ভারতে জঙ্গি হামলার ছক! আল কায়দা শক্তি বাড়াচ্ছে, বাংলা সেফ ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

জঙ্গিদের নজরে নেই তো আপনার এরিয়া? ভারতে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক, তলে তলে দ্রুত ডালপালা মেলছে আল কায়দা। খুব সাবধান, দেশের যুবকরাই মেইন টার্গেট। মগজধোলাই করে জেহাদের বিষ ছড়ানোর হচ্ছে, চোখ কান খোলা রাখবেন। ‘লোন উলফ’ অ্যাটাক হতে পারে যখন তখন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে, কড়া পাহারা এনআইএর। রিপোর্ট জানলেই “আত্মারাম খাঁচা ছাড়া” হতে বাধ্য। কতটা সেফ বাংলা?

‘টেরর সেল’গুলোর গোপন ডেরার সন্ধান চালাচ্ছে গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা যেটা জানিয়েছেন, সেটা আগে জেনে নিন। ভারতীয় যুবকদের মগজধোলাই করে জেহাদের বিষ ছড়ানোর কাজ করছে ‘ভারতীয় আল কায়দা’। একই কাজ করছে ‘তেহরিক-ই-তালিবান’। ভারতের মাটিতে ছড়িয়ে দিচ্ছে শিকড় বাকড়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক নয়, একাধিক রিপোর্ট একই কথা বলছে। ভারতে ‘লোন উলফ’ অ্যাটাকের প্ল্যান করছে ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ মানে AQIS।ভারতীয় আল কায়দার টার্গেট আপনি এত সহজে ধরতে পারবেন না। ‘লোন উলফ’ মানে একাকী শিকারি। যেখানে দেশের যুবকদের মগজধোলাই করে জেহাদের বিষ ছড়ানো হয়। এই পদ্ধতিতে কোনও ব্যক্তিকে মগজ ধোলাই করে একা আত্মঘাতী হামলা চালাতে ইনসিস্ট করা হয়, উৎসাহী করে তোলা হয়। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সরাসরি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে কোনো যোগ থাকে না। ইন্টারনেট বা জিহাদি বইপত্রের মাধ্যমে তার মধ্যে পরোক্ষভাবে ধর্মীয় উন্মাদনা জাগিয়ে তোলা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘লোন উলফ’ হামলাকারীকে খুঁজে পাওয়া কিন্তু খুব কঠিন। কারণ জঙ্গি সংগঠনগুলির উপর নিয়মিত নজর রাখেন গোয়েন্দারা। তবে মগজ ধোলাইয়ের জেরে নিজের বাড়িতে বসে ইন্টারনেটে জেহাদি ওয়েবসাইট দেখে কেউ হামলা চালানোর প্ল্যান করলে তা রুখে দেওয়া মারাত্মক কঠিন কাজ। জানিয়ে রাখি ২০২৩ সালে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। সেই তদন্ত সূত্রেই এনআইএ অলরেডি মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু মোবাইল, ল্যাপটপ আপত্তিজনক সামগ্রী উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া গেজেটগুলোর মদতে ‘টেরর সেল’গুলোর অন্যান্য সদস্যের সন্ধান চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

একটা কথা মনে করিয়ে দিই ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে যে রিপোর্ট সামনে এসেছিল তাতে দেখা গেছিল বাংলার মাটিতে আলকাকায়দা তলে তলে ডাল পালা ছড়িয়েছে কয়েক বছর ধরে। ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, গাঙ্গেয় বঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংগঠনের কথা সামনে এসেছিল। ফলে চিন্তা আরও বাড়ছে। আজ ভেতরে ভেতরে যেভাবে আল-কায়েদা নিজেদের টার্গেট ফুলফিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে কোন এলাকায় কাদেরকে জঙ্গি সংস্রবে নিয়ে আসা হয়েছে, হচ্ছে এবং তারা বর্তমানে কোথায় রয়েছে, তা খুঁজে বের করা বেশ কঠিন, বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version