।। প্রথম কলকাতা ।।
২৬/১১-র অন্যতম ভিলেন রানা এবার ভারতে। ভারতের মেজর সাকসেস। চূড়ান্ত রায়ের আগেই বড় সিদ্ধান্ত আমেরিকার। তাহাউর রানাকে পেতে চায় ভারত, পনেরো বছর আগের ইচ্ছেপূরণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ২৬/১১ মুম্বাই হামলা আজমল কাসভের ফাঁসি হয়েছে। কিন্তু আমেরিকায় বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানা। তবে আর নয়! পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু আমেরিকার। কীভাবে ফিরবে ভারতে? বড় প্রশ্ন সাল ২০০৮, মুম্বাই হামলার স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। যে হামলার সঙ্গে জড়িত রানা। তাই বছর দুয়েক আগে, মানে সাল ২০২০! অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছিল নয়া দিল্লী।
সাল ২০২৩, মে মাসে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রানার আবেদন এখন ওয়াশিংটনের নবম সার্কিট বেঞ্চে বিচারাধীন। প্রত্যর্পণের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে রানার আবেদন চলতি সপ্তাহে খারিজও হয়ে গিয়েছে। ফলে চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন প্রত্যর্পণের নির্দেশনামায় সই করতে পারবেন। সেই পথ খোলা ভিলেন রানাকে ভুলবেনা ভারত। কারণ, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে আসা ১০ লস্কর-ই-তইবা জঙ্গির মুম্বই হামলার প্ল্যানিংয়ে রানা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত, বলে অভিযোগ ভারতের। গোটা ঘটনায় জঙ্গিদের গুলিতে ৬ মার্কিন নাগরিক সহ মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়।
মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির শৈশবের বন্ধু রানাকে হাতে পেতে প্রায় দেড় দশক আগেই ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি!
কিন্তু তাতে সায় মেলেনি। পরে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ১৯৯৭ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি মোতাবেক ফের আবেদন জানায় ভারত। আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন বছর বাষট্টির তাহাউর রানার বিচার চলছিল। দীর্ঘ টানাপোড়েন এর পর বাইডেন সরকার ভারতের আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি প্রত্যর্পণের নির্দেশও দিয়েছে। এই বিষয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলছেন, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই করতে বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন। ২৬/১১ হামলায় যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত। জানিয়ে রাখি, অলরেডি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার ঘটনায় রানার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। মার্কিন আদালতের রায় জানার পর রানার প্রত্যর্পণ নিয়ে এনআইএ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে খবর। জানা গেছে, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে মুম্বই হামলায় অন্যতম চক্রী রানাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রসেস করা হবে যদিও, রানার আইনজীবীর দাবি মুম্বই হামলার সঙ্গে তার মক্কেল জড়িতই নয়।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চিচাওয়াতনিতে জন্মগ্রহণ করেন রানা। পাকিস্তানের একটি কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন। ডাক্তারি পড়ার সময় পাক জঙ্গি সংগঠন লস্করের অন্যতম সদস্য হেডলির সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সময় থেকেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে রানার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। একটা সময় পাক সেনাবাহিনীতে চিকিৎসক হিসেবেও যোগ দিয়েছিলেন রানা। তারপর, ২৬/১১র জঙ্গি হামলা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম