Cyclone Michaung: ধেয়ে আসছে মিগজাউম! টগবগিয়ে ফুটবে সাগর। ভারত- বাংলাদেশে তুমুল দুর্যোগ ? কতটা রিস্কে দুই বাংলা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyclone Michaung: তছনছ করতে ধেয়ে আসছে মিগজাউম! ভারত-বাংলাদেশ কতটা রিস্কে? টগবগিয়ে ফুটবে বঙ্গোপসাগর। বাংলাতেও সাঙ্ঘাতিক এফেক্ট? কোন কোন জেলা চলে যাচ্ছে রেড অ্যালার্টে? মোকার ডিটো? জলবন্দী ১৪০ কোটির ভারত? সামনের ৪৮ ঘন্টায় কী ঘটতে যাচ্ছে? ঝড় বৃষ্টির মাঝেই হুহু করে নামবে তাপমাত্রা?  ব্যাক টু ব্যাক ঘূর্ণাবর্ত। মিধিলি ভুলে যান। ভারত কাঁপাবে মিগজাউম?শীতের মাঝেই ছুটে আসছে কোন ভয়ঙ্কর দুর্যোগ? পূর্বাভাস বলছে, মিগজাউম এর বড়সড় এফেক্ট পড়ার চান্স দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণের জেলাগুলোতে ও উত্তরবঙ্গের একাংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু জেলায় বইতে পারে ঝোড়ো দমকা হাওয়া। টেনশন বাড়ার যথেষ্ট কারণ আছে। ঘূর্ণিঝড়টি যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারে বলে প্রাথমিক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে মিগজ়াউম। এখন কতটা ভয়ঙ্কর রুপ ওই ঘূর্ণিঝড়ের? এটা কিন্তু আপনার জেনে রাখা দরকার।

২৭ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে একটি পাওয়ারফুল সিস্টেম বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করবে। সেই শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্তটা ক্রমশ উত্তর পশ্চিমদিকে এগিয়ে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করবে। ২৯ নভেম্বর শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি। এর পর সেটি ক্রমশ উত্তর দিকে এগোতে থাকবে। ২ রা ডিসেম্বর সেটি পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। আর বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে পূর্বাভাস মিলে গেলে মিগজাউম এর জন্য রাজ্যে শীতকালীন চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে বাড়তে পারে কাঁচা সবজির দাম। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলা৷ কিন্তু মিগজাউম? তৈরী হলে এটা কিন্তু সাঙ্ঘাতিক শক্তিশালী হবে। শুধু মিগজাউম নয়, তার আগে বাংলার মানুষকে ফেস করতে হবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে বৃহস্পতিবার। এই মুহূর্তে দুটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। সঙ্গে রয়েছে একটি অক্ষরেখা। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তামিলনাডু উপকূল এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং অন্য ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে পুরোপুরি কোমোরিন এলাকায়। শ্রীলংকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় পর্যন্ত একটি পুবালি অক্ষরেখাও রয়েছে।

সাধারণত বর্ষা বিদায়ের পর থেকেই ধীরে ধীরে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় দখিনা বাতাসের পরিবর্তে শুষ্ক, ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করে। তার জেরেই তাপমাত্রা নামে। তবে বঙ্গোপসাগরে আচমকা কোনও ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ তৈরি হলে উত্তুরে হাওয়া বাধা পায়। তাতে তাপমাত্রার পতনও থমকে যায়। যদিও আপাতত তেমন কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। তাহলে কী এরমধ্যেই জাঁকিয়ে শীত পড়ার দিনক্ষণ ঠিক? অলরেডি ২০ ডিগ্রির নিচে গেছে পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা। সপ্তাহের শেষ দিকে যা ১৫ ডিগ্রিতে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে।আগামী চার পাঁচ দিনে পশ্চিমবঙ্গের কম-বেশি জেলাগুলোতেই দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমবে। তবে রাজ্যে শীতের অনুকূল পরিস্থিতি থাকলেও পাকাপাকিভাবে এখনই শীত নয়, বলছেন আবহবিদরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version