Mamata Banerjee: উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন মমতা, রয়েছে এক সপ্তাহে ঠাসা কর্মসূচি

।। প্রথম কলকাতা।।

Mamata Banerjee: উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে এক সপ্তাহে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকালে যোগ দেবেন আত্মীয়র বিয়েতে। এরপর শুক্রবার গণবণ্টন কর্মসূচি রয়েছে পাহাড়ে। আলিপুরদুয়ারে থাকবেন শনি ও রবিবার। তারপর সোম-মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি হয়ে ফিরবেন কলকাতায়। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সরকারি পরিষেবা প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৮ ডিসেম্বর কার্শিয়াংয়ে সরকারি পরিষেবা প্রদান করবেন। ১০ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে করবেন পাট্টা বিতরণ। এই সফরে গিয়ে বেশ কয়েক দিন থাকবেন উত্তরবঙ্গে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালে উত্তরবঙ্গে বিজনেস সামিটেরও আয়োজন করা হবে। আসলে রাজারহাটের ধাঁচে উত্তরবঙ্গেও আইটি হাব গড়তে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই এই বিজনেস সামিট বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন গত জুন মাসে। জুনের পর ডিসেম্বর। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের সাত দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর।

যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা লড়াই করেই রাজ্যের বকেয়া টাকা আদায় করব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে বলেছেন, “মমতাজিকে বলুন মোদীজির সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মমতা বলেন, এর আগে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে। এবারেও আমরা দেখা করার প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়েছি।

উল্লেখ্য, এদিকে ৭ দিনের পাহাড় সফরের জের। গতবছর নবান্নে বৈঠকের পর এবছর পূর্বাঞ্চলীয় জোনাল কাউন্সিলের মিটিংয়ে গরহাজির থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বছর ঘুরলেই লোকসভার দামামা বেজে যাবে। ২০১৯ লোকসভায় উত্তরে ভালো ফল করেনি তৃণমূল। এবার তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। এককথায় বলা যায়, উত্তরে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version