Avani Chaturvedi: চীনের বুক কাঁপিয়ে যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছেন ভারতের অবনী! সুখোই-৩০ এমকেআই কতটা ভয়ঙ্কর?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Avani Chaturvedi: সমুদ্রবক্ষে আগ্রাসন বাড়ছে চীনের (China)। নিজের সীমারেখা বাড়াতে পাগলের মত চীন অন্যের দেশের বর্ডারে ঢুকে পড়ছে। এবার চীনকে চাপে ফেলেছে ভারত আর জাপানের যৌথ যুদ্ধ মহড়া। যার কারণে বেশ সন্তুষ্ট বেজিং। এই যৌথ মহড়ায় খতরনাক যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন অবনী চতুর্বেদী (Avani Chaturvedi)। এই নাম গোটা ভারতবর্ষের কাছে চেনা। যিনি ২০১৮ সালে প্রথম একা মিগ-২১ যুদ্ধবিমান চালিয়েছিলেন। অবনী হলেন দেশের প্রথম মহিলা যুদ্ধ বিমান চালক (Fighter Pilot)। চীনের বুক কাঁপিয়ে আকাশ পথে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমান চালিয়েছেন।

ভারত এবং জাপান নিজেদের প্রতি গভীর সম্পর্ক বাড়াতে সামরিক মহড়া বাড়াচ্ছে। অপরদিকে দক্ষিণ সাগরের প্রায় বেশিরভাগ দখল নিতে চাইছে চীন। পূর্ব চীন সাগরে জনবসতিহীন জাপানের শাসিত দ্বীপের মালিকানাও চীনের চাই। তাই ভারত-জাপানের যৌথ মহড়া, চাপে ফেলেছে বেজিংকে। এই যৌথ মহড়ায় সুখোই-৩০ এমকেআই বিমান ওড়াবেন অবনী চতুর্বেদী (Avani Chaturvedi)। ২০২৩ শে জানুয়ারি মাসের ১২ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত চলেছে ‘বীর গার্ডিয়ান’ মহড়া। সেখানেই তাঁকে দেখা গিয়েছে। এই প্রথম ভারতীয় সেনার কোন মহিলা পাইলট বিদেশের মাটিতে এরিয়াল ওয়ার গেমসে অংশ নিয়েছেন। ভারতের গর্বের আরেক নাম অবনী চতুর্বেদী। ভারতে প্রথম যে তিন মহিলা ফাইটার পাইলট দেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন, তার মধ্যে একজন তিনি। অবনী সুখোই ৩০ এমকেআই চালাতে বেশ পারদর্শী। ভারতের তিনটি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে একমাত্র বায়ু সেনা, যেখানে মহিলাদের যুদ্ধের অংশে অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়াও চীন আর পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশে মহিলাদের যুদ্ধবিমান ওড়ানোর অনুমতি রয়েছে। যুদ্ধবিমান চালানো একেবারেই সহজ কথা নয়। তার আগে বেশ অনেকগুলি কঠিন প্রশিক্ষণের ধাপ পেরিয়ে আসতে হয়। অবনী মধ্যপ্রদেশের মেয়ে। সেখানেই বড় হয়েছেন। বনস্থলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে উড়ানের প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হয়েছিলেন ক্যাম্পাস অ্যাভিয়েশন স্কুলে। তারপর হায়দ্রাবাদ দুন্ডিগালে এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে ছয় মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ চলে। তারপর জয়েন করেন ভারতীয় বায়ু সেনা ফাইটার স্কোয়াড্রনে।

এই যুদ্ধ মহড়ার কথা সেই গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই চলছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং টোকিওতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের মধ্যেকার টু প্লাস টু আলোচনার আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। সেখানে দুই দেশ যৌথ সামরিক মহড়া পরিকল্পনার কথা জানায়। এছাড়াও জাপানি শিল্পের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দিল্লি। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের দৌরাত্ম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। চীনকে রুখতে ভারত-জাপানের এই দ্বিপাক্ষিক বায়ুসেনা মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মহড়ায় ছিল ভারতীয় বায়ু সেনা এবং জাপানের এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স। পাশাপাশি জাপানের চারটি এফ-২ এয়ার ক্রাফট, চারটি এফ-১৫ এয়ার ক্রাফট। অপরদিকে ভারতের তরফে ছিল চারটি সুখোই-৩০ এমকেআই, একটি আইএল-৭৮ ট্যাঙ্কার, আর দুটি সি-৭০ গ্লোব মাস্টার্স।

কি এই সুখোই-৩০ এমকেআই? যাকে ঘিরে এত হইচই?

ভারতীয় বিমান বাহিনীতে একে বলা হয় অন্যতম একটি দুর্ধর্ষ অস্ত্র এবং ভারতীয় বায়ু সেনার প্রধান স্তম্ভ। দিনের পর দিন এই বিমানের আধুনিককরণ চলছে। আকাশের শূন্য থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য এই বিমানে নতুন সংযোজন হয়েছে। এই আধুনিকরণ দেশীয় প্রযুক্তিতে করেছে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড। সুখোই-৩০ এমকেআই বিশ্বের অন্যতম সেরা চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। যদি যথাযথভাবে একে আধুনিকরণ করা যায় তাহলে গোটা এশিয়াতে এটি মারাত্মক গেম চেঞ্জার হয়ে উঠবে। এই যুদ্ধবিমান মাঝ আকাশে ডগ ফাইটে ওস্তাদ। মাটিতে থাকা শত্রু ঘাঁটি, বিমান, সামরিক ঘাঁটি মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এই বিমান। এর সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ২১২০ কিলোমিটার। সুখোই বিভিন্ন ধরনের রকেট, বম্ব, ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। এর বহন ক্ষমতা প্রায় ৮০০০ কেজি। এই বিমানে দুই জন সেনা বসতে পারবেন। এতে ফিট করা রয়েছে একটি থ্রিএমএম বন্দুক। এমনকি পারমানবিক অস্ত্র বহন করা সুখোইয়ের কাছে জলভাতের ব্যাপার। এর আগে একাধিক বিশেষজ্ঞরা, জানিয়েছিলেন যে ভারত সুখোই-৩০ এমকেআইকে ভয়ঙ্কর ঘাতক বিমান বানাতে চলেছে। অবাক করার বিষয় হল, এতে রয়েছে রাশিয়ান এসএপি-১৪ (SAP-14) জ্যামার। যার প্রধান কাজ শত্রুপক্ষের সার্ভেইল্যান্স রেডার জ্যাম করা। আমেরিকান সৈন্য যখন লাদেনকে হত্যা করে তখন পাকিস্তানের সমস্ত সার্ভেইল্যান্স রেডার যে জ্যামার দিয়ে জ্যাম করা হয়েছিল তার মতই অনেকটা কাজ করে এসএপি-১৪। তাই বলা যায় সুখোই-৩০ এমকেআই পাকিস্তান আর চীনের জন্য যে কোনো মুহূর্তে দুঃসংবাদ ডেকে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version