।। প্রথম কলকাতা ।।
Piles Problem: ২০ বা ২৫ হতে না হতেই শুরু হচ্ছে পাইলসের সমস্যা। মলদ্বারের ভিতরে ও বাইরে অসহ্য যন্ত্রণা কেন হয় জানেন? পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া অত সহজ নয়! আচ্ছা অপারেশন কি করাতেই হয়? এদেশে নয়! বিদেশে পাইলসের চিকিৎসা সবচেয়ে সহজ ৭ টি উপায় ঘরে বসে নিয়ম করে মানুন। আমেরিকান চিকিৎসা পদ্ধতিতে পাইলস কমবেই। কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যা যাঁদের থাকে তারাই বেশিরভাগ পাইলসে আক্রান্ত হন। মলদ্বারে কাঁটা ফোটার মত ব্যথা। ভাবলেই শিউরে উঠছেন তো? কোন কিছু করেই যেন পাইলসকে পুরোপুরি কমানো যায় না। এই ঘরোয়া টিপসগুলো ট্রাই করে দেখুন তো।
আমেরিকান চিকিৎসকরা কিছু সহজ পদ্ধতি বলছেন পাইলসের ফোলাভাব থেকে আরাম পেতে মলদ্বারে আইসপ্যাক লাগান। পাইলসের জন্য ভীষণ কাজের একটি কাপড় বা তোয়ালে এক টুকরো বরফ মুড়ে রাখুন এটি ব্যথার জায়গায় কমপক্ষে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন এভাবে আরাম পাবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বেগ আসছে না, কিন্তু এক জন টয়লেটে বসে দীর্ঘ ক্ষণ মলদ্বারে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন এটা করতে করতেই পাইলস ধরে ফেলছে আপনাকে। শরীর শুকিয়ে গেলে পাইলসের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত জল পান করুন এর পাশাপাশি আদাকুঁচি, লেবু ও মধু মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার জল খেলে এই সমস্যা কমতে পারে। কটি তুলোর বলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার লাগিয়ে নিন ব্যথার জায়গায় সেটি লাগান। শুরুতে কিছুটা জ্বালা করতে পারে কিন্তু আস্তে আস্তে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এছাড়া এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন এতে পেট পরিষ্কার হবে ওই ব্যথাও কমবে।
ডায়েটের মধ্যে আপনি নিয়মিত জাম রাখুন। সব সিজনেই পাওয়া যায়। খাবারের কিছু বদল আনলেই পাইলস থেকে রেহাই মিলতে পারে। জাম পাইলসের সমস্যা কমাতে পারে এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে দিনে ২-৩টি জাম খেলেই যথেষ্ট বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাচীনকাল থেকে পাইলসের চিকিত্সায় অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে সমস্যার জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগালে জ্বালা যন্ত্রণা এবং চুলকানি একইসঙ্গে কমবে। এমনকী দ্রুত গতিতে শুকিয়ে যাবে। ক্ষত ডায়েটে রাখতে হবে ফল, শাক সবজির মতো একাধিক ফাইবার রিচ খাবার আপনার হাতের কাছে থাকা নারকেল তেল ব্যবহার করলেই এই সমস্যাগুলির সহজ সমাধান করা যায়। আসলে নারকেল তেল হল ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার তাই সমস্যার জায়গায় এই তেল লাগালে উপকার মিলবে।
পাইলসের সমস্যায় ভুক্তোভাগী রোগীরাই একমাত্র জানেন যে জীবনে এই সমস্যার কতটা ভয়ানক রূপব ধারণ করে।
সার্জারি করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এই কথা শুনেই অনেক রোগীর পিলে চমকে যায়! তাঁরা আর যাই হোক অপারেশন করাতে রাজি হন না। আর এই ফাঁকেই রোগ নিজের দাপট বাড়তে থাকে। তাই বারাবারি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম