।। প্রথম কলকাতা ।।
সদ্য মা হয়েছেন? কী ভাবে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন জানা আছে ? সন্তানের জন্মের পর মায়ের কাঁধে চাপে একটি নতুন প্রাণের খেয়াল রাখার গুরুদায়িত্ব। সেই সাথে নিজের শরীরও বেশ খানিকটা দুর্বল হয়ে যায়। এই সময় নিজের সুস্থ থাকাটা ভীষণ দরকার। তাই প্রয়োজন মায়েদের বিশেষ যত্নের। নতুন মায়েরা স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে মেনে চলুন বেশকিছু টোটকা। তবেই নিজেও সুস্থ থাকবেন পাশাপাশি নিজেও বাচ্চাকেও সুস্থ রাখতে পারবেন।
সন্তান জন্মের পর নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন না নিলে অজান্তেই দেহে বাসা বাঁধবে একাধিক জটিল অসুখ। আর একবার কোনও অসুখের খপ্পরে পড়লে যে আপনার পাশাপাশি ছোট্ট শিশুটিরও বিপদ বাড়বে। তাই সন্তান জন্মের পরই প্রত্যেক নতুন মা-কে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতেই হবে। নইলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না! এখন প্রশ্ন হল, কী ভাবে এই সময়টায় সন্তানের পাশাপাশি নিজের খেয়াল রাখবেন? এইসব নিয়ম মেনে চললেই আপনি অনায়াসে সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন।
এই সময় অনেক সদ্য ‘মা’ সন্তানের ভাবনায় এতটাই নিমজ্জিত হয়ে পড়েন যে তাঁরা পর্যাপ্ত সময় ঘুমান না। আর নিত্যদিনের এহেন ঘুমের অভাবেই তাঁদের গ্রাস করে ক্লান্তি। এমনকী দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে ডায়াবিটিস থেকে শুরু করে হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল সহ একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে।
অনেক মহিলাই মা হওয়ার পর অত্যন্ত চাপে পড়ে যান। আর এই কারণেই তাঁদের মনে বাসা বাঁধে অবসাদের মতো সমস্যা। তাই এই সময় অত্যধিক চাপ নেবেন না। বরং একটু চাপমুক্ত থেকে এই সময়টাকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজন পড়লে রোজ সকালবেলায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট প্রাণায়াম করুন। আশা করছি, এতেই আপনার মনের হাল বদলে যাবে। হেসে-খেলে সন্তানের সঙ্গে জীবন উপভোগ করতে পারবেন।
সন্তানের খেয়াল রাখাটাই একটা মস্ত বড় দায়িত্ব। তাই এই সময় একা হাতে সংসার, বাড়ি বা অফিস সামলাতে পারবেন না। বরং এইসব কাজ একা সামলাতে গিয়ে নিজের উপর মানসিক ও শারীরিক চাপ বহুগুণে বাড়বে। তাই এই সময়ে স্বামী বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য চান। তাঁদের সঙ্গে কাজ ভাগ করে নিন।
এই সময় ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিংকস এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। নইলে কিন্তু আপনার পাশাপাশি সন্তানও সমস্যায় পড়তে পারে। বরং শরীরের হাল ফেরাতে পাতে রাখুন মরশুমি ফল, শাক ও সবজি। কারণ এইসব খাবারে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার যা দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে।
সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছে থাকলে নিয়মিত এক্সারসাইজ করতেই হবে। বিশেষত, ডেলিভারির পর হাঁটা, জগিং বা সাঁতারের মতো এরোবিক এক্সারসাইজ করলে উপকার মিলবে বেশি। এমনকী চাইলে জিমে গিয়েও ঘাম ঝরাতে পারেন। তবে এসব কিছু করার আগে একবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন। তাহলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম