আজব প্রাণী ইন্ডিয়ান আর্মিতে! আগুন নিয়ে খেলছে ? বর্ডারে ঘাপটি মেরে আছে খতরনাক পাহারাদার

।। প্রথম কলকাতা ।।

শত্রুর কাল, ইন্ডিয়ান আর্মিতে এ কোন আজব প্রাণী? এর ভয়ে থরথর করে কাঁপে চীন পাকিস্তান। লুকিয়ে থাকা শত্রু, সুরানের নিশানায় গোপন জঙ্গি ঘাঁটি। আগুন-পাহাড়-বরফ-জল মানেনা? কী আছে এদের শরীরে? জানেন? LOC তে খতরনাক পাহারাদার। সুরানের ক্ষিপ্রতায় শত্রু দেশের কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। দেখুন আমাদের দেশের ফোর্সের খতরনাক গার্ড। এবার ইন্ডিয়ান আর্মির হাত শক্ত করছে এআই পাওয়ার্ড রোবোটিক সুরান। এই আজব প্রাণী ঘাপটি মেরে বসে আছে ভারতের সীমান্তে? কায়দাতেই কামাল, রীতিমতো হুলস্থূল দেশজুড়ে। চীন পাকিস্তান এর ভয়ে তটস্থ। সুরান, আনম্যান্ড আরমোর্ড ভেইকেল। কঠিন অপারেশনে ইন্ডিয়ান আর্মিকে সাহায্যের ক্ষমতা রাখে এই খতরনাক সুরান। এই রোবোটিক সুরান জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিকে কিভাবে নিশানা করে আন্দাজ নেই আপনার!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোরেই জঙ্গিদের গোপন ডেরা খুঁজে বের করা সুরানের কাছে জলভাত। টার্গেট খুঁজে হিট করতে পারে। সুরানের চোখ আটকে আছে সীমান্তে। যেমন গ্রেনেড হামলা রুখে দিতে জানে, তেমনই প্রয়োজনে মিসাইল ছুড়ে গুঁড়িয়ে দিতে পারে জঙ্গি ঘাঁটি। মানুষের দরকার পড়ে না, অটোমেটিক এই সাঁজোয়া যান ডিসিশন নিতে পারে একাই। যেমন যুদ্ধ করতে পারবে তেমনই‌ বর্ডারে ইন্ডিয়ান আর্মির প্রাণ ও রক্ষা করতে পারে। এরা যেমন সিঁড়ি ভাঙতে পারে দ্রুত, তেমনিই গাছে চড়তে পারে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায়। সেনাবাহিনীকে ঠিক যেমন ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ঠিক তেমনই ডেটা ইনপুট করা যায় এদের সিস্টেমে। আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দিতে পারে, জলে নামতে পারে, গ্রেনেড বা যে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছুড়েও কাবু করা যায় না এই রোবটিক-সেনাদের। যতরকম ভাবেই বাধার প্রাচীর গড়ে তুলুক না কেন জঙ্গিরা, অনায়াসে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই রোবট-বাহিনী।

৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই গাড়িটি চালনা করা যায় কন্ট্রোল রুম থেকে। আবার প্রয়োজনে রিমোট কন্ট্রোল এবং মোবাইল থেকেও অপারেট করা যায়। পেট্রল ইঞ্জিন রয়েছে এতে। এর কার্যক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে কৃত্রিম ষ বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স। গাড়ির নেভিগেশন, অস্ত্র চালনা, নিশানা স্থির করা, আচমকা আক্রমণ হলে তাকে প্রতিরোধ করা, শত্রুপক্ষের গুলি, মিসাইল রুখে দেওয়া এই রোবোটিক সাঁজোয়া যান মাল্টি ট্যালেন্টেড হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড মানে হ্যাল এবং ডিআরডিও-র যৌথ উদ্যোগে এই গাড়ির নকশা বানিয়েছিল ডিফেন্স মাস্টার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।
এই সাঁজোয়া গাড়িতে মেশিন গান বসানো, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইলও লোড করা যায়। আছে ড্রোন সিস্টেম ও প্রতিরক্ষায় এই প্রথমবার রোবোটিক্সের সঙ্গে মিলে গেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যে রোবটের নামেই প্রাণ শোকায় চীন পাকিস্তানের। কারণ, চীন-পাকিস্তান সীমান্তের দ্বৈত হুমকির মুখে যতটা সম্ভব আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ইন্ডিয়ান আর্মিকে। আর তারই পার্ট হিসেবে রোবোটিক সুরান ডেপ্লয় ভারতের বর্ডারে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘সুরান’ মূলত টেলি অপারেটেড আনম্যানড কমব্যাট ভেহিকল যা কাজ করে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের উপর ভিত্তি করে এতে রয়েছে লং-রেঞ্জ ক্যামেরা, কন্ট্রোলার, হাই-এনড প্রসেসর, সেন্সর, পাওয়ার ব্যাকআপ ইত্যাদি। তিনভাবে চালনা করা যাবে এই সাঁজোয়া গাড়ি—রিমোর্ট কন্ট্রোলের সাহায্যে, মোবাইল থেকে টেলি-অপারেট করা যাবে এবং অটোনোমাস সিস্টেম। রণসাজে সজ্জিত সাঁজোয়া যান ইন্ডিয়ান আর্মির অস্ত্রভাণ্ডারকে যে আরও পাওয়ারফুল করছে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। জানিয়ে রাখি, ভারতীয় সেনার শক্তি বাড়াতে সীমান্তে রোবটিক-সেনা মোতায়েন করার ভাবনা দীর্ঘদিনের। যে প্ল্যানিংয়ে সুরান নতুন মাত্রা যোগ করছে।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version