পৃথ্বী মিশাইলের ৩ অবতার কাফি! হাফ পাকিস্তান উড়ে যেতে পারে

।। প্রথম কলকাতা ।।

পৃথ্বী মিশাইলের ৩ অবতার কি করে দিতে পারে জানা আছে? চীন আগে থেকে কোনও ক্ষতি করার আগে একবার পৃথ্বীর কথা ভাবে। কেন এখন রাতেও মিশাইল টেস্ট করে ভারত? পৃথ্বী ১, ২, এবং ৩ সর্বনাশের তিন স্তরের খুঁটিনাটি আজকের প্রতিবেদনে। ভারত এখন আগে থেকে চীন-পাকিস্তানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় না। অতীত ভারতকে বদলে দিয়েছে অনেকবেশি। আর সেই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পৃথ্বীর জন্ম। এক একটা নম্বর নির্দেশ করে শত্রুদেশের অশান্তি কতটা বেগে বাড়বে। ১৯৮৩ সাল ডক্টর এপিজে আবদুল কালামের ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিশাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অন্তর্গত প্রথম মিশাইল ছিল পৃথ্বী। এটা ভারতে তৈরি প্রথম ক্ষেপনাস্ত্র। আর্মি, বায়ুসেনা ও নৌসেনা একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারে পৃথ্বীর ডেভেলপ হওয়ার ৩ টে ভ্যারিয়েন্টকে সেটাই হল পৃথ্বীর আসল কামাল।

পৃথ্বী-১:

পৃথ্বী-১ একটি সারফেস টু সারফেস ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল। এখনকার তুলনায় বেশ কম রেঞ্জ ছিল ১৫০ কিমি। বর্তমানে এই মিশাইল সার্ভিসে নেই বা এর ব্যবহার করা হয় না। কারণ এর রেঞ্জ কম।  ৪.৪ টনের পৃথ্বী ১ নিজের সঙ্গে ১ টনের বোমা নিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম ছিল। একে স্পেশাল ইন্ডিয়ান আর্মির জন্যই বানানো হয়েছিল।

পৃথ্বী- ২:

এরপর আসে পৃথ্বী- ২, আধভাগ পাকিস্তানকে টার্গেট করতে পারে শর্ট-রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল পৃথ্বী-২ ভারতের পারমাণবিক শক্তি ভাণ্ডারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যে কোনও অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিশাইলকে বুদ্ধু বানিয়ে নিমেষে টার্গেটে পৌঁছে ৩৫০ কিমি রেঞ্জের পৃথ্বী-২। ৫০০-১০০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করার ক্ষমতা আছে ৪৬০০ কিমি পৃথ্বী-২ এর। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েও সাড়ে ৩০০ কিমি আওতার মধ্যে কোনও লক্ষ্যে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে পৃথ্বী-২। রাতের অন্ধকারে খেল দেখিয়ে কীভাবে বাজিমাত করে পৃথ্বী ২ বোঝা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। ওড়িশা উপকূল থেকে এর পরীক্ষা করার সময় প্রথমে পৃথ্বী ২ ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, তবে পরে একে ভারতীয় নৌসেনাতেও সামিল করে নেওয়া হয়।

পৃথ্বী ৩:

সারফেস টু সারফেস ব্যালিস্টিক মিশাইল পৃথ্বী ৩। এর রেঞ্জ অনেকটাই বেশি ৬০০ কিমি। ১ টনের পে লোড বহনে সক্ষম পৃথ্বী ৩। যে কোনও ফাইটার প্লেন থেকে লঞ্চ করা সম্ভব। মূলত ভারতীয় নেভির জন্য তৈরি করা হয়েছিল পৃথ্বী ৩। যুদ্ধজাহাজ থেকে সারফেসে অ্যাটাক করার ক্ষমতা রয়েছে। আইএনএস সুভদ্রার থেকে ২০০০ সালে পৃথ্বী-৩ এর পরীক্ষা হয়েছিল।

প্রতিরক্ষা মহল বলছে, আগে বিজ্ঞানীরা সকালে বা দুপুরে ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা করত কিন্তু এখন ভারত রাতেও মিশাইল টেস্ট করে যাতে রাতের অন্ধকারে পড়শী কোনও দেশ হামলা করলে যাতে ভারতও তার মুহ তোড় জবাব দিতে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version