Pregnancy After 35: বয়স ৩৫ পেরোলেই কি গর্ভধারণে সমস্যা? কী বলছে বিশেষজ্ঞরা?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Pregnancy After 35: ৩৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া মানে মাতৃত্বের নানান সমস্যা! এমনটাই কি আপনি মনে করেন? যদি এই ধারণা মনে পুষে রাখেন তাহলে আপনি একটু ভুল করছে। বেশি বয়সে(Age) মাতৃত্ব মানে সত্যি দেরি হয়ে যাওয়া নয়। বর্তমানে বহু মহিলাই(Women) কেরিয়ার আর অফিসের(Office) কাজ সামলে একটু বেশি বয়সে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত একজন মহিলার বেশি ফার্টাইল থাকে। কিন্তু এই সময়ে একটা নতুন প্রাণ পৃথিবীতে এনে তার দায়িত্ব(Responsibility) অনেক মহিলা নিতে চান না। অনেকের আছে কেরিয়ার তৈরি করতে করতে প্রায় ৩০ বছরের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। তাই বহু মহিলা বেশি বয়সে মাতৃত্ব নিয়ে একটু চিন্তিত থাকেন।

 

চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সকে মা হওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাডভান্স ম্যাটার্নাল এজ বলা হয়। ৩৫ বছর পরেও মা হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা তৈরি হবে না। এক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই কোনো রকম রিপ্রোডাকশন ট্রিটমেন্টের। অপরদিকে বহু বিশেষজ্ঞ তিরিশের কোটা পেরোনোর পর বেশিদিন অপেক্ষা করতে বারণ করছেন। কারণ ৩০ পেরোনো মানে প্রেগনেন্সিতে জটিলতা দেখতে দেখা দিতে পারে। আসলে একজন মহিলা কখন গর্ভধারণ করবেন তা নির্ভর করে তার শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতির উপর। তার ওপর সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ মহিলার শরীরে বাসা বেঁধেছে সিস্টের মতো রোগ। জরায়ুতে সিস্ট জমলে গর্ভধারণে নানান সমস্যা দেখা দেয়।

 

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক দিক দিয়েও নানান পরিবর্তন দেখা দেবে। সুস্থ স্বাভাবিক এক সন্তানের স্বপ্ন প্রত্যেক বাবা-মায়ের। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রচুর উন্নতি হয়েছে, ৩৫ এর আগেই গর্ভধারণের কথা বলা হয়। কারণ এই সময়ের পর থেকে ডিম্ব স্ফুটনের হার কমতে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী, ১২ বছর থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত মা হওয়া সম্ভব। কিন্তু ৩৫ বছরের বেশি হয়ে গেলে তখন হবু মা কিংবা গর্ভস্থ শিশুর শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রথমবার মা হওয়ার ক্ষেত্রে আদর্শ বয়েস ধরা হয় ২৫ থেকে ৩১ বছর বয়স পর্যন্ত। যদি ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে মা হওয়ার পরিকল্পনা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে জরুরি প্রি প্রেগনেন্সি কাউন্সিলিং। এক্ষেত্রে হবু মা এবং সন্তানের সমস্যার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সার্কুলেশন জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গর্ভধারণের আগে হবু মায়ের হার্ট পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। যাদের ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং হাই প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্কতা নেওয়া

Exit mobile version