US Elections: ফিলিস্তিন গাজা ইস্যু ! যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মারাত্বক প্রভাব পড়বে

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

US Elections: গাজা যুদ্ধের এফেক্ট বাইডেনের গদিতে, মোড় ঘুরবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে। জো বাইডেনকে হারাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্ত্র হামাস ইস্যু। ইউক্রেন যুদ্ধে বাইডেনের সিদ্ধান্ত নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কি তবে বাইডেন হেরে যাবেন? যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কোন দিকে? বাইডেনের দুর্বল পয়েন্ট ধরে ফেলেছেন ট্রাম্প। সব দোষ গিয়ে পড়ছে হামাসের ঘাড়ে। নির্বাচনের আগে প্রশ্নে জর্জরিত বাইডেন। তবে কি তিনি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে কোনো ভুল করে ফেললেন? গাজা যুদ্ধ নিয়ে বলা কথায় পাল্টি খেলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হামাস নিয়ে এত কথা কেন? কেনই বা বিষয়টা ভাবাচ্ছে বাইডেনকে? তাহলে কি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মারাত্মক এফেক্ট পড়েছে বাইডেনের ক্ষমতায়? শেষমেষ গদি টিকিয়ে রাখতে পারবেন তো? ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও উঠে এল বড় বয়ান।

 

* গাজা যুদ্ধে বাইডেনের ভুল স্ট্র্যাটেজি, জর্জরিত প্রশ্ন বাণে

মুখোমুখি কথার আক্রমণে নামলেন জো বাইডেন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশ উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে কিনা ঘুরে ফিরে চলে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রসঙ্গ! বিশেষ করে বাইডেন আর ট্রাম্পের মধ্যে কথার ঝড় উঠল হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে! বাদ পড়েনি, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গ। দেখুন, এর আগে বহু প্রতিবেদনে আমরা বারংবার বলেছি, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ কিংবা হামাস ইসরায়েলের যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের মোড় ঘোরাতে চলেছে। শুধু তাই নয়, বহু কূটনীতিকদের ধারণা, এই সংকট ফেলে দিতে পারে জো বাইডেনের গদি। তাহলে কি সেই আশঙ্কাই সত্যি হবে? কারণ ইতিমধ্যেই ট্রাম্প আর বাইডেনের মুখোমুখি বিতর্কের পর বাইডেন সমর্থকরা একদম চুপ। মধ্যপ্রাচ্যের সংকট কিংবা যুদ্ধ প্রসঙ্গে যেভাবে বাইডেনকে খুঁচিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, ট্রাম্প কিন্তু বুঝে গিয়েছেন বাইডেনের দুর্বল জায়গাটা কোথায়?

 

প্রশ্নটা তো এখানেই। তাহলে কি, হামাস ইসরায়েলের যুদ্ধে বাইডেন বড় ভুল কোনও স্টেপ নিয়ে ফেলেছেন? রাশিয়ার যুদ্ধের প্রথম থেকেই পুতিনকে বাইডেন দোষারোপ করেছেন। কিন্তু যখন ইসরায়েল আর হামাসের যুদ্ধের প্রসঙ্গ এসেছে, তখনই বাইডেন ঘুরে গিয়েছেন ইসরায়েলের দিকে। সেখানে সমস্ত দোষ তিনি দেখছেন হামাসের মধ্যে। ট্রাম্প কি তাহলে, দেখে দেখে সেই পয়েন্টটাকেই টার্গেট করলেন? দেখুন, যদি ইসরায়েল আর হামাসের যুদ্ধের প্রসঙ্গ আসে, তাহলে গত অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করেছিল। তাতে বহু ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারান। শুধু তাই নয়, এখনো হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন বহু ইসরায়েলি নাগরিক। তারই পাল্টা, গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

 

প্রথম থেকেই নেতানিয়াহু বলে এসেছেন, তাঁর লক্ষ্য একমাত্র হামাস নির্মূল করা। কিন্তু মাঝে যে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে গাজা বাসীকে, তা নিয়ে তাঁকে কম সমালোচিত হতে হচ্ছে না। একটা সময় জো বাইডেন এই বিতর্ক বলুন কিংবা সমস্যা, এখান থেকে নিজের পিঠ বাঁচাতে, নিজের ইমেজ ঠিক রাখতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধেও কথা বলেছিল। কিন্তু বলে রাখা ভালো, কখনই তিনি ইসরায়েলের হাত ছাড়েননি।

 

এই জায়গাটাই দাঁড়িয়ে, বাইডেন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প, দুজনের নীতি একই। দুজনেই ইসরায়েলকে অত্যন্ত কাছের বন্ধু রাষ্ট্র বলে মনে করেন। যাই হয়ে যাক না কেন, যুক্তরাষ্ট্র আগাগোড়াই ইসরায়েলের পাশেই থেকেছে। কিন্তু যখন গাজা কিংবা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের প্রসঙ্গ এসেছে, তখন বাইডেন আর ট্রাম্পের মতের মধ্যে মিল নেই। এই যে এতদিন ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে, এই যুদ্ধের কারণে ট্রাম্প দোষারোপ করছেন বাইডেনকে। বাইডেনের কারণেই নাকি, এই যুদ্ধ এত দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বাইডেনের ভুল কূটনৈতিক স্ট্র্যাটেজি কিংবা পররাষ্ট্রনীতির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গাজার মানুষকে। ট্রাম্প যে এত বড় অভিযোগ করলেন, এটা কতটা সত্যি? আরও একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন বাইডেনের বিরুদ্ধে। কিন্তু তা কতটা ধোপে টিকল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে? সে প্রসঙ্গে একটু পরে আসছি।

 

* পুতিন যুদ্ধাপরাধী, ইসরায়েল কেন নয়? হামাস কী দোষ করল?

প্রায় চার বছর পর মুখোমুখি বিতর্কে দাঁড়িয়েছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। সেখানে যে দুজনের কথা একদমই হালকা ছলে হবে না, তা তো বুঝতেই পারছেন। তার উপর যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ। যেখানে আগামী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী করবেন একজন বর্তমানে প্রেসিডেন্ট আর একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। দুজনের বিতর্কই বলে দিচ্ছে, যেন একটা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হয়ে গেল। সিএনএন’এর আটলান্টা স্টুডিওতে আয়োজন করা হয়েছিল এই প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। প্রথা অনুসারে, করমর্দন করার কথা, কিন্তু বিতর্ক মঞ্চে উঠে জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প একে অপরের সাথে হাত মেলাননি।

 

বুঝতে পারছেন, আগামী দিনে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন ঠিক কতটা টক্কর দিতে চলেছে একে অপরকে? ট্রাম্প তো প্রথম থেকেই, বাইডেনকে একের পর এক দুর্বল পয়েন্টে গিয়ে টার্গেট করতে থাকেন। বিশেষ করে বাইডেনের জমানায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হাল, কর, স্বাস্থ্য পরিষেবা, এমনকি আফগানিস্তানের থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, সেই সমস্ত প্রসঙ্গও তুলেছেন ট্রাম্প। বাইডেন নাকি জাতীয় নিরাপত্তায় অবহেলা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেননি। একদিকে ট্রাম্প যখন তার কড়া নিশানায় বাইডেনকে রেখেছেন, তখন চুপ করেন ছিলেন না বাইডেনও। তিনি ট্রাম্পের জমানার ক্যাপিটল হিংসা, ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া, কোভিড নীতি প্রভৃতি নিয়ে রীতিমত কড়া আক্রমণ শানান।

 

গোটা বিশ্ব দেখেছে, একটা সময় ট্রাম্পকে বারংবার ছোটাছুটি করতে হয়েছিল আদালতে। এমনকি আদালত তাঁকে জরিমানাও করেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলতে ছাড়েননি বাইডেন। তাঁর কথায়, একজন অপরাধীর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া আদৌ নৈতিকভাবে ঠিক কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার। কিন্তু কি বলুন তো? দুই প্রার্থীর মধ্যে বিতর্ক হবে, একে অপরকে নিশানা করে কথা বলবে, এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ গুলো আসছে, তখন কেউ সেই উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, আবার কেউবা তার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে।

 

এই বিতর্কের সঞ্চালক ডানা বাশ যখন রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে পুতিনের দেওয়া শর্ত তোলেন, তখন কিন্তু ট্রাম্প প্রথমে সেই উত্তর দিতে চাননি। বরং বিষয়টা এড়িয়ে যেতে চাইছিলেন। আসলে পুতিন শর্ত দিয়েছিলেন, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না। আর এই শর্ততে যুক্তরাষ্ট্রের আগাগোড়াই আপত্তি। বিতর্কে সঞ্চালক দ্বিতীয়বার আবার একই প্রশ্ন করেন ট্রাম্পকে। যদিও তখন ট্রাম্পের উত্তর না দিয়ে উপায় নেই। একটা বিতর্ক মঞ্চে তিনি আর কতক্ষণই বা চুপ থাকবেন। শেষে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের শর্তের তাঁর সায় নেই।

 

তবে হ্যাঁ, এই যে পুতিনের শর্তে বাইডেনের যে সায় নেই, সে প্রসঙ্গে কিন্তু বাইডেন যাননি। বরং তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন, পুতিন একজন যুদ্ধাপরাধী। অপরদিকে উল্লেখযোগ্যভাবে গাজার যুদ্ধের জন্য সরাসরি দায়ী করেন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে। পুতিন নাকি পুরনো সোভিয়েত সাম্রাজ্য আবার প্রতিষ্ঠা করতে চান বলেও বাইডেন অভিযোগ তুলেছেন। উল্টে সঞ্চালকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন, “পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে চান বলে কি আপনি মনে করেন?” “পোল্যান্ডে, বেলারুশে, ন্যাটো দেশগুলোতে কি ঘটছে বলে আপনি মনে করেন?” বাইডেন আরো জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধের চেয়ে বেশি অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আর এইসব কারণেই যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী।

 

