Marburg Virus: মারবার্গ ভাইরাসের নয়া আতঙ্ক, প্রাণ গেল ৯ জনের! উপসর্গ জেনে এখনই সাবধান হন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Marburg Virus: এখনো পর্যন্ত গোটা বিশ্ব করোনা (Corona) ভীতি থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পায়নি। এর আগেও করোনার মাঝে আরেকটি প্রাণঘাতী ভাইরাস দাপট চালিয়েছিল। সেটি হল মারবার্গ (Marburg)। আফ্রিকার (Africa) বহু দেশ করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। তার মাঝে নয়া বিপত্তি। মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। যার কারণে প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation)।

২০১৪ সালে ইবোলার দাপটের কথা মনে পড়ে? যার কারণে পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রায় ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বলা হচ্ছে মারবার্গ ভাইরাস ইবোলার মতই মারাত্মক রক্তক্ষরণজনিত জ্বর তৈরি করে। গত বছরের পর আবার এই ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই আশঙ্কায় রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাস নিয়ে যে সতর্কতা জারি করেছিল তা এখনো অব্যাহত। আশঙ্কার বিষয় হল, এই সংক্রমণ যদি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভবিষ্যতে বড়সড় বিপদ অপেক্ষা করছে। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন টিকা আবিষ্কার হয়নি। এটি ইবোলার থেকেও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। এই সময় বিপদের ঝুঁকি থেকে একটু দূরে থাকাই ভালো। খুব ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বাইরে থেকে ভালোভাবে হাত-পা সাবান দিয়ে ধুয়ে তারপরেই ঘরে প্রবেশ করুন। বাইরের জামা কাপড় পরে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করবেন না। চেষ্টা করুন মাস্ক পরার।

মারবার্গ ভাইরাসের কিছু লক্ষণ রয়েছে। সাধারণত এই রোগের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে মাথা ঘোরা, হঠাৎ মাথাব্যথা, পায়খানা, বমি বমি বমি ভাব, প্রচন্ড জ্বর, পেশিতে ব্যথা হতে পারে। যদি এই ধরনের লক্ষণগুলি দেখেন তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়াও এই ভাইরাসের লক্ষণ অনেকটা ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মত। হাতে পায়ে ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে।

মারবার্গ ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। তাই বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় নয় জনের। ইতিমধ্যেই মারবার্গকে কেন্দ্র করে নয়া আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গিনিতে। বলা হয় এই ভাইরাস নাকি এসেছে বাদুর থেকে। এটি দ্রুত মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের প্রায় ৮৮ শতাংশের ক্ষেত্রে এটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। জ্বরের পাশাপাশি হয় রক্তক্ষরণ। সর্বপ্রথম এই ভাইরাসটি প্রকাশ্যে এসেছিল ১৯৬৭ সালে জার্মানি আর সার্বিয়ার বেলগ্রেডের গবেষণাগারে। ২০০৪ সালে এই ভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে অ্যাঙ্গোলায় প্রায় ২৫২ জনের মধ্যে ৯০ শতাংশের মৃত্যু ঘটে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version