।। প্রথম কলকাতা ।।
KMC: কলকাতার বুকে এমন অনেক বাড়ি এখনও পর্যন্ত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাদের স্বাস্থ্য একেবারেই ভালো নয়। বহু প্রাচীন সেই বাড়িগুলি ভেঙেচুরে গিয়েছে। হয়তো সেখানে আর মালিকপক্ষের বসবাস নেই। বর্তমানে বসবাস করছেন ভাড়াটিয়া। এই ধরনের বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ায় বিগত কয়েক বছরে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে মহানগরীতে। প্রাণহানির মত ঘটনাও ঘটেছে কলকাতায়। এবার কলকাতা পুরসভার হাতে রয়েছে ক্ষমতা। কোন প্রাচীন বাড়ির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পৌরসভা চাইলেই সেটি ভেঙে ফেলতে পারবে। কারণ কলকাতা পুরসভার আইনের একটি সংশোধনী বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে।
শহরে এমন বহু বাড়ি রয়েছে যেগুলি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয় না। সেখানেই ভাড়াটিয়ারা জীবনে ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন বসবাস করছেন। পুরসভার তরফ থেকে তাদেরকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। মালিকপক্ষকে বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটিয়ারা সেখান থেকে কিছুতেই সরতে চাননি। পুরসভা কর্তৃপক্ষ ওই বিপজ্জনক বাড়িগুলি সামনে বোর্ড পর্যন্ত টাঙিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও সুরাহা মেলেনি। বাড়িগুলি সেই ভাবেই রয়েছে এখনও পর্যন্ত। যেহেতু পুরসভার হাতে তখন বাড়ি ভেঙে ফেলার মত ক্ষমতা ছিল না তাই তাঁরা ছিলেন নির্বাক দর্শক।
তবে এখন আর সেটি চলবে না। পুরসভার নতুন সংশোধিত আইনে অধিকার রয়েছে বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার। সে ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে পুরসভা কর্তৃপক্ষকে। যেই বাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার আগে সেখানে বসবাসকারী বাসিন্দারা কত জায়গা নিয়ে বসবাস করছিলেন সেটির পরিমাপ করতে হবে। সেই পরিমাণ জায়গা উল্লেখ করে ওই বাসিন্দাদের বসবাসের শংসাপত্র দিতে হবে। ভেঙে ফেলা বাড়ির জায়গায় নতুন করে যদি কোন বাড়ি বা কমপ্লেক্স তৈরি হয় তবে বসবাসকারীদের সমপরিমাণ জায়গা পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বাড়ির মালিকের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে নিজের সমপরিমাণ জায়গা বুঝে নেওয়ার জন্য।
অর্থাৎ পৌরসভার তরফ থেকে কোন বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙা হলে ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ একেবারে সুরক্ষিত থাকবে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, এই বিলের আরও একটি সুবিধা রয়েছে। এক্ষেত্রে যারাই জমি রেজিস্ট্রি করবেন সরাসরি তাদের মিউটেশন হয়ে যাবে । প্রশাসনিক স্বচ্ছতা যেমন বজায় থাকবে তেমনি বিপজ্জনক বাড়ির যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থেকে মিলবে মুক্তি। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা শহরের অলিতে গলিতে থাকা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি চিহ্নিত করে তাদের তালিকা তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন, খবর পুরসভা সূত্রে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম