মোদীর মগজাস্ত্রে চীন কুপোকাত! শ্রীলঙ্কা ধাক্কা দিল বেজিং-পাকিস্তানকে, নমোর চেম্বারে কী ঘটেছিল জানেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

নরেন্দ্র মোদীর কাছে চীন গোহারা হারল মগজের যুদ্ধে। শ্রীলঙ্কা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল বেজিংকে বড় চুক্তি থেকে। পাকিস্তানে যা রয়েছে ভারতে তা নেই তারপর দিল্লির হাত ধরল কেন কলম্বো? মোদীর চেম্বারে কী ঘটল আসলে? ভারতে এসে প্ল্যান বদলে ফেললেন বিক্রমাসিংহে। শ্রীলঙ্কা বড় রিস্ক নিল ভারত কলম্বোর মাথা ঝুঁকতে দেবে না। মোদীর-বিক্রমাসিংঘে বৈঠকে চীন- পাকিস্তানের কপাল পুড়ল এভাবে? চীন ও পাকিস্তানকে বিদ্যুত উৎপাদনের বড় প্রজেক্ট থেকে জাস্ট বের করে দিল শ্রীলঙ্কা। সেখানে টেন্ডার চলে গেল ভারতীয় কোম্পানির হাতে। ভারত দুঃসময়ে সাহায্য করেছিল শ্রীলঙ্কাকে তারই ফল পেল হাতেনাতে। শুধুই কি এটা কারণ? নাকি নেপথ্যে অন্য অঙ্ক শ্রীলঙ্কার?

শ্রীলঙ্কা সহ ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে ২০২২ শ্রীলঙ্কা সিদ্ধান্ত নেয় তাদের দেশে বিদ্যুত উৎপাদন করতে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। কারণ সেখানে যে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো রয়েছে যেগুলো আসলে চলে পেট্রোলে। কলম্বোর একেবারে পাশে পশ্চিম উপকূলে কেরাওয়ালপিটিয়া সেগুলোকে এখন প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজিতে চালাতে চাইছে শ্রীলঙ্কা। তাহলে বিদ্যুত উৎপাদনের খরচও কমবে। এই ভেবেই প্রথমে ভারতের পেট্রোনেটকে এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) অফার দেওয়া হয়, তবে পেট্রোনেট সেসময় জানিয়ে দেয় এক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা নেই। এফএসআরইউ কি? এটা পাকিস্তানের কাছে রয়েছে কিন্তু ভারতের অভিজ্ঞতা ছিল না? এমনটাও হতে পারে?

তা সত্ত্বেও এমন কি খেলা খেললেন মোদী যে কন্ট্রাক্ট চলে এল সোজা ভারতের কাছে। কলম্বোকে কীভাবে কনভেন্স করতে হবে জানত দিল্লি। এফএসআরইউ হল ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট এটি আসলে একটি জাহাজ। ২০০৫-২০০৬ নতুন এই টেকনলজি আসে যেখানে অন্য জাহাজ থেকে এলএনজি গ্যাস ট্রান্সফার করা হয় এই জাহাজে। অনেক কম তাপমাত্রায় সংরক্ষিত রাখা হল এলএনজি। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কার পাওয়ারপ্ল্যাটে সাপ্লাই হবে এলএনজি। কূটনৈতিক মহল বলছে এফএসআরইউ নিয়ে যখন প্রথম শ্রীলঙ্কা ডিল স্বাক্ষর করে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে। তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। সম্প্রতি দু দিনের সফরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে এসেছিলেন ভারতে সেখানেই কি মোদী মন্ত্র দিয়েছিলেন বিক্রমাসিংঘে কানে?

তথ্য বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের মতো করাচীতে রয়েছে এফএসআরইউ, তবে রেসে এবার এগিয়ে গেল ভারত। ভারতের প্রথম ফ্লোটিং এলএনজি টার্মিনাল ওড়িশার গোপালপুরে তৈরি হয়ে যাবে। এছাড়াও জাফরাবাদ ও জয়গড়েও দেখা যাবে এফএসআরইউ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, শ্রীলঙ্কা জানে চীনের থেকে ভারতের ওপর ভরসা করলে লাভটা তাদেরই। ভারত কোনওদিন তাদের ওপর কোনওকিছুর বোঝা চাপিয়ে দেবে না। যেটা করতে চীনা কোম্পানিগুলো বেশ দক্ষ। ভারত কি এভাবেই চীনকে সাইড করতে থাকবে শ্রীলঙ্কা থেকে?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version