বোনমেরো দান করে নজির সলমনের! ভাইজানের জন্য প্রাণ ফিরে পেয়েছিল তরুণী

তিনি বলিউডের (Bollywood) ব্যাড বয়। আবার তিনিই ভারতের প্রথম বোন ম্যারো ডোনার। তার বোন ম্যারো পেয়েই নতুন জীবন পেয়েছে একটি মেয়ে। কে তিনি জানেন? তিনি হচ্ছেন আবদুল রসিদ সলিম সলমন খান (Salman Khan)। ওরফে বলিউডের ভাইজান। কী চমকে উঠলেন তো? চমকে ওঠার মত ঘটনাই বটে।

ভাইজানের কুকর্মের বিবরণ তো আমরা অনেক শুনেছি, তিনি অ্যারোগেন্ট, তিনি বদমেজাজি, এরকম অনেক খবর আমরা হামেশাই শুনে থাকি। তবে এটা ছাড়াও ভাইজানের যে আরো একটা রূপ আছে, সেই গল্প আমরা অনেকেই জানিনা। এরকমই একটা ঘটনার কথা আজ শোনাবো আপনাদের।

এই ঘটনাটি ২০১০ সালের। পুজা নামে এক তরুণীর শরীরে বাসা বাঁধে মারণরোগ। তাও আবার যে সে অঙ্গে নয়। এই মারণরোগ বাসা বাঁধে পুজার বোনম্যারোতে।

ডাক্তাররা সাফ বলে দেন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট না করলে পুজাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা তো বলার কথা বলে দিলেন, কিন্তু বোনম্যারো মিলবে কোথায়? সে তো আর চকলেট, বিস্কিট নয় যে, দোকানে গেলেই কিনতে পাওয়া যাবে। কোথায় যাবেন, কার কাছে পাবেন বোন ম্যারো? এই ভেবে পুজার বাবা মায়ের তখন দিশেহারা অবস্থা।

আর ঠিক এমন সময়ই মসিহা হয়ে এলেন সলমন খান। ঠিক করলেন, পুজার বোন ম্যারোর জোগাড় তিনি করবেন। কিন্তু বোন ম্যারো জোগাড় করবে বললেই তো আর করা যায়না। তার জন্য পেশেন্ট এবং ডোনারের বহুকিছু ম্যাচ করাতে হয়। তখনকার দিনে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টও বেশ ঝক্কির ছিল। তবে সল্লু মিঞা যে মনস্থির করেই নিয়েছেন।

শোনা যায় পুজাকে বাঁচাতে সলমন তার গোটা ফুটবল টিমকে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু শেষমুহূর্তে বাকিরা পিছিয়ে যায়। কিন্তু টিম পিছিয়ে গেলেও সলমন তো পিছিয়ে যাওয়ার নন। তবে কেবল একা সলমন নন। তার সাথে সেদিন তার আরবাজ খানও এগিয়ে এসেছিলেন। সলমন এবং আরবাজের এই প্রচেষ্টায় নতুন জীবন পেয়েছিল ছোট্ট পুজা। সেই সাথে খান ব্রাদার্স হয়ে উঠলেন ভারতের প্রথম বোন ম্যারো ডোনার।

এই কথা কিন্তু আমরা বলছিনা। এই কথা জানিয়েছেন, MDRI এর বোর্ড মেম্বার ডক্টর সুনীল প্রকাশ। এমনকি তিনি তো এটাও জানিয়েছিলেন, সরকারের উপর ভরসা করে থেকেই নাকি তারা ভুল করেছিলেন। সেই সময় দেশের বিভিন্ন বড় বড় গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছিল এই খবর। ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে তো ফলাও করে লেখা হয়েছিল, যা সরকার পারেনি, তা সল্লু করে দিলেন। কী? দারুন ইন্সপায়ারিং ব্যাপার তাই না?

তবে গল্পটা এখানেই শেষ নয়। কিছু বছর আগেই এমনই একটা ঘটনা ঘটে সল্লু মিঞার সাথে। এক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করছিলেন সলমন। এমন সময় দর্শকাসনের মধ্যে থেকে এক মহিলা সলমনের দৃষ্টি আকর্ষণের আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। নজর এড়ায়নি ভাইজানের। সলমন তাকে কথা বলার সুযোগ করে দিলে, ঐ মহিলা জানান, তার মেয়ে অসুস্থ। তার বোন ম্যারোর দরকার। ঐদিন তিনি ঐ মঞ্চভরা লোকের সামনেই মহিলাকে বলেন, আমি আগেই আমার বোন ম্যারো টেস্ট করিয়েছি। আমি জানিনা আমার বোন ম্যারো আপনার মেয়ের সাথে ম্যাচ করবে কি না। তবে যদি মিলে যায় তাহলে আমার সমস্ত বোন ম্যারোটাই আপনার মেয়ের হয়ে যাবে। এত এত দর্শকের সামনে এই কথাটা বলার দম কয়জনের থাকে বলুন তো? আর কারো থাক বা না থাক, সলমনের কিন্তু তা আছে। আর সেটা ইন্ডাস্ট্রির মানুষও অস্বীকার করতে পারেনা। খোদ মিঠুন চক্রবর্তী অবধি সলমনের উদার মনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আপনার কেমন লাগে ভাইজানকে? ভাইজান সম্পর্কে এমন খবর আপনার জানা থাকলে কমেন্টে জানাবেন আমাদের।

Exit mobile version