India’s Master Stroke for China: মোদী সরকারের নয়া মাস্টার স্ট্রোক, বর্ডারে জব্দ হবে চীন!

।। প্রথম কলকাতা ।।

India’s Master Stroke for China: চীনা (China) সেনা রুখতে নয়া মাস্টার স্ট্রোক (Master Stroke) ভারতের (India)। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী চীনের লাল ফৌজ ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে টেক্কা দিতে গেলে দু’বার ভাববে। বর্ডারে দুই দেশের পক্ষ থেকেই বাড়ানো হয়েছে এক্সট্রা সতর্কতা। চীনা সেনা রুখতে ভারত সরকার গ্রহণ করেছে ত্রিমুখী অস্ত্র। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ বেশ অস্বস্তিতে ফেলবে বেজিংকে। ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে আগের থেকে অনেক বেশি বর্ডার পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি চালু করা হয়েছে শিনকু লা টানেল। সীমান্তবর্তী গ্রাম গুলির জন্য চালু করা হয়েছে ‘প্রাণবন্ত’ প্রকল্প।

সি জিনপিং যখন তৃতীয়বার চীনের প্রেসিডেন্ট পদে ক্ষমতায় আসেন, তখন জানিয়েছিলেন সীমান্ত পরিকাঠামোর উপর বিশেষ ভাবে জোর দেবেন। সেই কথা তিনি রেখেছেন। অপরদিকে পিছিয়ে নেই ভারতও। আগের থেকে অনেকাংশে অরুণাচল প্রদেশ আর লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের সেনা সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের তরফ থেকে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বর্ডার গার্ড, জেলা পুলিশ আর পিপলস লিবারেশন আর্মির ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। সেখানে ভারতও নতুন করে নিযুক্ত করল প্রায় ৮৪০০ জন সৈন্য। বর্ডারে থাকবে ভারতের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইটিবিপি সৈন্যরা। যাঁরা বারো হাজার ফুটের বেশি উচ্চতাতেও লড়তে পারেন। ভারতের ‘ওয়ান বর্ডার ওয়ান ফোর্স’ নীতির অধীনে চীনের সঙ্গে ভারতের যে ৩৪৮৮ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা রয়েছে সেখানে মোতায়েন থাকবে ৫৬ ব্যাটেলিয়ান আইটিবিপি। এর ফলে সীমান্তবর্তী গ্রামে বেকারত্বের সংখ্যা কমবে। এক্ষেত্রে কাজে লাগানো হবে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির যুবকদের। নতুন ব্যাটেলিয়ন ৪৭ টি বর্ডার পোস্টের দায়িত্ব নেবে। যার মধ্যে একটি উত্তরাখণ্ড, একটি লাদাখ আর বাকিগুলো রয়েছে অরুণাচল প্রদেশে।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ব্যয় করা হবে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে গ্রহণ করা হয়েছে ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ স্কিম। এই পদক্ষেপে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশি পর্যটন এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। আরো কড়া নিরাপত্তায় থাকবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। তৃতীয় পদক্ষেপ অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশ আর লাদাখের সঙ্গে সারা বছর যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে আরো সহজ। ইতিমধ্যেই মোদি সরকার সাসের লা এলাকাতেই একটি ১২ কিলোমিটারের সুরঙ্গ পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। যদি চীনা সেনার আক্রমণে দারবুক শায়ক ডিবিও রাস্তা বন্ধ হয় তাহলেও সমস্যা নেই। তখন কাজে আসবে মানালি-অটল টানেল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version