চীনে আগুনের বৃষ্টি ইন্ডিয়ান আর্মির! একাই একশ রুদ্রর অ্যাটাক, লাদাখ অ্যালার্টে

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীন সীমান্তে ঢুকে আগুনের বৃষ্টি! দাপিয়ে বেড়াবে ইন্ডিয়ান আর্মি। কপ্টার ‘রুদ্র’র ব্রেকিং নিউজ পিএলএ হেডকোয়ার্টারে টেনশন বাড়াল। বেজিংয়ের জেট-১৯ পাল্টা অ্যাটাক করলেই মাঝ আকাশ হবে চুরমার। গেম চেঞ্জার হতে পারে ভারতের নয়া অ্যাটাক কপ্টার। ইন্ডিয়ান আর্মির একের পর এক চমক গর্বে বুক ফুলছে ভারতের। সহ্য করতে পারবে তো চীন? আকাশ থেকে আগুন আর ইস্পাতের বৃষ্টি। পাকিস্তানের একগুচ্ছ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়ার ঠিক পরের দিনই উত্তর-পূর্বের পার্বত্য এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল রুদ্র। ভারতের দেশীয় অ্যাটাক কপ্টার রুদ্র। জেনে রাখুন এটিই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম আক্রমণকারী হেলিকপ্টার।

এর মানে শত্রুদেশের যে এলাকার ওপর দিয়ে যাবে রুদ্র। সেই এলাকাকে বড় বড় আগুনের গোলা পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে? প্রথমেই যে খবর জিনপিংকে চমকে দিয়েছে সেটা হল লাদাখে নিজেদের দেশকে প্রটেক্ট করার জন্য যে যে যুদ্ধবিমান LAC ঘেষে দাঁড় করিয়ে রেখেছে চীন। তাদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী হল হারবিন জেট-১৯। আর এই দেশীয় রুদ্র তার থেকেও বেশি শক্তিশালী। খতরনাক ফিচারই রুদ্রকে আলাদা করে দিয়েছে বাকি সব কপ্টার থেকে। ইন্ডিয়ান আর্মি জানাচ্ছে ধ্রুব হেলিকপ্টারেরই সশস্ত্র সংস্করণ এই রুদ্র হেলিকপ্টার। যা যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের চরম মোকাবিলা করতে রেডি। রবিবার দেশীয় ্প্র যুক্তিততে তৈরি অত্যাধুনিক হামলাকারী এই হেলিকপ্টার থেকেই আকাশ থেকে মাটিতে ‘আগুন এবং ইস্পাত’ ঝরায় ইন্ডিয়ান আর্মি স্পিয়ার কর্পস।

রুদ্র যে এমন তান্ডব করল এতে এমন কী আছে?

এই কপ্টারের ওজন প্রায় ৫.৮ টন শত্রুপক্ষের সাঁজোয়া গাড়ি, সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করতে এবং পদাতিক বাহিনীকে গোলাগুলি ছুড়ে ধ্বংস করতেই এই কপ্টার তৈরি। এর পাশাপাশি, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শত্রুপক্ষের উপর নজরদারি চালানোরও সহায়ক রুদ্র হেলিকপ্টার। সমতল থেকে পার্বত্য অঞ্চল বেশি উচ্চতায় উড়ানে সক্ষম এই কপ্টার। ৭০ মিলিমিটারের রকেট প্রযুক্তি, ২০ মিলিমিটারের গোলা ছোড়ার বন্দুক এবং আকাশপথে ধাবমান ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের প্রযুক্তি বসানো রয়েছে এই কপ্টারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে ভারতীয় সেনা তাতে বোঝা যাচ্ছে রুদ্রর দম ঠিক কতটা?

উড়ানের প্রস্তুতি থেকে রকেট-গোলার পরীক্ষা প্রতিটি মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। উত্তর-পূর্বের পার্বত্য এলাকায় এদিন অস্ত্রশস্ত্রের সফল পরীক্ষা করা হয়। দিনেই দেখাবো কামাল কিন্তু রাতে পঙ্গু রুদ্রর ক্ষেত্রে কিন্তু এমন কিছুই হবে না। দিনে-রাতে যে কোনও সময় যে কোনও অবস্থান থেকে শত্রুপক্ষের উপর অব্যর্থ আঘাত হানতে সক্ষম এই কপ্টার নাইট ভিশন গুগুল ককপিটে রাতেও নির্ভুল টার্গেটে অ্যাটাক করতে পারবেন পাইলট। এতে রয়েছে ডপলার নেভিগেশন, রেডিও অল্টিমিটার, ইলেকট্রো অপটিক পড। হেলমেট মাউন্টিং সাইট ও হেলমেট পয়েন্টং সিস্টেম। HAL-এর ওয়েবসাইটে হেলিকপ্টার দুদ্র-র কার্যক্ষমতাকে ‘চমৎকার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে লাদাখ সীমান্তে চীনকে সবক শেখাতেই মূলত রুদ্রকে তৈরি করেছে ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version