।। প্রথম কলকাতা ।।
পুতিনের নয়া মগজাস্ত্রে বাইডেন কাত? ইরান-সৌদি-আমিরাতেই লুকিয়ে সোনার চাবিকাঠি! অহংকারেই তছনছ বাইডেনের প্ল্যান? কাস্পিয়ান সাগরের অতলে লুকিয়ে পুতিনের ব্রহ্মাস্ত্র। মধ্যপ্রাচ্যে একটা সফর, অথর্ব করে দিল গোটা পৃথিবীকে? কোন অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মোক্ষম ঘুঁটি? পুতিনের একটা ক্লিকেই ১৮০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে ঘুরে গেল মধ্যপ্রাচ্য। সব হারিয়ে ফতুর? ২৩ কে ভুলবেননা জো বাইডেন।বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে? সম্প্রতি মস্কো সফরের সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে পুতিনের দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক এর রেজাল্ট কতটা মারাত্মক হতে পারে ঘুণাক্ষরেও টের পেয়েছিল কি যুক্তরাষ্ট্র?
না, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকে বসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ইরান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তেহরান এবং মস্কোতে প্রায়ই সফর করেন। তবে এই ক্রুশিয়াল সময়ে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমাদের আধিপত্য যখন ফিকে হয়ে আসছে, সেই সময়ে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের তাৎপর্য অনেক বেশি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শুধু এই বৈঠক তো নয়। পুতিনের সৌদি আমিরাত সফরটাও কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। তাহলে কি পশ্চিমা বিশ্বকে দূরে ঠেলে দেওয়ার প্ল্যানটা অলরেডি সেরে ফেলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? যুক্তরাষ্ট্রকে আড়ালে রেখে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে কোন ডিল করেছে মস্কো? মধ্যপ্রাচ্যের ফিকে হয়ে আসছে পশ্চিমা আধিপত্য?
বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, ইরানই কেবল একমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশ নয়, যেটা মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শক্তিশালী দুই মিত্র। এই দেশ দুটোর সঙ্গেও রাশিয়ার ভালো সম্পর্ক। অনেক দেশই ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের নিন্দা জানালেও, তা থেকে দূরে থেকেছে এই দেশ দুটো কিন্তু বাইডেন কোন পথে হাঁটছেন? বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের পরিবর্তে শুধুমাত্র মার্কিন হীনম্মন্যতা এবং অহংকারের প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন জো বাইডেন সঙ্গে পুতিনের একের পর এক চাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে মধ্যপ্রাচ্যে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছেন বলেই মত বিশ্লেষকদের। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও নড়বড়ে হতে পারে। চান্স আছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মতো মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কিত বিষয়ে সফল সহযোগিতার মাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান-রাশিয়া যেভাবে সম্পর্ক মজবুত করেছে, ঠিক একই কায়দায় গাজা ইস্যুতেও রাশিয়া ও ইরান এক হয়ে গেলে? বিশেষ করে গাজায় ইসরাইলের ব্যাক টু ব্যাক হামলা বন্ধে তেহরান ও মস্কো আরও অ্যাক্টিভ হলে কি হবে যুক্তরাষ্ট্রের?
শুধু যুদ্ধ নয়, ফোকাস যদি হয় বাণিজ্য? গত কয়েক বছরে ইরান এবং রাশিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। তাই ইরান সামরিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা সম্প্রসারিত করতে চাইছে। এরমধ্যে, রাশিয়া ও ইরানের আসন্ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর একটি ইম্পরট্যান্ট বিষয় হবে। অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি ইরান থেকে রাশিয়ায় যেসব পণ্য রফতানি করার কথা এবং ইরান রাশিয়া থেকে যে পণ্য আমদানি করতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।তাছাড়া, দুই দেশের মধ্যেই কাস্পিয়ান সাগর রয়েছে। তাই এই কাস্পিয়ান সাগর ব্যবহার করে বাণিজ্য সহজ করা এখন দুই দেশের মেইন টার্গেট।পণ্য পরিবহনের জন্য সড়কপথের পাশাপাশি রেলপথের ব্যবহার বাড়ানো দরকার বলেও মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
এছাড়া আরও অনেক রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে, যা উভয় পক্ষের স্বার্থের জন্য সহায়ক। পশ্চিমাদের আগ্রাসন ঠেকাতেও ইরান ও রাশিয়ার মতো সমমনা দেশগুলো রাইসি ও পুতিনের নেতৃত্বেই ঐক্যবদ্ধ হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মধ্যপ্রাচ্যের যা পরিস্থিতি তাতে যে সমস্ত সমীকরণ গুলো তৈরি হচ্ছে সবকিছুই আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে যাচ্ছে। এই প্রত্যেকটা সম্ভাব্য ঘটনার একটার পর একটা যদি বাস্তবায়িত হতে থাকে তাহলে সেটা বাইডেনের জন্য যথেষ্ট চাপের হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম