India Lithium: ভারতের লিথিয়াম কাল হবে চিনের অর্থনীতির! আমেরিকা ঝোপ বুঝে কোপ মারল

।। প্রথম কলকাতা ‌।।

India Lithium: ভারতের লাভ হলেই কি চিনের ক্ষতি হয়? ভারত লিথিয়াম পেল তাতে চিনের অর্থনীতির কোমর ভেঙে যাবে কেন? যে লিথিয়ামের ভান্ডারের হদিশ পেল ভারত তা আপনার আমার কোন কাজে লাগবে? ভারতের জ্যাকপট লেগে গেছে! হিমালয়ের গর্ভে ৫৯ লক্ষ টন লিথিয়ামের হদিস পেয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ভারতের পৌষমাসে চিনের সর্বনাশ এবার হবেই৷ বিজনেস টুডে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, ভারতের লিথিয়াম পাওয়ার খবরে চিনের ট্রেডিং ডুবে যাওয়ার বড় রিস্ক৷ চিনের ক্লাইন্টরা এক দশকে পুরোপুরি ঝুঁকে যাবে ভারতের দিকে৷

বেজিং কি আমেরিকার মতোই সুযোগ সন্ধানী হতে পারবে? কাশ্মীরে এত বিপুল সংখ্যক লিথিয়াম মেলার ফলে ভারত উঠে এসেছে তিন নম্বরে লিথিয়ামের ৯৩ লাখ টনের ভান্ডার নিয়ে দুনিয়ায় এক নম্বরে রয়েছে চিলি৷ এবার সত্যিই জ্বালানি তেল নিয়ে নয় এবার যুদ্ধ হবে ধাতু নিয়ে৷ শুনে রাখুন আমেরিকাও কিন্তু লিথিয়াম আমদানি করে৷ লিথিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয় ব্যাটারি৷ যাকে বলা ‘লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি’৷ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি না থাকলে স্মার্টফোন, ল্যাপটপের অস্তিত্বই থাকত না৷ ইলেকট্রিক গাড়ির হৃদপিন্ডই তো এই ব্যাটারি৷ লিথিয়ামের খনি তো ভারত পেল? তা নিয়ে এত হইচই কেন বলুন তো?

কারণ ভারতের আগেও জ্যাকপট পিছনে জ্যাকপট৷ চিনই হল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির সবথেকে বড় বিক্রেতা৷ বিশ্বে এই বাজারটাই এতদিন ধরে রেখেছিল চিন একেবারে বলা যায় বেজিংয়েরই একাধিপত্য ছিল লিথিয়ামের বাজারে৷ এবার জানা যাচ্ছে, চিনের থেকেও চার গুণ বেশি লিথিয়াম ভাণ্ডার রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের ওই খনিতে।

ভারত কীভাবে ড্রাগনের দেশের মুখের ভাত ছিনিয়ে নেবে বুঝতে পারছেন৷ তথ্য বলছে, ভারতের লিথিয়ামের চাহিদার ৯৬ শতাংশই আমদানিকৃত৷ তার মধ্যে চিন থেকে ৮০ শতাংশ লিথিয়াম আমদানি করে নয়া দিল্লি৷ ফলে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় ভারতকে৷ ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ভারত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি আমদানিতে ৮,৯৮৪ কোটি টাকা খরচ করেছে৷ ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ভারত ১৩,৮৩৮ কোটি টাকা খরচ করেছে৷

বিশ্বের মোট লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ৭৭ শতাংশ করে চিন৷ ভারত যেমনিই লিথিয়াম পেল অমনি ঝোপ বুঝে কোপ মারল আমেরিকা৷ ভারত লিথিয়াম খনির সন্ধান পেতেই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে দিয়েছে তাদের দেশের টপ এনার্জি অফিসিয়াল ভারত সফরে আসছেন৷ ভারত এখন জাস্ট খনির সন্ধান পেয়েছে কোনও মাইনিং করা হয়নি৷ আমেরিকা আগেই উড়ে এসে জুড়ে বসল৷ আমেরিকার প্রধান ফোকাসই থাকবে ক্লিন এনার্জির ওপর৷ কেন আমেরিকার কাছে কি লিথিয়াম নেই নাকি? উত্তর হল না নেই৷ আমেরিকার টেসলা, জিএ মোটরস এরা সকলেই লিথিয়াম আমদানি করে৷ আর এর চাহিদা কখনও ৫০ শতাংশ কখনও ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়৷ আমেরিকা ভারতের সঙ্গে এবার কি অনেক বড় চুক্তি করে ফেলতে পারে?

রিপোর্ট বলছে আমেরিকা প্রতিমূহুর্তে লিথিয়ামের নতুন সোর্স খুঁজে বেড়াচ্ছে৷ ফলে আমেরিকার ফায়দা ভারত এবার তুলবে তা প্রেডিক্ট করাই যায়৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মনির্ভর হতে গেলে ভারতকে একটি প্রযুক্তি তৈরি করতে হবে৷ যাতে তারাও দেশেই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন করতে পারে৷ তারপর ড্রাগনের দেশ বুঝতে পারবে কত ধানে আসলে কত চাল হয়৷ অবশ্য চিনকে যে বিকল্প পথ বাছতেই হবে সেটা বলা বাহুল্য৷ চিন কী বেছে নেবে? কূটনীতি নাকি বাণিজ্যনীতি?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আম্রা খবরে প্রথম

Exit mobile version