Neuralink: মানুষের মাথায় বসবে চিপ! এলন মাস্কের নিউরালিংক প্রযুক্তি নিয়ে সমালোচনার ঝড়

Neuralink: প্রযুক্তির দুনিয়ায় সবচেয়ে সৃষ্টিশীল ব্যক্তি হিসাবে নিজের নাম ইতিহাসের খাতায় লিখে রাখতে চান এলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি, মঙ্গলে রকেটের পরিকল্পনার পর এবার মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসাতে প্রস্তুত তিনি। তাঁর দাবি আগামী ৬ মাসেই এই কাজ বাস্তবায়ন হবে।

।। প্রথম কলকাতা ।।

তাহলে কি আগামী বছর থেকেই মানুষের মাথায় চিপ বসতে চলেছে? মানুষের মধ্যে ফের একবার নতুন কৌতূহল জন্ম দিলেন ধনকুবের এলন মাস্কের নিউরো টেকনোলোজি সংস্থা নিউরালিংক (Neuralink)। এলন মাস্কের ঘোষণা, খুব শীঘ্রই মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ চিপ সংযুক্ত করতে চলেছে তার সংস্থা। এই নিয়ে যাবতীয় গবেষণা ও পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে নিউরালিংক। এমনকি তিনি এতটাই আশাবাদী এই প্রযুক্তি নিয়ে যে নিজের ছেলের মস্তিষ্কেও এই চিপ বসালে কোনও দ্বিধাবোধ করবেন না তিনি।

ট্যুইটারে এদিন এলন মাস্ক ঘোষণা করেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে নিউরালিংক ডিভাইসটি মানুষের মধ্যে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। মার্কিন সরকারের এফডিএ এর অনুমোদনের অপেক্ষায় আমরা। তিনি জানান, এটি এমন একটি ডিভাইস যার মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তিরা চারপাশের পৃথিবী উপভোগ করতে পারবে। শারীরিক ভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা স্বাভাবিক ভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে। এক কথায়, মানব সভ্যতায় নতুন জাগরণ সৃষ্টি করবে নিউরালিংক।

নিউরালিংক ডিভাইসটি ঠিক কি?

এটি একটি কয়েনের আকৃতির ডিভাইস যা মানুষের মাথার খুলিতে বসানো হবে। এর ফলে সেই ব্যক্তি শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী হলেও সুস্থ মানুষের মতোই অনেক কাজ করতে পারবে। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনলাইন লাইভস্ট্রিমে এই ডিভাইসটি কথা তুলে ধরেন তিনি। এলন মাস্ক জানান, আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই যন্ত্র মানুষের মাথায় বসিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এর আগে নিউরালিংক বানরের মস্তিষ্কে এই যন্ত্র পরীক্ষা করেছে। তবে প্রক্রিয়াটি ১০০ শতাংশ বাস্তবায়ন করার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন তাও জানিয়েছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন : অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলুন ট্যুইটার, এলন মাস্ক-কে ধমক অ্যাপেলের

 

নিউরালিংক নিয়ে সমালোচনার ঝড়

এলন মাস্ক এবং তাঁর উদ্ভাবন নিয়ে এর আগেও অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে এবার প্রশ্ন যে মানুষের জীবন নিয়ে। লাইভমিন্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ফিজিশিয়ান কমিটি ফর রেসপনসিবেল মেডিসিনের দাবি এই পরীক্ষার ফলে তারা মারা যাওয়ার আগে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ, খিঁচুনি, পক্ষাঘাত, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মতো সমস্যার শিকার হবেন।

এই ক্ষেত্রে যুক্ত গবেষকরা ৮ টি বানরের উপর কেস স্টাডিও করেছিলেন। তারা জানিয়েছেন, একটি ১০ বছর বয়সী মহিলা ম্যাকাকের উপর একটি ছয় ঘন্টার অস্ত্রোপচার করা হয়। এখানে তার মাথার খুলিতে গর্ত করে ইলেক্ট্রোড স্থাপন করা হয়েছিল। এই ইমপ্লান্টের ফল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে ছিলেন তারা। ওই প্রাণীর ত্বক খসতে শুরু করেছিল বার বার সে মাথার বাম দিকে আঁচড় দিচ্ছিলো। যখন ধাতব ইমপ্লান্ট দ্বারা মাথার চামড়া ছিদ্র করা হয় দেখা যায় সেখানে জমাট গাঢ় শুকনো রক্ত।

 

আরও পড়ুন : Google, Apple-র উপর রেগে লাল এলন মাস্ক! স্মার্টফোন বানাতেও তৈরি, দিলেন বড় বার্তা

 

এ ছাড়া আরও একটি বানরের মাথায় এই পরীক্ষা করা হয়। এই অস্ত্রোপ্রচারের ফলে সেই মস্তিষ্কে রক্তপাত হতে শুরু করে
এবং তার ফলস্বরূপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে সে এতটাই বমি করেছিল যে তার খাদ্যনালীতে খোলা ঘা তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

গণমাধ্যমে নিউরালিংকের খবর সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দুনিয়ায়। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানী দের ক্ষেত্রে শোনা গিয়েছে উল্টো সুর। ফিজিশিয়ান কমিটির উচ্চ আধিকারিক রায়ান মার্কল জানান, এলন মাস্ক একজন শোম্যান। যিনি জনগণের কাছ থেকে এই পরীক্ষার ভয়াবহ বিবরণ লুকিয়ে রেখে বড় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তবে আমরা তার উপর পর্দা টানছি।

যদিও এলন মাস্কের দাবি প্রথম মানব ইমপ্লান্টের আগে আমরা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছি। এই প্রযুক্তি নির্মাণে অনেক পরিশ্রম রয়েছে আমাদের। শতভাগ নিশ্চিত হয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Exit mobile version