চীনে সিক্রেট অপারেশন! ভারতে আসছে সমু্দ্রের ব্রহ্মাস্ত্র, স্পেনের হাতে বড় সুযোগ

।। প্রথম কলকাতা ।।

স্পেনের ব্রহ্মাস্ত্র হাতিয়ে নিচ্ছে ভারত। চীনের ওপর কি হতে চলেছে সিক্রেট অপারেশন? স্পেন থেকে কাতারে কাতারে এ কী ঢুকতে যাচ্ছে ভারতে? অতল সাগরে কোন ফাঁদ পাততে চলেছে ইন্ডিয়ান নেভি? ভারতেও তৈরি হবে ড্রাগন বধের অস্ত্র। স্পেন থেকে সি২৯৫ সামরিক পরিবহন বিমানের ফার্স্ট ব্যাচ অলরেডি ভারতের হাতে চলে এসেছে। আর এবার ইন্ডিয়ান নেভির জন্য ৬ টা খতরনাক সাবমেরিন তৈরি করবে স্পেন। শুধু তাই নয়, স্পেন প্রযুক্তি হস্তান্তরেও রাজি।

প্রতিরক্ষা ছাড়াও বাণিজ্য-সহ একাধিক বিষয়ে ভারতকে পারফেক্ট পার্টনার বলে মনে করে স্পেন। স্পেন ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স এর হাতে অলরেডি যুদ্ধবিমান তুলে দিয়েছে। আর এবার ইন্ডিয়ান নেভি হবে আরও পাওয়ারফুল। প্রাণ শোকাচ্ছে চীনের। তবে, বিদেশ থেকে অস্ত্র কিনলেও ভারতের মাটিতে যুদ্ধের সরঞ্জাম তৈরিতে জোর দিয়েছে মোদী সরকার। মেক ইন ইন্ডিয়া হবে এবার আরও সমৃদ্ধ। জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালেই স্পেন থকে ৫৬টি সামরিক পরিবহণ বিমান কেনার ডিল হয় ভারতের। ঠিক হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স এর জন্য স্পেনের সিএএসএ সংস্থার তৈরি ৫৬টি সি-২৯৫ সামরিক পরিবহণ বিমান কেনা হবে। ডিল হওয়ার ৪৮ মাসের মধ্যে ১৬টি বিমান স্পেন থেকে উড়িয়ে আনা হয়।
আর ৪০টি বিমান তৈরি করা হবে ভারতে।

এতে একটা বিষয় পরিষ্কার, বিপদ বাড়ছে চীনের। চাপে পড়ে যাচ্ছে একের পর এক শত্রুদেশ। হবে নাই বা কেন?
প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের অস্ত্রের আধুনিকায়ন ঘটাচ্ছে ভারত। নতুন নতুন অস্ত্রও মজুদ করা হচ্ছে ভারতের অস্ত্রভান্ডারে। দাবি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের, বলছে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট। মোদ্দা কথা, বেইজিংকে বলে বলে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারত। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী রেকর্ড পরিমাণ প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করছে ভারত, যা দিয়ে আরও প্রায় ১৩৮-২১২টি পরমাণু অস্ত্র বানানো সম্ভব। তলে তলে অনেকদূর এগিয়ে গেছে ভারত। বর্তমানে ভারতের ১৬০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, আর চীনের ৩৫০টি।

তাহলে কী দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে যখন তখন? চান্স কতটা? দুটো দেশই যুদ্ধে জড়াতে চায়না। কারণ যুদ্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক হবে। ভারত চীনকে ছেড়ে কথা বলবে না। কাজেই দুই দেশই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাইছে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কিন্তু, ভারত-চীন ইস্যউতএ দিনে দিনে যেভাবে টেনশন বাড়ছে তাতে আগামী দিনে এই জল কতদূর গড়ায়, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version