।। প্রথম কলকাতা ।।
মদ খেয়ে বেসামাল অবস্থায় বাইক চালাতে গিয়ে মৃত্য! প্রায়শই এই ধরণের খবর জায়গায় করে নেয় সংবাদ শিরোনামে। এই দুর্ঘটনা রুখতে কতই না নিয়ম কানুন এঁটে দিয়েছে সরকার, চলছে পুলিশি নজরদারি। কিন্তু দিনের শেষে কেউ না কেউ এই দুর্ঘটনার বলি হোন। উৎসব মরসুম এলে সংখ্যাটা যেন এক লাফে বেড়ে যায়। তাই মায়ের কোল যাতে ফাঁকা না হয় তার জন্য দারুন এক প্রযুক্তির হেলমেট তৈরি করল রাঁচির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের চার ছাত্র।
তারা একটি বিশেষ প্রযুক্তি সম্পন্ন হেলমেটের প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে। এটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল মদ খেলে বাইক স্টার্ট হবে না। মনে করা হচ্ছে, এটি যদি বাজারে আসে তাহলে অনেক চালকের প্রাণ বাঁচবে। ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভের ঘটনা অনেক কমে যাবে শহরে।
আরও পড়ুন : Neuralink: মানুষের মাথায় বসবে চিপ! এলন মাস্কের নিউরালিংক প্রযুক্তি নিয়ে সমালোচনার ঝড়
কীভাবে কাজ করবে এই হেলমেট?
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্ররা এই হেলমেটে একটি বিশেষ চিপ যুক্ত করেছে। যা একপ্রকার সেন্সর হিসাবে কাজ করবে। বাইকার যদি মদ খেয়ে থাকেন তাহলে ওই হেলমেট মদের গন্ধ সনাক্ত করে তাঁকে একটি সতর্কবার্তা পাঠাবে এবং বাইক স্টার্ট করতে দেবে না। সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পরে ওই চার ছাত্র। তারা জানিয়েছে, ভবিষতে তারা আরও একটি চিপ তৈরি করতে চায় যার ফলে হেলমেট ঠিক ভাবে না পড়লেও বাইক স্টার্ট করা যাবে না। এই হেলমেট যদি বাজারে আসে তাহলে মদ্যপান ও গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা রোধ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
উক্ত স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষিকা জানান, এই অনন্য হেলমেটের পরিকল্পনা সম্পূর্ণটাই তারা তৈরি করেছে। তিনি কেবল তাদের পথ দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্ররা খুবই প্রতিভা সম্পন্ন। তাদের শুধু নির্দেশনা দেওয়া দরকার। পাশাপাশি তাঁর মতে, বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পদ্ধতির দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত সকলের।
প্রতি বছর মদ খেয়ে বাইক দুর্ঘটনার শিকার হোন হাজারের বেশি মানুষ
মদ খেয়ে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর ফলে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এর মধ্যে বেশিরভাগ ঘটনা অতিরিক্ত গতির কারণে হয়ে থাকে। ট্রাফিক সেফটি বিভাগে কর্মরত ঋষভ আনন্দ জানান, ঝাড়খন্ডে সড়ক দুর্ঘটনার ফলে প্রতি বছর ৩,৫০০ মানুষ প্রাণ হারান। তিনি বলেন, বাচ্চারা দুর্দান্ত একটি উপায় বের করেছে। এই প্রযুক্তি সম্পূর্ণ তৈরি হলে আমি নিজে এই উদ্যোগে সামিল হবো এবং হেলমেট উৎপাদনকারীদের কাছে এটি নিয়ে যাবো।