INDIA alliance meeting postponed: স্থগিত INDIA জোটের বৈঠক, কারণ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা

।। প্রথম কলকাতা।।

INDIA alliance meeting postponed: বুধবার ইন্ডিয়া জোটের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ১৮ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে সেই বৈঠক হতে পারে। রবিবাসরীয় সকালে চার রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলে যখনই ইঙ্গিত মিলেছিল যে গো-বলয়ে কংগ্রেসের ভরাডুবি হচ্ছে, ঠিক তখনই জোটের বৈঠক ডেকে বসেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পৌরহিত্ব্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রথম বৈঠক বসেছিল পাটনায়। এরপর দ্বিতীয় বৈঠক হয় বেঙ্গালুরুতে। জোটের নাম ঠিক হয় সেই বৈঠকে। এর পরের মুম্বইয়ের বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন কমিটি গঠন হয়। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট এরপরই কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিল। নিত্যদিন একে অপরকে আক্রমণও করছে শরিকি কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি জল্পনা শুরু হয় ইন্ডিয়া জোটের ভাঙন নিয়ে। তার মাঝেই এই বৈঠকের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হতে পারে। তারিখটা সম্ভবত ১৮ ডিসেম্বর। ওইদিন বিরোধী দলগুলির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানদের বৈঠক হবে। জানা যাচ্ছে জোটের নেতাদের তারিখ ফাঁকা পাওয়ার কথা মাথায় রেখে ওই তারিখটা নির্বাচন করা হয়েছে।

কংগ্রেসের ডাকা এই একতরফাভাবে বৈঠকের সিদ্ধান্তে রীতিমত অসন্তোষ দেখা দেয়। এই বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয় জোট শরিকদের অনেকেরই। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বৈঠকে আহ্বান করা হয়নি বলে দাবি জানিয়েছেন । দিল্লিতে কংগ্রেসের ডাকা বুধবারের বৈঠকে অধিকাংশেরই উপস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি জোট শরিকেরা বিক্ষুব্ধ? সেই কারণেই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক স্থগিত করে দিল কংগ্রেস? তেইশের শেষে তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি চব্বিশের আগে বিরোধী জোটে বড়সড় ফাটল ধরাচ্ছে, তা স্পষ্ট। আজকে ডাকা এই বৈঠকের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই উঠতে শুরু করে একাধিক প্রশ্ন । পরিস্থিতি বুঝেই কংগ্রেস নেতৃত্ব খানিক পিছু হটে ইন্ডিয়া-র বৈঠক স্থগিত করে দেয়।

উল্লেখ্য, বিরোধীদের জোটে একধাক্কায় গুরুত্বও কমে গিয়েছে কংগ্রেসের। সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের হম্বি তম্বি যে কোনও দল মেনে নেবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোটকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।

বিরোধী দলগুলি কংগ্রেসকেই নিশানা করেছে। কারণ একটাই একের পর এক রাজ্যে পরাজয়। রাজ্যগুলিতে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট গঠন না করাকেই এর কারণ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। সমাজবাদী পার্টি মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনে আলাদা করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ভারত জোটের অংশ হওয়া সত্ত্বেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু কমলনাথ এসপি-র সঙ্গে জোট গড়তে অস্বীকার করেছিলেন। সেই কারণে ভোট ভাগাভাগি হয়ে বিজেপি লাভবান হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version