।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতে তৈরি এই সুড়ঙ্গ দেখে ঘাম ছুটছে চীনের। ঘনাচ্ছে রহস্য। মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রশস্ত সুড়ঙ্গ। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের কেরামতি দেখবে গোটা বিশ্বও। কিন্তু, বাঁকানো পথেও এতো চওড়া সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে কোন ফর্মুলাতে? আগুন লাগলে কী হবে? ওয়াটার মিক্স সিস্টেমের জাদু জানেন? বিশ্বের বৃহত্তম সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ কতদূর? এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পৌঁছানো যাবে কোন ঠিকানায়? একটা নয়, দু দুটো সুড়ঙ্গ। স্বপ্ন হবে বাস্তব, ভারত টেক্কা দেবে আমেরিকাকেও। যেই পয়েন্ট নিয়ে এতো আগ্রহ সেখানেই প্রথম হিট করছি। ফের শিরোনামে মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ে।
ভারতে এমন দুটো সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। যা উন্নত বিশ্বের কাছেও নেই। মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রশস্ত সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গের মধ্যে ৪টে লেন থাকবে। সুড়ঙ্গটি লোনাওয়ালা হ্রদের জলস্তর থেকে প্রায় ৫০০-৬০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সুড়ঙ্গটা পশ্চিমঘাট পর্বতমালার বাঁকানো পথে তৈরি হচ্ছে। আর এখানেই ট্যুইস্ট। যেখানে বাঁকানো পথে তৈরি সুড়ঙ্গগুলোর প্রস্থ কমে যায়, সেখানে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা রীতিমতো অসাধ্য সাধন করছেন। পুরো ক্রেডিটটাই ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং রিং এর কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে প্রশস্ত সুড়ঙ্গটা একটি বাঁকানো রাস্তাতেই তৈরি হচ্ছে।
সুড়ঙ্গটির সুরক্ষা ব্যবস্থাতেও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া।ভূমিকম্প বিরোধী থেকে শুরু করে আগুন নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা, সবটাই থাকবে ওই সুড়ঙ্গতে। প্রতি ৩০০ মিটারে এক্সিট পয়েন্ট বসানো হয়েছে! আগুন প্রতিরোধ করতে ওয়াটার মিক্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে জানা যাচ্ছে, মোট ৬৬৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে চওড়া সুড়ঙ্গ উদ্বোধনের পর মুম্বাই এবং পুনের মধ্যে দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় আধা ঘন্টা সাশ্রয় করবে। একই সঙ্গে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনাও কমবে। আর চীন পুরোটা হাঁ করে দেখছে। কারণে, বর্তমানে চীনেই বিশ্বের সবচেয়ে চওড়া টানেল থাকলেও শীঘ্রই এই শিরোপা আসতে চলেছে ভারতের কাছে। মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে যে দুটো সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে তার মধ্যে একটার দৈর্ঘ্য ১.৭৫ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টার দৈর্ঘ্য ৮.৯২ কিলোমিটার।
এই দুটো টানেলের প্রস্থ ২৩ মিটারেরও বেশি। সেখানে, চীনের ১৬.৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গটি ইয়াংজি নদীর নীচ দিয়ে গেছে। চিনের সাংহাই শহরকে চাংজিয়াং দ্বীপের সাথে সংযুক্ত কারী সুড়ঙ্গটি ১৩.৭ মিটার প্রস্থের বিশ্বের সবচেয়ে প্রশস্ত সুড়ঙ্গ, এখনও পর্যন্ত। ভারত যে চীনকে বলে বলে টেক্কা দেবে সেটা বুঝতে বাকি নেই। ইতিমধ্যেই ৭০% কাজ কমপ্লিট। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই জানা যাচ্ছে। রেল ব্যবস্থা হোক বা সড়ক নির্মাণ, ভারত সকলকে তাকে লাগিয়েই চলেছে। দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি বহুবার বলেছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের রাস্তা আমেরিকার রাস্তার চেয়ে ভালো হবে। চীনকেও ক্লিন বোল্ড করতে দ্বিধা করছে না দেশটা। কিন্তু এরপরেও আরও চমক দেখার বাকি আছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম