।। প্রথম কলকাতা ।।
Joshimath Disaster: গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে আছে এখন জোসীমঠের (Joshimath) দিকে। ধীরে ধীরে মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে ভারতের একটা গোটা শহর। সেই শহরবাসীর মনের অবস্থা ঠিক কতটা করুণ তা হয়ত বুঝতে পারছেন। এবার ইসরোর (ISRO) উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল আর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রায় ১২ দিনে জোসীমঠ (Joshimath) ধসেছে প্রায় ৫.৪ সেন্টিমিটার। ইতিমধ্যেই শহরবাসীকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চলছে।
২০২২-এ শেষের দিকে ২৭শে ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ এর ৮ই জানুয়ারির পর্যন্ত জোসীমঠে ঠিক কতটা আতঙ্ক গ্রাস করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ১২ দিনে একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ। ভূমি ধসের হার উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে আনতেই চিন্তা আরো বেড়েছে। যেখানে দেখা গেছে, ভূমিধসের ছাপ স্পষ্ট। ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস অর্থাৎ এই সাত মাসে জোসীমঠ ধসেছে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার।
অপরদিকে মহা বিপাকে জোসীমঠের সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের তরফ থেকে বিপদ এড়াতে হোটেল এবং বাড়িঘর ভাঙার ঘোষণা করেছে। তার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন স্থানীয়রা। তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নের বাড়ি, হোটেল ভাঙা তারা চোখের সামনে দেখতে পারচ্ছেন না। তাদের দাবি ক্ষতিপূরণ পেলেও ভিটে ছেড়ে অন্যত্র যাবেন না। সরকারি তরফ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ অনেকটা ক্ষান্ত হয়েছে।
জোশীমঠের (Joshimath) প্রায় ৭৬০টিরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমনকি মন্দির, জমি, রাস্তাতেও একই অবস্থা। ইতিমধ্যেই শহরের প্রচুর মানুষ আতঙ্কে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। আবার কেউ আশ্রয় নিয়েছেন শিবিরে। সরকারি তরফ থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে প্রায় ১৭৯ টি পরিবারে। উত্তরাখণ্ড সরকার স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে, জোসীমঠ আর বসবাসের যোগ্য নেই। অপরদিকে স্থানীয়রা দোষ দিচ্ছে প্রশাসনকে। তারা মনে করছেন, নির্মাণ কাজের জন্য জোশীমঠের এমন হাল।
গতবছরের ২৭শে ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ৮ই জানুয়ারি, এই ১২ দিনে হঠাৎ করে ভূমিধসের হার বেড়ে গিয়েছে। ধসের পরিমাণ প্রায় ৫.৪ সেন্টিমিটার। যার কারণে যে কোনো মুহূর্তে বড়সড়ো বিপর্যয় (disaster) নেমে আসতে পারে। তাই উত্তরাখন্ড (Uttarakhand) সরকার জোশীমঠ খালি করার উপর বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। হয়ত খুব শীঘ্রই লাল সতর্কতা জারি করে বিপদে থাকা বাড়িগুলি ভাঙা হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম