ভারতে তৈরি নয়া আয়রন ডোম! রাশিয়াকে দেবে টেক্কা? শত্রুরা সীমান্ত ছুঁতেও ঘাবড়াবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারত নিজেদের আয়রন ডোম তৈরি করে ফেলল, ইজরায়েলের আয়রন ডোমকেও কি টেক্কা? রাশিয়া না আমেরিকা কার সাহায্য নিল দিল্লি সত্যিটা জানলে অবাক হতে হয়। কত রেঞ্জ? এস-৪০০ থেকে শক্তিশালী নতুন মাস্টারপিস। ভারত কারোর সাহায্য নেয়নি এটা প্রথমেই জেনে নিন একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতেই ইজরায়েলকে টেক্কা! ফোকাস কিন্তু ইজরায়েলকে টেক্কা দেওয়া নয় মেন টার্গেট চীন-পাকিস্তান বা অন্য কোন শক্রর বুকে ভয় ধরানো। ভারতের প্রতিরক্ষা কতটা বুস্টআপ হতে পারে এই মাস্টারস্ট্রোকে? হামাসের একটা আক্রমণ রাতারাতি কয়েকগুণ সতর্ক করে দিয়েছে ভারতকে, ভারতের সেনাকে। হামাসের আক্রমণে ইজরায়েলের আয়রন ডোম নিয়ে যখন মাতামাতি প্রশ্নটা তখনই উঠছিল ভারতে এমন হামলা হলে ভারতের হাতে দেশকে রক্ষা করার জন্য আসলে কি রয়েছে? রাশিয়ার দেওয়া শুধু S-400? না এবার ভারত তৈরি করছে নিজেদের আয়রন ডোম বা সহজ ভাষায় বলা যায় নিজেদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। LR-SAM (long range surface to air missile) একা কত ক্ষেপনাস্ত্রের মোকাবিলা করতে পারবে এই ডিফেন্স সিস্টেম?

কোনও শত্রু দেশ বা সংস্থা যখন ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ইসরায়েলকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে তখন আয়রন ডোম অটোমেটকলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আকাশে গুলি করে ধ্বংস করে। LR-SAM কী সেই কাজই করবে? ৪০০ কিলোমিটার দূরের শত্রুকেও উচিত শিক্ষা দিতে সক্ষম LR-SAM। এর মানে এটা দুরপাল্লা সারফেস টু এয়ার মিশাইল সিস্টেম। শত্রুদেশের লড়াকু বিমান, ব্যালিস্টিক মিশাইল এবং অ্যাটাক ড্রোন এই ৩ টে কেই ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। মনে করা হচ্ছে রুশ S-400এর থেকেও হবে শক্তিশালী। চিন, পাকিস্তান বা ভারতের সীমান্তবর্তী কোনও দেশ যদি ভারতের ওপর কোনও ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বা মিশাইল ছোড়ে তাহলে LR-SAM ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের আগেই সেগুলোকে বেছে বেছে ধ্বংস করবে।

টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে মোট তিনটে আলাদা আলাদা দুরত্বে কাজ করবে LR-SAM ১৫০ কিমি, ২৫০ কিমি ও ৩৫০ কিমি রেঞ্জে ডিআরডিও সূত্রে খবর, LR-SAM হাইস্পিড টার্গেডের ক্ষেত্রে মসিহা হবে। সবথেকে বড় পয়েন্ট মিস করবেন না এই ডিফেন্স সিস্টেম পোর্টেবল এর মানে একে যে কোনও জায়গাতেই নিয়ে যাওয়া সম্ভব পাহাড়, মরুভূমি এমনকি গ্লেসিয়ারও মোতায়েন করা সম্ভব। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন ২০২৮-২০২৯র মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে পুরোপুরি রেডি হয়ে চলে আসবে LR-SAM, যেহেতু এটা সম্পূর্ণ দেশীয় সেক্ষেত্রে এটা একবার তৈরি হয়ে গেলে ভারতের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য সেটা হবে অতিব গর্বের বিষয়। কারণ অনেক বছর ধরেই নিজেদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের এই কোড ক্র্যাক করার চেষ্টা করছিল ভারত সবথেকে বড় কথা কে বলতে পারে ভবিষ্যতে অন্য দেশও ভারতের বানানো LR-SAM কেনার জন্য আগ্রহ দেখাতে পারে?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version