Child Care: অত্যাধিক চাপ নয়, দিন সঙ্গ, সৃজনশীল হয়ে উঠবে আপনার সন্তানও

।। প্রথম কলকাতা।।

Child Care: মা-বাবারা সাধারণত নিজেদের সন্তানকে নিয়ে ছক ভাঙতে খুবই ভয় পান। কিন্তু প্রত্যেকটি শিশুর বেড়ে ওঠার একটা নিজস্ব ছন্দ থাকে । সেটা ভুলে গেলে চলবে না । তাকে তাঁর জগতে তাঁর মতো করে বেড়ে উঠতে দিন । অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবেন না তার উপরে। নিজের ইচ্ছে কোনভাবেই নিজের সন্তানের উপর চাপিয়ে দেবেন না। বরং সে যেই সহজাত গুণগুলি নিয়ে জন্মেছে তাতে উৎসাহ প্রদান করুন । সে যদি সবসময় হাতের রঙ পেনসিল নিয়ে ঘুরতে ভালোবাসে তবে তাঁর সামনে এগিয়ে দিন একটা সাদা পাতা অথবা সে যদি খেলনা গিটার নিয়ে গান করার চেষ্টা করে তবে তার জন্য চালিয়ে দিন ভালো ভালো কিছু গান।

বাচ্চাদের উৎসাহ এবং আকর্ষণের জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবেন না । আপনার শিশুর উৎসাহ রয়েছে যেক্ষেত্রে সেই ক্ষেত্রে তাকে আরও উৎসাহ প্রধান করলে একদিন ছোট্ট একটি বীজ পরিপূর্ণ বৃক্ষে পরিণত হয়ে উঠবে।

* সৃজনশীলতাকে বলুন হ্যাঁ

আপনার সন্তানকে সৃজনশীল হওয়ার সুযোগ দিন । তাকে পর্যবেক্ষণ করুন সে কোন কাজটি করতে বেশি ভালোবাসে । সাদা পাতার উপর রঙ পেন্সিল বোলাতে নাকি খেলাধুলায় তাঁর বেশি মন ? নাকি নাচ গানে আগ্রহ প্রকাশ করছে । যেইদিকে তাঁর মন ঝুঁকছে সেই দিকে আপনিও ঝুঁকুন । বরং তাকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিন।

* বাধা দেবেন না

শিশু মনে আজ এটা তো কাল ওটা হতেই পারে। আজ যদি আপনার সন্তানের ড্রইং করতে ভালো লাগে দুমাস পর হয়তো তাঁর গান শুনতে কিংবা গান করতে ভালো লাগবে । সেক্ষেত্রে আপনি ধৈর্য হারাবেন না । তাঁর নতুন নতুন উৎসাহকে খোরাক জোগান । তাকে বাধা দেবেন না। একটা বদলে অন্যটা করতে গিয়ে হয়তো প্রথম দিকে সে নিজেই খানিকটা ঘেঁটে যাবে ।তাই বলে সব ছাড়িয়ে তাকে ঘরের চার দেওয়ালে বন্ধ করে বসিয়ে রাখবেন না।

* তাল মিলিয়ে চলুন

আপনার সন্তান যে কাজটি করতে ভালোবাসে তাঁর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিলেন । তবে সবটা শুধুমাত্র প্রশিক্ষকের উপর ছেড়ে দিলে কিন্তু চলবে না। আপনাকেও যথেষ্ট সময় দিতে হবে । সঙ্গ দিতে হবে তাঁর। নিজের জন্য সময় বার করতে গিয়ে সন্তানকে ফোন বা ল্যাপটপ দিয়ে বসিয়ে রাখা কখনই ভালো মাতৃত্ব কিংবা পিতৃত্বকে ফুটিয়ে তোলে না । তাই আপনার কাছ থেকে আপনার সন্তানের যেটুকু সময় প্রাপ্য তাকে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

* পরিচয় করান বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে

পৃথিবীতে যত নামকরা আর্টিস্ট অথবা গুণী ব্যক্তি রয়েছেন তাঁরা নিজেদের এক সময় প্রসারিত করেছিলেন। মানুষকে চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে রাখলে তাঁর সৃজনশীলতা কখনও বৃদ্ধি পায় না। একটা বাচ্চাকে ঘরে আটকে রেখে টেকনোলজি দিয়ে অন্ধ বানিয়ে কখনই তাঁর মধ্যে সৃজনশীল মনোভাব তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই তাকে বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করান। পাহাড় সমুদ্র জঙ্গল এইগুলি দেখান।

* ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্ত তৈরি করুন

আমরা প্রতিদিনের ব্যস্ততায় ভালোভাবে হাসতে ভুলে গিয়েছি । কখন পরিবারের সকল সদস্যরা একসাথে বসে গল্প হয়েছে তাও হয়তো ভুলে গিয়েছেন অনেকে। আর এই ইঁদুর দৌড়ের মাঝে পরিবারের সবথেকে ক্ষুদে সদস্যরা চিঁড়ু চ্যাপ্টা হয়ে যায়। কারণ তাঁরা তাদের মা-বাবার কাছ থেকে পর্যাপ্ত সময়টুকু পায় না । একটা শিশুর জন্য তাঁর মা-বাবার সান্নিধ্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন। তাই আপনার বাচ্চার জন্য প্রতিদিন এমন কিছু করার চেষ্টা করুন যেটা তাকে খুশি করে। অল্প সময় কাটাতে পারছেন! সেটাই কাটান । কিন্তু ওইটুকু সময়ে নিজেকে অন্য কিছুতে ব্যস্ত করে দেবেন না।

* ভরসা রাখুন

প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো গুণ থাকে। তবে সেই গুণ তাকে নিজে থেকে বের করে নিতে হয়। আপনার শিশুর সহজাত গুণগুলির উপরে ভরসা রাখুন। তাকে হেরে যেতে দেবেন না নিজেও হেরে যাবেন না। নির্ভয় দিন, উৎসাহ দিন। তাকে ছক ভাঙা পথে হাঁটার সাহস দিন। তবে সব সময় মাথায় রাখবেন কোন কিছুই যেন লাগাম ছাড়া না হয়। একটা শিশুকে তাঁর মতো করে বাড়তে দেওয়া যতটা প্রয়োজন, ঠিক ভুল সম্পর্কে অবগত করা ঠিক ততটাই প্রয়োজন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version