Headphone: কানে সর্বক্ষণ হেডফোনে গান শোনেন ওয়েবসিরিজ দেখছেন? নষ্ট হচ্ছে কান, ব্রেন, হার্টও

।। প্রথম কলকাতা ।।

Headphone: বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার সময় পুরো সময়টা কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন? কিংবা অফিসের কাজের মাঝেও তা ব্যবহার করেন? হেডফোন এবং ইয়ারফোন ছাড়া জীবন-যাপনের কথা ভাবতেই পারেন না? এমন অভ্যাস যদি আপনার থেকে থাকে তবে আপনি নিজেই নিজের কত বড় ক্ষতি করছেন জানেন? বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোমে হেডফোন এবং ইয়ারফোনের ব্যবহার বেড়েছে অনেকটাই। অনেকে রোজ বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পুরো সময়টা কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন। অনেকে রাস্তার কোলাহল, ট্রেন-বাসের হর্ন-এর আওয়াজ এড়াতে হেডফোনের ব্যবহার করেন নিয়মিত। এখন অনেকেই হেডফোন এবং ইয়ারফোন ছাড়া জীবন-যাপনের কথা ভাবতেই পারেন না। যদি এমনই অভ্যেস হয় আপনার তা হলে এখনও সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা।

যদি আপনার ইয়ারফোন বা হেডফোনগুলি বেশিরভাগ সময় আপনার কানের দিক থেকে প্লাগ করে থাকে তবে এটি ভালো লক্ষণ নয়। হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিও কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। এর ফলে চিরতরে শ্রবণ শক্তি হারাতে পারেন। তাই দীর্ঘ সময় হেডফোনের ব্যবহার করতে হলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না। কখনোই হাই ভলিউম-এ গান শুনবেন না।

ইয়ারফোন কারও সঙ্গে ভাগ না করাই ভাল। নচেৎ কিন্তু সহজেই কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই হেডফোন-এর মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে। হেডফোন কোম্পানিগুলি এখন তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্সের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে। ফলে সাউন্ড কোয়ালিটি বজায় থাকে ভালোই। বেশিরভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট। অর্থাৎ কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। যার ফলে ঝুঁকি থেকেই যায়। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউম-এ গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না।

টানা ১৫ মিনিট ১০০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় গান শুনলে বধির হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের জন্য অনেকেই কানের ব্যথা অনুভব করেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়। হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। মনে রাখবেন, কানের সঙ্গে মস্তিকের যোগাযোগ কিন্তু সরাসরি। তাই বিশেষ প্রয়োজনেই হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। তা যেন আপনার সর্বক্ষণের ব্যবহারের সামগ্রী না হয়ে দাঁড়ায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version