৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
India-Russia relation: ভারতকে এবার পুতিন যা দেবেন তাতে বিশ্ব অবাক হয়ে যাচ্ছে৷ ভারতের মাটিতে আরও বড়সড় ইনভেস্টমেন্ট এবার রাশিয়ার৷ বন্ধুত্বের ট্যাগ লাগিয়ে আসলে রাশিয়া যে কাজটা করে নিতে চাইছে৷ ভারতও এবার এর ফায়দা তুলবে এবার প্রচুর পরিমাণে৷ ভারতকে এত আগলে রাখার নেপথ্যে মস্কোর আসল চালটা ঠিক কি? ‘দোস্তি সে জাদা কুছ নেহি হোতা’, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়েই এমনটা পরিস্কার বলে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিনিধি৷ ভারত যতই বলুক যুদ্ধ করা রাশিয়ার উচিত নয় তবুও মস্কো একবারও চটে যায়নি ভারতের ওপর৷ ঠিক কেন জানেন? অতীতের দায়ভার মেটানোর চেষ্টা নাকি বর্তমানে মস্কোর তুরুপের তাস আসলে একমাত্র ভারতই?
ভারতবর্ষের মাটিতে অনেক বড় ইনভেস্টমেন্ট করতে চলেছে মস্কো৷ এবার বোমারু বিমান বা রণতরী নয় পরিকল্পনা অনেকটাই বড়, ধামাকাদার৷ সোজা পরমাণবিক স্তরে৷ ভারতরে পরমাণু বোমা দেবে নাকি পুতিন? বিশ্ব হাঁ হয়ে যাচ্ছে৷ ভারত আর চিনকে ছাড়া এমূহুর্তে রাশিয়ার আর কিছুই ভাবতে পারছে না৷ তাই তো, এবার ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পরমাণু চুল্লিগুলির জন্য নিরবচ্ছিন্ন ভাবে উন্নততর জ্বালানি এবং প্রযুক্তি সরবরাহ করতে শুরু করবে মস্কো৷ গত বছর পর্যন্ত ভারতকে ইউটিভিএস পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ করত রাশিয়া৷ কিন্তু চলতি বছরের গোড়া থেকে উন্নততর টিভিএস-২এম জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসেটম কর্পোরেশনের জ্বালানি সংক্রান্ত টিভিইএল শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেকজন্ডার উগরিউমভ৷
তবে ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, ভারতকে এত বড় সাহায্য কেন করছে রাশিয়া? তাও আবার এই যুদ্ধের আবহে৷ বিশেষজ্ঞকা বলছেন এটাও তো সঠিক সময়৷ পুতিন কোন চালটা ক্রেমলিনে বসে চালছেন যার টের পাচ্ছে না নয়া দিল্লি সাউথ ব্লক৷ নাকি সবটাই জানা৷ তামিলনাড়ুর কুড়নকুলমে রাশিয়ার সহযোগিতায় তৈরি দু’টি পরমাণু চুল্লি চালু রয়েছে৷ পুতিন সরকারের সাহায্যেই তৈরি হচ্ছে আরও ৪টি পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লি৷ সেগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে উৎপাদন চালু রাখার জন্য জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি আধুনিকীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছে মস্কো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে ভারতের সাহায্য করে নিজেদেরই বড় ফায়দা করে নিচ্ছে মস্কো৷ কীভাবে? শুনুন, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিবাদে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে বেকায়দায় পড়ে রাশিয়া বুঝতে পারছে ভারত আর চিনের দাম কতটা?
বিদেশে সঞ্চিত প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের মুদ্রাভাণ্ডারে হাত দিতে পারছে না মস্কো৷ রাশিয়ার ব্যাংকগুলিকে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ‘সুইফট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ জার্মানি ও আমেরিকার মতো দেশগুলি রুশ তেল ও গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে রুশ তেল কিনে মস্কোকে অনেকটাই চাপমুক্ত করছে ভারত৷ সেইসঙ্গে চিনও। ওয়াশিংটনের চাপ সত্ত্বেও মোদি সরকার ইঙ্গিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তাই এবার ভারতকে ঢেলে সাহায্য করছে রাশিয়া৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম