ছত্র আধিপত্য, নানা ধরণের কন্ট্রোভার্সিতে তিতিবিরক্ত জনতা। তখন মানুষকে বিনোদনের রসদ জুগিয়েছিলেন প্রভাসই। প্রভাসের হাত ধরেই গোটা ভারত ঝুঁকতে লাগল দক্ষিণের দিকে। অপশনে তো আল্লু অর্জুন, রাম চরণ তেজা এনারাও ছিলেন, তবে মানুষের টান যেন মহেন্দ্র বাহুবলীর দিকেই বেশি।

পরিচালকরাও বুঝে গেছিলেন প্রভাস ম্যাজিকে সবকিছু হতে পারে। মাঝখানে সাহো, আদিপুরুষ মুখ থুবড়ে পড়লেও কুছ পরোয়া নেহি। কারণ ততদিনে তারা বুঝে গেছেন ব্যর্থতা সাফল্যেরই অংশ। আর তারপরেই ‘সালার’ মুভিতে জাস্ট ধামাকা করলেন আমাদের রেবেল স্টার। ওজন ঝরিয়ে মাচো ম্যান প্রভাসের কাঁধে ভর করে উতরে গেল প্রশান্ত নীলের এই ছবি। ২৭০ কোটির বাজেটে তৈরি সালার তুলে আনলো সাড়ে সাতশো কোটিরও বেশি।

আর এখন তো ছবির দ্বিতীয় পার্টের জন্য মুখিয়ে রয়েছে প্রভাসের সমালোচকরাও। সেই কারণেই বোধহয় আজও বিগ বাজেটের ছবি হলেই সবার আগে আসে প্রভাসের নাম। কী মনে হয় আপনার? কেমন হবে স্পিরিট? মাও ডং আর প্রভাসকে একসাথে দেখতে আপনি কতটা উৎসাহী? কমেন্টে জানান আমাদের।

Exit mobile version