GDP: জিডিপিতে ব্যাপক গ্রোথ ভারতের! ‘টপ ৪’ এ জায়গা করতে পারবে দিল্লি? কী কী চ্যালেঞ্জ

।। প্রথম কলকাতা ।।

GDP: ভারতের জিডিপির অবিশ্বাস্য গ্রোথ। ভারতের জিডিপি আচমকা এতটা বাড়ল কীভাবে? অবাক গোটা বিশ্ব। টপ ৪ এ চলে আসতে পারে ভারতের নাম একটা সেক্টরে আরও বুস্ট করলে জাপানকে টপকানো যাবে? চিন মেনে নিতে পারবে তো। পাকিস্তানের কথা বলাই বৃথা। ভারতের অবনতি হোক এমন চাওয়া দেশের মুখে ছাই৷ আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করে দিল ভারত এভাবেই এগোতে থাকলে ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমির দিকে ক্লিন সুইপ। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে ৭.২ শতাংশ।

আগেই জিডিপির পরিসংখ্যান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন জানেন? কারণ এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের আসল অবস্থা জানা যায়। RBI-এর পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে অভূতপূর্ব রেজাল্ট। চতুর্থ কোয়াটারে ৭ শতাংশ আশেপাশে গ্রোথ হবে ভেবেছিল ভারত সরকার। তবে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে ৭.২ শতাংশ। আপনার মনে হতেই পারে আর্থিক বৃদ্ধি হয়ে ভালো কথা কিন্তু এ নিয়ে বিশ্বের কয়েকটা দেশে এত হইচই কেন? ভারতের সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জ ছিল তারমধ্যে সবথেকে বড় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। গোটা পৃথিবীর তাবড় তাবড় অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দার দিকে। দেখুন জার্মানির মতো বড় অর্থনীতির দেশ  রিসেশন শুর।

যদি কোনওভাবে একবার এ সুযোগে জার্মানিকে টপকে দেওয়া যায় তাহলে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে টপ ফোরে আসতে পারে ভারতের নাম আমেরিকা-চিন-জাপান, জার্মানিকে টপাকালে তার পরেই ভারত। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থায় এখন রেড অ্যালার্ম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৩ ট্রিলিয়ান মার্কিন ডলারের অর্থনীতি স্পর্শ করেছে ভারত অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ২৩ ট্রিলিয়ানের যা ভারতের থেকে প্রায় কয়েকগুণ বেশি। কিন্তু মার্কিন সরকারের ঋণ পরিমাণ বেড়ে দাঁডিয়েছে ৩১ ট্রিলিয়ান ডলারে। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রোথ রেট ছিল ২.১ শতাংশ আর এখন কোয়ার্টারলি গ্রোথ ১ শতাংশের আশেপাশে। চিনের ক্ষেত্রে সেটা অনেকটাই বেশি ৩ শতাংশ তারা টার্গেট করছে ৫।

এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতের এই গ্রোথের খবর অনেকটাই নিশ্চিন্তের বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একবার এই চার্টের দিকে নজর রাখুন।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিডিপির যে এক্সট্রা গ্রোথ হয়েছে। সেটা কৃষিক্ষেত্র ও সার্ভিস সেক্টর থেকে। আফ্রিকা, লাটিন আমেরিকাকে মিডল ইস্টকে কৃষিজ দ্রব্য রপ্তানি করছে ভারত। তবে বলা হচ্ছে যদি ম্যানুফাকচারিং দাঁড়িয়ে যায় তাহলে চড়চড় করে এগোবে কারণ উৎপাদন সেক্টর হল আসলে এটা ঘু্মন্ত হাতি। কে বলতে পারে আজ থেকে ১০ বছর পর হয়ত জাপানকেও টপকে যেতে পারে ভারত৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version