প্রধানমন্ত্রীর মুখে বড় চমক ইন্ডিয়ার! BJP হেসেখেলে গোল দেবে ? চেনেন এনাকে

।। প্রথম কলকাতা ।।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ লালু প্রসাদ যাদব! ঠিক হয়ে গেল অঙ্ক। রাহুল গান্ধী -মমতা ব্যানার্জীরা লিস্ট থেকে বাদ কেন? সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল নয় জোর অশান্তি হবে অন্য ২ দলে। বিহারের বাইরে এখনও অন্য অঙ্ক কষছেন লালুপ্রসাদ। লালুপ্রসাদ যাদব ৭৫ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার স্বপ্ন দেখছেন? একটা ইস্যুতেই ভেঙে খান খান হতে পারে বিরোধীদের জোটের স্বপ্ন সেটা বলছেন বেশিরভাগ বিশ্লেষকেরা। পিওকে-তে যা হামলা হচ্ছে তার জন্য অমিত শাহ দায়ী। শাহ কিছুই খোঁজ রাখেন না এসবের। কখনও এমন বেফাঁস মন্তব্য তো কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর গলায় এই জোট ফাঁস হয়ে উঠবে এমন ধরণের অ্যাটাকিং কথা। দেশের শাসক দলকে এধরণের অ্যাটাক ইন্ডিয়া জোট তৈরির পর সেভাবে কোনও দলের নেতাকে করতে শোনা যায়নি, কিন্তু আরজেডির প্রধান লালু প্রসাদ যাদব যেন এখন পুরো ফর্মে খেলছেন।

তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ না দেওয়া হলে কী করতে পারেন লালু প্রসাদ যাদব। বিশ্বাস করা যায় আরজেডি প্রধানকে? বিশ্বেষজ্ঞরা বলছেন বিশ্বাস তো এমূহুর্তে নীতিশ কুমার ও তার দলকে করা যাচ্ছে না কেন জানেন? দীর্ঘ জেলযাপন ও রোগভোগে জজ্জরিত হওয়ার পর জড়িয়ে জড়িয়ে এখন কথা বললেও দম যেন শেষ হয়নি বিহারের লালুর কিন্তু লালু্প্রসাদ যাদবকে সাইডে রাখুন আরজেডি থেকে কাউকে (তেজস্বী) প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় সত্যিই কি তাহলে সেটা মেনে নেবে নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড? কারণ নীতিশ কুমার তো বিহারের মসনদে বসে দেখছেন আরেক স্বপ্ন। পিএম ফেস নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের ভিতরের অবস্থাটা বলি আপনাদের।

JDU-র পক্ষ থেকে নীতীশ কুমারকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে হয়ত সেই স্বপ্ন দেখেই জোট গড়ে তুলতে প্রথমে এতটা স্পিডে দৌড়চ্ছিলেন নীতিশ, কিন্তু এই টার্গেটে তো বাধা অনেক রাহুল গান্ধীর হয়ে জোরাল সওয়াল করছেন কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। দিল্লির অর্থমন্ত্রী আতিশি সাফ জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় নেই।এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নরেন্দ্র মোদীর যোগ্য বিরোধী প্রার্থী হিসেবে দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। মানে আবারও মোদী বনাম দিদি লড়াইয়ের ডাক উঠছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে কি না এ প্রসঙ্গে কোনও মতামত দিতে রাজি হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসও। নালন্দার হরনাউত এলাকার বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ১৯৮৫ সালে সেই এলাকা থেকেই প্রথমবার জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হন নীতীশ কুমার‌। সেই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই JDU নেতা তথা মুঙ্গেসের সাংসদ রাজীব রঞ্জন সিং তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রজেক্ট করলেন। সেখানে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারতের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব শুধু জোটের হয়ে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করবেন নিজের দল থেকে কোনওধরণের প্রধানমন্ত্রীর মুখ উঠে আসতে দেবেন না এমনটাও কি হয় নাকি? ইন্ডিয়া জোটে আসলে একেবারে হযবরল অবস্থা বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।

আর আরজেডি থেকে কাউকে বাছা হলে নীতিশ কুমার চুপ থাকবেন নাকি এই দুই দলই তো কাফি গোটা জোটকে ভন্ডুল করে দিতে। এদিকে নীতিশ কুমারের ফের এনডিএ জোটে ফিরে যাওয়ার জল্পনাও রীতিমত চাউর হয়ে গিয়েছে চারিদিকে। সেখানে এখন থেকেই একটা অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে জোট ইন্ডিয়ায় এই তো দেখুন না ৩ রাজ্যে বিজেপি জেতার পরই হুট করে জোটের বৈঠক ডেকে নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাতে কার্যত রুষ্টই হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী থেকে শুরু করে বাকী দলের নেতারা তখন সবটা সামাল দিতে এগিয়ে এসেছিলেন একা লালুই। সবপক্ষকেই সামাল দিয়ে তিনি ১৭ ডিসেম্বর বৈঠক ডেকেছিলেনৎপরে যদিওবা সেই সময় বদলে ১৯ ডিসেম্বর করা হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি হয়ত প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন দেখছেন না বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ লালু প্রসাদ কিন্তু বড় কোনও স্ট্র্যাটেজি তো অবশ্যই রয়েছে তার। ভারতীয় জনতা পার্টি অবশ্য এক্ষেত্রে দাবি করছে ছেলে তেজস্বীকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করতে মরিয়া লালু প্রসাদ। আর তার জন্য জাতীয় রাজনীতিতে লালু নিজেকে তুলে ধরতে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বলে অভিযোগ বিজেপির।এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ এমকে স্ট্যালিনরা যতই প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবে এই বক্তব্যকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, AICC মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেছিলেন ‘প্রধানমন্ত্রী মুখ বেছে নেওয়া আমাদের অ্যাজেন্ডায় সবচেয়ে শেষে রয়েছে। তার মানে মুখ ঠিক না করে তো লড়াই নামবে না জোট ইন্ডিয়া৷ তারপর যে মুখ নরেন্দ্র মোদীকে কীভাবে টক্কর দেয় বা আদৌ টক্কর দেওয়ার অবস্থায় থাকে কিনা তা নিয়ে আলাদা আলোচনা হতেই পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version