ভারতের মাটিতে কোন গুপ্তধন। ৩০ এ হাতে চাঁদ পাবে ভারত। মোদীর প্রেডিকশন ফলছে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ ভারতের হাতে? ৩০-এ ঘটবে বড় কিছু। ভারতের অর্থনীতি নিয়ে মোদীর বুক ঠুকে করা ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্যি? ৭ বছর হাতে চাঁদ পাবে ভারত। বিশ্ব বলছে, নরেন্দ্র মোদীর দম আছে। মোদীর গ্যারান্টির পর একটা রিপোর্টেই দেশজুড়ে তোলপাড়। ইন্ডিয়ান ইকোনমিতে কি ঘটছে জানাটা আপনার দরকার। জাপান-জার্মানিকে পেছনে ফেলে এক্সাম্পেল হয়ে উঠবে আমাদের দেশ। মনে আছে? চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভবিষ্যদ্বাণী? রীতিমতো হইচই পড়ে গেছিল। চূড়ান্ত কনফিডেন্ট মোদী, ঠিক কী বলেছিলেন?

বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় ফিরে দেশের অর্থনীতিকে ৩ নম্বরে নিয়ে যাবেন, ‘বড় গ্যারান্টি’ মোদীর।বিশ্বের প্রথম ৩ অর্থনীতির অন্যতম হবে ভারত। বড় কথা বলেছিলেন। আর এবার এসএন্ডপি গ্লোবাল ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং শোনালো সুখবর। ভারতে কী সোনা ফলছে? নাহলে কিভাবে ৭ বছরের মধ্যেই মোদীর প্রেডিকশন এভাবে সত্যি হচ্ছে? হ্যাঁ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও দু’ধাপ লাফিয়ে উঠতে পারে দেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে জাপানের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে ভারতীয় অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। ভারত হয়ে উঠবে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। দাবি করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি ৭৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। প্রকৃতপক্ষে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে পরপর দু’বছর দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৩ আর্থিক বছরেও ভারতীয় অর্থনীতির শক্তিশালী বৃদ্ধি ঘটতে পারে।

আর অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের এই দ্রুত গতির ফলে ভারতীয় জিডিপির আকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাপানের জিডিপিকে ছাড়িয়ে যাবে, যা ভারতকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে! বর্তমানে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। সেখান থেকে ডিরেক্ট তিন নম্বরে ২০২২ সালে দেশের জিডিপি ছিল ৩৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঙ্ক বেড়ে ৭৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভাবা যায়? কিন্তু এই রিপোর্টের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির সামঞ্জস্য কতটা? সেটাও তো ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টর। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড মানে IMF জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে ভারতের আনুমানিক জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৬.১ শতাংশ। জিডিপি মানে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট। একটি আর্থিক সূচক যা যে কোনও দেশের সীমানার মধ্যে যে কোনো জিনিসের মূল্য বেশ কিছুটা সময়ের জন্য নির্ধারণ করে এবং সেদেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাপক হিসেবে কাজ করে।ব্যবসায়িক, নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হিসেবে ব্যবহত হয় যাতে তাঁরা আর্থিক সিদ্ধান্ত, নীতি নির্ধারন সম্পর্কিত বিষয়গুলি সঠিকভাবে করতে পারে। সেক্ষেত্রে আশার আলো দেখিয়েছে আইএমএফ। এছাড়াও আইএমএফ বলছে, দেশের অভ্যন্তরে শক্তিশালী বিনিয়োগের দৌলতে এই পরিসংখ্যানের মধ্যে ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে হওয়া বৃদ্ধির প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে একাধিক ইতিবাচক কারণ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে

শক্তিশালী প্রযুক্তি এবং পরিষেবা খাতের বৃদ্ধি ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগের বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে অনুকূল লভ্যাংশ, ব্যবসায়িক সুবিধা প্রদানকারী সরকারি নীতি এবং ভোক্তা ব্যয় পূর্বাভাস অনুযায়ী পুনরুদ্ধারের মতো বিষয়। এই বিষয়গুলি কোভিড-১৯ পরবর্তী সময় থেকে ভারতে একটি উন্নত সামগ্রিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চারদিক থেকে যা শোনা যাচ্ছে, যা লেখালিখি হচ্ছে তার সারমর্ম একটাই, ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছু কালের মধ্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করতে চলেছে এমনকি ২০৭৫ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, এমন রিপোর্টও প্রকাশ করেছিল আইএমএফ ও গোল্ডম্যান স্যাচে আমদানী রপ্তানি ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে উন্নতি, বেসরকারী ক্ষেত্রে আর্থিক খরচের বহর বাড়ানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার মত বিষয়গুলো বিবেচনা করে গোল্ডম্যান স্যাচে তাদের একটি রিপোর্টে জানিয়েছে ২০২৮ সালে ভারতের জিডিপি ৫.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। ২০৭৫ সালে যা এক লাফে ৫২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।

তাছাড়া, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। একটি মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোদী সরকারের পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ, জিএসটির মতো ‘ল্যান্ডমার্ক’ সংস্কার, সেইসব মিলিয়েই নরেন্দ্র মোদীর আমলে ভারতের উন্নতির যাত্রা অব্যাহত। মোদীর আমলে ডিজিটাল দুনিয়ায় ভারতের ব্যাপক উন্নতি, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ, দেশে বিনিয়োগ টানার জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত আরও কার্যকরী নীতি গ্রহণ। আর তাতে ভর করেই মাত্র নয় বছরে আজকের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। সেই অনুযায়ী দেখতে গেলে, মোদীর গ্যারান্টি, প্রতিশ্রুতি পূরণ হাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। মোদী বলেছিলেন, আমাদের প্রথম দফায় অর্থনীতির নিরিখে দশম স্থানে ছিল ভারত। আমাদের দ্বিতীয় দফায় এখন পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমি দেশবাসীকে বলতে চাই, তৃতীয় দফায় অর্থনীতি বিশ্বের প্রথম তিনে থাকবে। বিরাট গ্যারান্টি তাহলে সত্যি হতে যাচ্ছে? উল্লেখ্য বিষয় হল, ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে থাকা ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকে অর্থনীতির দিক থেকে ২০২২ সালে টপকে গিয়েছে ভারত। না রাতারাতি নয়, অনেক বছরের পরিশ্রমের কারণে সেট করা গোল যে অ্যাচিভ করা যায়, আর ভারতের কাহিনীটা যে সেরকমই, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মোদী সরকার, বলছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একাংশও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version