জয়জয়কার চন্দ্রযান ৩-র! দেখুন কীভাবে চাঁদের মাটিতে কেরামতি দেখাল ল্যান্ডার বিক্রম

।। প্রথম কলকাতা ।।

গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিল ভারত চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার। ইসরোর বিজ্ঞানীরা আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন। কারোর চোখ দিয়ে গড়াল জল। চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এবার পাখির পালকের মতো আলতো করে বিক্রমকে নামাল চন্দ্রযান ৩। গত রবিবার চাঁদের ওই অংশেই মহাকাশযান নামাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। সেই অগ্নিপরীক্ষা জিতে দেখিয়ে দিল ভারত। বিকেল সাড়ে ৫ টা বাজতেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের সাথে সাথে দেশের প্রতিটা প্রান্তের কোণায় কোণায় সকলের উত্তেজনায় বুক ধুকপুক শুরু হয়ে যায়।

অবশেষে বহু প্রতীক্ষার পর দেশের স্বপ্ন সত্যি করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাখির পালকের মতো আলতো করে নামল বিক্রম। বিজ্ঞানের ভাষায় যা সফট ল্যান্ডিং নামে পরিচিত অবতরণ করানো ইসরোর কাছে বড় পরীক্ষাই ছিল বটে কারণ শেষ তিরিশ কিলোমিটার পথেই ছড়িয়ে কাঁটা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রয়েছে একটি বড় গর্ত। পৃথিবী থেকে চাঁদের যে পৃষ্ঠটি দেখা যায় না সেইখানে অবস্থান এই ক্রেটারের। গত রবিবার সেই দক্ষিণ মেরু ছোঁয়ার আগেই ভেঙে পড়ে রাশিয়ার চন্দ্রযান।

চাঁদের মাটি ছঁলেই হল না। চন্দ্রযান ৩ -র এর পরের কাজ কী হতে চলেছে? ইসরোর বিজ্ঞানীরা এবার ল্যান্ডার এবং রোভার থেকে পাঠানো ডেটা বিশ্লেষণ করবেন এরা চাঁদে একটা গোটা দিন অর্থাৎ পৃথিবীতে যা ১৪ দিন তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। ল্যান্ডারে 3টি পেলোড এবং 2টি রোভারে রয়েছে এছাড়াও এতে 5 ধরনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রয়েছে। যা পৃথিবীতে প্রচুর ডেটা পাঠাবে। সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

রোভার শুধুই তথ্য সংগ্রহ করবে কিন্তু পৃথিবীতে সেই সব তথ্য পাঠানোর কাজ হবে ল্যান্ডারের। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানটিকে নামানোর সময় শেষের ১৫ মিনিটই আসল মুহুর্ত। শেষ পর্যন্ত পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁতে পারেনি চন্দ্রযান-২। সজোরে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে সেটি। সেই সময় প্রকাশ্যেই ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল ইসরোর তৎকালীন চেয়ারম্যান কে শিবনকে। কিন্তু স্বপ্নকে সত্যি করে দেশবাসীর কাছে এবার নায়ক হয়ে গেলেন ইসরোর বর্তরমান চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version