শ্রীনগরে মিগ ২৯ ডেপ্লয়, ভারতের ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রনকে চিনে নিন ! সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ছক ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

১৫ অগাস্টের আগে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্ল্যান ভারতের? শ্রীনগরে কড়া পাহাড়া বসিয়ে দিল নয়াদিল্লি। মিগ ২৯ এর চোখ ঘুরছে, চীন-পাকিস্তানকে দেবে যোগ্য জবাব। কিন্তু, হঠাৎ মিগ ২১ কে রিপ্লেসের ডিসিশন কেন? “ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন” সেফ গার্ড করবে ভারতকে। রাতের অন্ধকারেই স্পেশ্যাল অপারেশনের ছক? বড় কিছু ঘটতে চলেছে? অভিনন্দন বর্তমান কে মনে আছে? ফের একবার রিস্ক নিচ্ছে ভারত। বালাকোট সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ডিটো? ২০২৩ এর ১৫ অগাস্ট। বড় প্ল্যান ভারতের? রাতারাতি অভিনন্দনের মিগ ২১ সরলো রিপ্লেস করলো মিগ ২৯ ফাইটার জেট স্কোয়াড্রন।

জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তায় বড় পদক্ষেপ। ভারতের টার্গেট চীন-পাকিস্তান। কিন্তু শ্রীনগর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হঠাৎ করে কেন ডেপ্লয় করা হলো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ ? উপত্যকার সুরক্ষার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পালটা আঘাত হানার দায়িত্ব ‘ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন’-কে দেওয়া হয়েছে। মিগ ২৯ যুদ্ধবিমানগুলি যে স্কোয়াড্রনের অংশ তার পোশাকি নাম ট্রাইডেন্ট। মিগ ২৯, একেবারে খতরনাক। যুদ্ধবিমানগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক মিসাইল যা দৃষ্টিসীমার বাইরে গিয়েও আঘাত হানতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনা-নৌসেনা মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। কার্গিল যুদ্ধের সময়েও পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলিকে পর্যুদস্ত করেছিল মিগ-২৯। তাই মিগ ২৯ এর উপর অগাধ ভরসা ভারতের। ফাইটার জেট মিগ ২৯ খুব দ্রুত আঘাত হানতে পারে। রাত্রিবেলা নাইটভিশন গগলস দিয়ে কাজ করতে পারে। এয়ার টু এয়ার রিফুয়েলিং ক্ষমতা রয়েছে এই ফাইটার জেটটির। সীমান্তে নজরদারি চালাতে বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ছে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানকে।

আসলে, শ্রীনগর কাশ্মীর উপত্যকার কেন্দ্রে অবস্থিত। এর উচ্চতা সমতল থেকে অনেক বেশি। ফলে এখান থেকে পাকিস্তান ও চীন দুই সীমান্ত এলাকায় সহজে নজরদারি সম্ভব। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষের যেকোনও আক্রমণের মোকাবিলাও সহজ। অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ সেই মানদণ্ড পূরণ করতে পারফেক্ট চয়েস। এতোদিন জম্মু‌ কাশ্মীরে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা ছিল। কিন্তু টেক্সট ইন স্বাধীনতা দিবসের আগে কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা উত্তোরোত্তর বাড়ছে। লাদাখে লাল ফৌজের আগ্রাসনের‌ পর থেকে পাক ও চিন সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট টেনশনে নয়াদিল্লি। তাই, দুই পড়শি দেশের মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্ত বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর।

মনে করিয়ে দিই, ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারিতে বালাকোটে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মহম্মদের আত্মঘাতি হামলায় কেঁপে ওঠে উপত্যকা। প্রাণ হারান ৪০ জন সেনা জওয়ান। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তারপরই বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের সাহায্যে পাকিস্তানের F-16 বিমান ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। আর এবার খেল দেখাবে মিগ ২৯।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version