পাকিস্তানকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ভারতের! লস্করের মাথা খতম কীভাবে ? রহস্য ফাঁস

।। প্রথম কলকাতা ।।

পাকিস্তানের যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল ভারত। অনন্তনাগ  হামলার জের পাকিস্তানে খতম লস্করের মাথা! কীভাবে? কারা শেষ করল রিয়াজ আহমেদকে? উত্তেজনার মাঝেই কাশ্মীর নিয়ে বড়সড় দাবি পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর। পাকিস্তানীরা আর একটা এয়ারস্ট্রাইকের ভয়ে কাঁপছে। LOCর ধারের লঞ্চপ্যাড থেকে পিছু হটছে জঙ্গিরা। ১০ দিনে ৫ টা সন্ত্রাসী ঘটনা কাশ্মীরে। এবার পাকিস্তানকে সোজাসুজি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল ভারত। ভারতীয় সেনা কী বদলে ফেলছে পুরো স্ট্র্যাটেজি? রাজৌরি-উরি-বারামুল্লা ইন্ডিয়ান আর্মির শীতকালীন কৌশল ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। যখন প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে তখন পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে কিন্তু এবার যে পুরো প্ল্যানই চেঞ্জ করে ফেলেছে লস্কর-ই-তৈবা।

পাকিস্তানে এখন হইচই পাক জঙ্গিরা অনন্তনাগের হামলা করেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছে না। কারণ লস্কর অন্যতম মাথা রিয়াজ আহমেদ আর বেঁচে নেই মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়াই কাল হল তার। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে রাওয়ালকোটের আল-কুদুস মসজিদ চত্বরে অজ্ঞাতপরিচয়ের আততায়ীরা রিয়াজকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। শীর্ষ ইসলামি গেরিলা নেতা এই হত্যাকে ‘টার্গেটেড কিলিং’ বলছেন। রিয়াজের নেতৃত্বেই জানুয়ারি মাসে ধানগিরি এবং জুন মাসে ধাঙ্গরি এলাকায় নিরাপরাধ গ্রামবাসীদের হত্যা করা হয়েছিল। স্থানীয় মানুষজন তাঁকে জামাত-উদ-দাওয়া সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানতেন। এই সংগঠন একটি দাতব্য সংগঠন যা জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানীরা দাবি করছেন র ও আইবির যৌথ অপারেশন ছিল এটা। যদিও ভারতের তরফ থেকে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করা হয়নি কিন্তু পাকিস্তান যদি যুদ্ধই করতে চায় তাহলে তাদের বাঁচাবে কে?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর সোজাসাপটা বলে দিয়েছেন, কেউ যদি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় তাহলে তাদের সন্তানদেরকে অন্য কাউকে বড় করতে হবে। চন্দ্রশেখরের দাবি ভারতের শত্রুরা ভারতের উন্নতি রুখতে চাইছে কিন্তু তাদের জানতে হবে ইন্ডিয়ান আর্মি এখন কতটা উন্নত। এটা নতুন ভারত এই ভারত পিছু হটতে জানে না। ওয়াকিবহাল মহল বলছেন মন্ত্রীর মন্তব্যের মানেটা খুবই পরিস্কার। তাঁর দাবি, যদি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে ভিড়তে চায় পাকিস্তান তাহলে তাদের এই জেনারেশনটা শেষ হয়ে যাবে কার্যত। তবে এরইমাঝে দুঃসাহস দেখলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে আনোয়ারুল হক কাকারের দাবি বিশ্বের প্রতিটি ফোরামে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরবে। পাকিস্তান সব আঞ্চলিক ফোরামে এবং সব পক্ষ থেকে এই সমস্যাটির পক্ষে কথা বলবে। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আওয়াজ তুলতে থাকবে পাকিস্তান কিন্তু পাকিস্তান যদি আওয়াজ তুলে পাল্টা গর্জন করবে ভারত এটাও মনে রাখতে হবে বলছেন ভারতের কূটনৈতিক মহল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version