।। প্রথম কলকাতা ।।
হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কোভিড ভ্যাকসিন? গবেষণায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোভিডের মারণ থাবা যখন ক্রমেই চওড়া হচ্ছিল, তখন ভরসা জুগিয়েছিল ভ্যাকসিন। সেই ভ্যাকসিনেই নাকি লুকিয়ে মরণ ঝুঁকি? সত্যিই কি তাই? নাকি সবটাই ভুয়ো?২০১৯ সালে করোনাভাইরাস চিনে আছড়ে পড়েছিল। চিন থেকে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে এই ভাইরাস। ২০২০ সাল নাগাদ ভারতে পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখে লকডাউন জারি করতে হয়েছিল। এর পরে ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টা শুরু হয় এবং অনেক দেশ এই রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে। ২০২১ সালের মধ্যে ভারতেও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। তবে এর পাশাপাশি হঠাৎ করে অল্প বয়সীদের মধ্যে বেড়েছে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনাও। অনেকেরই দাবি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণেরই নাকি এই হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বাড়ছে।
আইসিএমআর এই অভিযোগ নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। এই সমীক্ষায ICMR কোভিড -১৯ টিকাকরণ এবং ভারতের তরুণ জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে যোগসূত্র বোঝার চেষ্টা করেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা ICMR এর তথ্য বলছে অন্য কথা। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তরুণদের আকস্মিক মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়েনি। গবেষণায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এর পিছনে রয়েছে অন্য হাজারো কারণ। কোভিড ভ্যাকসিন নয়, জীবনধারণের ধরন ও আনুসঙ্গিক নানা কারণে বেড়েছে তরুণদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েছে।
এই হার্ট অ্যাটাক বা মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ার পিছনে অন্য কারণ দেখিয়েছে ICMR। দীর্ঘদিন ধরে কোভিডে ভোগা। অত্যধিক মদ্যপান করা। যাঁরা কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরপরই খুব বেশিরকম ব্যায়াম বা শারীরিক কার্যকলাপ করেছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও এই হার্ট অ্যাটাক বাড়ার প্রবণতা বেড়েছে। ভারতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের আকস্মিক মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক কারণ এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে কোভিড ভ্যাককসিনের কোনও প্রভাব নেই।
এই সমীক্ষা উদ্দেশ্য ছিল ভারতে সুস্থ তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করা। গবেষণার আওতায় আনা হয় ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী দৃশ্যত সুস্থ ব্যক্তিদের, যাঁদের কোনও অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না এবং যাঁরা ২০২১ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ এর ৩১ মার্চের মধ্যে হঠাৎ মারা গেছেন। গবেষকরা মোট ৭২৯ জনের উপর স্টাডি করেন তাতে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়, Covid-19 টিকা ভারতে অল্প বয়স্কদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়নি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম