পুতিনকে মোদী চরম ওয়ার্নিং দেবেন! বাড়াবাড়ি হচ্ছে পাকিস্তানকে নিয়ে, ব্রিকসে এন্ট্রি নাকি ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

পুতিনকে ওয়ার্নিং দেবেন নরেন্দ্র মোদী! বাড়বাড়ি হচ্ছে এবার। পাকিস্তান ঢুকছে ব্রিকসে ভারত কি আটকাতে পারবে? চীনের বড়সড় লাভ। রাশিয়ার হঠাৎ ভারতবিরোধী এমন স্টেপ নিল কেন? পাকিস্তান ব্রিকসে ঢুকলে ভারতের কোন ক্ষতি হবে? পাকিস্তান ব্রিকসের জন্য অ্যাপ্লাই করে দিয়েছে ভারত কি এই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাবে তাহলে? আর্জেন্টিনা আচমকা কেন বলে দিল তারা ব্রিকসে ঢুকতে চায় না। ভারতের পরম বন্ধু রাশিয়াই খাল কেটে কুমির ঢোকাতে পারে। মস্কোর পিছনে ইউক্রেনকে এতটা সাহায্য করার পরও কিছুতেই পাকিস্তান প্রীতি কমছে না রাশিয়ার। এবার রাশিয়া চাইলেই পাকিস্তান হয়ে যেতে পারে ব্রিকসের মেম্বার। রিপোর্ট বলছে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে ব্রিকসের মেম্বারশিপ পাওয়ার জন্য পাকিস্তান খাতায় কলমে কাজ সেরে নিয়েছে। এবার ব্রিকসের সদস্যদের অনুমতি দেওয়া পালা। ব্রিকসের সদস্যদের মধ্যে চীন তো দুহাত খুলে আমন্ত্রণ জানিয়েই রেখেছে পাকিস্তানকে। কিন্তু ভারত? ভারতের স্ট্যান্ড কী হবে এক্ষেত্রে? ২০২৪ রাশিয়ার কাজানে এবার ব্রিকসের প্রতিনিধিত্ব করবে মস্কো।

আর পাকিস্তান এই সুযোগকে কোনওমতেই হারাতে চায় না। চলতি বছরই অগাস্ট মাসে এই একই খবর হয়েছিল যে পাকিস্তান ব্রিকসে ঢুকতে চাইছে সেইসঙ্গে ইরান, সৌদির মতো আরও বিভিন্ন দেশ। তখন নয়া দিল্লি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিল ব্রিকসের সম্প্রসারণে কোনও আপত্তি নেই ভারতের কিন্তু পাকিস্তানকে নিয়েই নীরবই ছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তাতেই বোঝা গিয়েছিল ভারত এখনই ইসলামাবাদের এন্ট্রি নিয়ে ভাবতে রাজি নয়। কিন্তু এবার দিল্লি রাশিয়াকে কি ভাবে আটকাবে?
কারণ বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগি মনে করছেন রাশিয়া ব্রিকসের পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে খুব একটা আপত্তি করবে না। তাহলে মোদী কি ওয়ার্নিং দিতে পারেন পুতিনকে। নাকি ভারত নিজেই ব্রিকস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ভাববে। কূটনৈতিক মহল বলছে না এই কথাটা বলাটা যতটা সহজ ব্রিকস থেকে হুট করে বেরিয়ে যাওয়ার ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ ভারতের ম্যাসিভ বিনিয়োগ রয়েছে ব্রিকসে। ব্রিকসের বহু উদ্যোগে নয়াদিল্লির বড় ভূমিকা রয়েছে। আর সবথেকে বড় কথা ভারত কি ভিতু নাকি যে কাঙাল পাকিস্তান ব্রিকসে ঢুকলে সেখান থেকে বেরিয়ে যাবে ভারত।

বরং কূটনৈতিকভাবে নয়াদিল্লি অন্যপথে চাপ তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে বলে রাখি আর্জেন্টিনা ব্রিকসে ঢুকতে চাইছে না কারণ সেদেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই কার্যত প্রো-আমেরিকান বলেই পরিচিত। সম্ভবত সেই প্রভাবেই প্রভাবিত হয়ে আর্জেন্টিনা ব্রিকসে ঢুকতে চাইছে না। এদিকে পাকিস্তান ব্রিকসে অ্যাপ্লাই করার খবরেও ভারতের তরফ থেকে কিন্তু কোনও ধরণের প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তাই ভারত কি স্টেপ নেবে কি নিতে পারে এ নিয়ে এখনও কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। অনেকেই বলছেন ২০২৪ সাল অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং হতে পারে। এই বছরকে মেক অ্যান্ড ব্রেক ইয়ারও বলা হচ্ছে কারণ এবছরে অনেক কিছুই ভাঙতে পারে, অনেক কিছুই গড়তে পারে। এবার দেখার পাকিস্তান ব্রিকসে ঢোকার টিকিট পেলে ভারত ঠিক কি স্টেপ নেয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version