এ কথা মানতেই হবে যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী। না, সেখানে কোন খাদ নেই। কিন্তু কি বলুন তো, যখন কম শক্তিশালী দেশগুলো একজোট হয়ে লড়াই করবে, তখন কিন্তু তারা যুক্তরাষ্ট্রের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর সেটাই তো হচ্ছে । যুক্তরাষ্ট্র কোথাও গিয়ে যখন দম্ভ করে কিংবা বড়াই করে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছে, তখন সেই আধিপত্যবাদ মানসিকতা মেনে নিতে চাইছে না বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো। ইতিমধ্যেই চীন রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সহ বহু রাষ্ট্র একজোট হতে শুরু করে দিয়েছে। প্রশ্নটা হল, এই জোট শক্তির কাছে যুক্তরাষ্ট্র পেরে উঠবে তো? আজকের বলা বাইডেনের কথাগুলো হয়তো থেকে যাবে। কিন্তু আজ যুক্তরাষ্ট্র যে জায়গায় রয়েছে, সেই জায়গাটা ধরে রাখতে গেলে কয়েক দশক পর দেশটাকে রীতিমত লড়াই করতে হবে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

 

* ঘুরেফিরে হামাসকে দোষারোপ, পাল্টি খেলেন ট্রাম্প!

দেখুন, আগামী নভেম্বর মাসটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভীষণ ভাইটাল। ওই মাসেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের প্রচারে সুর চড়াচ্ছেন। সেখানে বিন্দুমাত্র খামতি রাখছে না। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যখন গোটা বিশ্বের নানান প্রসঙ্গে নাক গলায়, তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সেই প্রসঙ্গগুলো উঠে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটা উঠছেও। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কি বলুন তো? দেশটার জনমত সমীক্ষা গুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, বাইডেনের তুলনায় নাকি একটু এগিয়েই রয়েছেন ট্রাম্প। যদিও এটা চূড়ান্ত ফলাফল নয়। কিন্তু বিষয়টা বেশ ভাবাচ্ছে বাইডেনকে। অপরদিকে আবার কিছু কিছু সমীক্ষা ট্রাম্পের যুক্তি গুলোকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে না।

 

এমনি থেকেই, গাজা ইসুকে কেন্দ্র করে বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের একাংশের বিরোধিতা মুখে রয়েছেন তিনি। যখন বিতর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, হামাস আর ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করতে তিনি কি করবেন? উত্তরে তখন বাইডেন কি বলেন জানেন? হামাস নাকি এই যুদ্ধের শেষ চায় না। প্রসঙ্গত বলে রাখি, কিছুদিন আগেই হামাস আর ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি করানোর জন্য বাইডেন আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। যেখানে হামাস ইতিবাচক ভাবে কিছুটা সায় দিলেও, নেতানিয়াহু যুদ্ধ বিরতি নিয়ে খুব একটা এগিয়ে আসেননি। যদিও হামাস তাদের দাবিতে ছিল একদমই অনড়, এখনো আছে। বাইডেন কিন্তু ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ঘুরেফিরে সেই একই পয়েন্টে তিনি ফিরে গিয়েছেন। বলেছেন হামাসকে নির্মূল করতে হবে।

 

গত এপ্রিলেই কিন্তু গাজা যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের মুখে ছিল অন্য সুর। তখন তিনি বলেছিলেন, এই যুদ্ধ দ্রুত থেমে যাক। সাধারণ মানুষ যেন আর হত্যার শিকার না হয়। কিন্তু এখন ট্রাম্প ভোট ব্যাংকের জন্য পুরোটাই পাল্টি খাচ্ছেন। বিতর্কে বলেছেন, ইসরায়েল চায় যুদ্ধ চলুক। আর সেই যুদ্ধ চালাতে আর কাজ সম্পন্ন করতে দেওয়া উচিত। অর্থাৎ গাজায় যে যুদ্ধ চলছে তাতে সহমত ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

 

ট্রাম্প এর আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস হামলাই চালাতে পারত না। শুধু তাই নয়, তিনি বাইডেনকে বোকা বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বাইডেনের বিদেশ নাকি খুবই ভয়ংকর। তখন ট্রাম্প ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছিল, যদি এভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যায় তাহলে তারা আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাতে পারে। আর সেটাই হচ্ছে।

 

দেখুন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের সামনে এখন একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জ। শুধু দেশটার অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নয়, দেশটার বাইরে অর্থাৎ অন্যান্য দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্র নীতিগুলো কোন ব্যক্তি সুচারুভাবে সামলাতে পারবেন, তার দিকে ঝুঁকবে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। আপাতত সেই ট্রেন্ডটাই দেখা যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু সেই জায়গাটা ধরে ফেলেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই বিতর্কে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি যদি নির্বাচনে যেতেন, তাহলে ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাবেন। যদিও নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প এমন ধরনের কথা বলে থাকেন। কিন্তু তিনি কীভাবে যুদ্ধ থামাবেন, তা কিন্তু স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। আপাতত নির্বাচনের ফলাফলই বলবে, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কাকে আগামীতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version