।। প্রথম কলকাতা ।।
৬ মাসের কাজ কমপ্লিট ৬ সেকেন্ডে? ঝড় উঠবে ইন্টারনেটে। ৬জি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি জুড়ে দিল ভারত-যুক্তরাষ্ট্রকে। সত্যিই কী ভৌত এবং ডিজিটাল জগতের পার্থক্য ঘুচে যাবে? কতটা বদলে যাবে আপনার-আমার চারিপাশ? রহস্যের আধার ৬জি। ৫জি-র থেকে কোথায় আলাদা জানেন? এমন কিছু ঘটবে, যা ধরতেই পারবে না আমাদের মস্তিষ্ক। ভূমি নয়, আকাশেও হবে কামাল। প্রযুক্তির দুনিয়ায় বড়সড় বদল। বড় বড় ছবি-ফাইল, আরও কম সময়ে আসবে হাতের মুঠোয়। ৫জি থেকে আরও এক ধাপ এগোনোর প্রস্তুতি নিল মোদী সরকার সব রেডি।
৬জি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি চালু ও নির্ভরযোগ্য সাপ্লাই চেইন তৈরির লক্ষ্যে কাজ করবে। উত্তর আমেরিকার ওয়্যারলেস সংস্থা নেক্সট জি অ্যালায়েন্স এবং ভারত ৬জি অ্যালায়েন্সের মধ্যে মউ স্বাক্ষর কমপ্লিট। বেনিফিট এক নয়, একাধিক। ৪জি, ৫জি কে পেছনে ফেলে ৬জি আরও উচ্চতর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের নেটওয়ার্ক। ৬জি পরিষেবা ইন্টারনেটে ঝড় তুলবে। ৬জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান করা যাবে। কয়েক সেকেন্ডের ভগ্নাংশে কন্ট্যাক্ট করা যাবে। বিশ্বে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাবে। ৬জি অগণিত মেশিন- গ্যাজেটকে স্থলে এবং আকাশে একসঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবে। ৬জি প্রযুক্তি এলে, ভৌত জগত এবং ডিজিটাল জগতের মধ্যকার পার্থক্য প্রায় ঘুঁচে যাবে।
মানে আমাদের পাশে যা কিছু মাটি, বায়ু, বালি, পানি, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, পদার্থের অতিক্ষুদ্র অণু, পরমাণু, ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন, সব ভৌত জগতের উপাদান। অন্যদিকে কম্পিউটার সিমুলেটড ভার্চুয়াল জগত। এই দুইয়ের মাঝে তফাৎ না থাকাই ৫জি থেকে ৬জি কে আলাদা করে দেয়। ৫জি এক মিলিসেকেন্ড অর্থাৎ, ১০০০ মাইক্রোসেকেন্ডে ২০ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য সরবরাহ করতে পারে। সেখানে, ৬জি এক মাইক্রোসেকেন্ডে এক টেরাবাইট বা ১০০০ গিগাবাইট ডেটা পাঠাতে পারবে।তফাৎটা বুঝুন। এটা অবশ্য প্রাথমিকভাবে মেশিন-টু মেশিন যোগাযোগের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে। কিন্তু এতই দ্রুতগামী, যে আমাদের মস্তিষ্কের পক্ষে এটি ধরা প্রায় অসম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, টেক্সট ইন ৬জি প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর থেকেই কারখানাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, গাড়ি চালানো যাবে, একে অপরের সঙ্গে কথা বলা যাবে, মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারবে যন্ত্র। মোদ্দা কথা, টেকনোলজি এবার কথা বলবে। কিন্তু কবে থেকে এই অসাধ্য সাধন হবে? আগেই ঠিক ছিল ভারতে দুটো পর্যায়ে ৬জি চালু হবে। প্রথম পর্যায় ২০২৩ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে। এই সময় এই প্রযুক্তির বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা নিয়ে চর্চা করা হবে। এরপর, ২০২৫ থেকে ২০৩০-এর মধ্যে সেই ধারণাগুলো নিয়ে চলবে পরীক্ষা নিরীক্ষা। তারপর, বাণিজ্যিক ভাবে চালু করা হবে ৬জি। আপাতত, ভারত আমেরিকা-উভয় দেশই নির্ভরযোগ্য ও সুরক্ষিত টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। দুই দেশই চায়, দ্রুত ৬জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করতে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই মউ স্বাক্ষর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম