China India: চিন সীমান্তের ৫০ কিমি ভারতের বিমানবন্দর! দিল্লির মাস্টারস্ট্রোক ঘুম উড়ল বেজিংয়ের

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতবর্ষ ঠিক সময় বুঝে বদলা নেয়েনিলো চিনের থেকে। চিন সীমান্তের ৫০ কিমির ভিতরে ভারতের নয়া নির্মাণ। জোর ছক্কা হাঁকালো মোদী সরকার। এবার আফশোস করতেই হবে বেজিংকে। তিব্বতে একের পর এক বিমানবন্দর গড়ে তোলার জন্য। ভারতের পিথোরাগড়েই রয়েছে চিনের কাল, নজরদারি হবে সেই লেভেলে। নাই নাই করে অন্তত ৩০ টা বিমানবন্দর তিব্বতে তৈরি করে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। তাদের মধ্যে অনেকগুলো এখনও নির্মীয়মান। পাল্টা কড়া ডোজ দিল নয়া দিল্লি। চিন সীমান্ত ঘেষেই এবার ভারত বাড়িয়ে নিল তাদের বিস্তার কয়েকগুণ। চিনের সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিমি দূরে এবার চালু নয়া বিমানবন্দর।

ভাবতে পারছেন এই ঘোষণা লালফৌজের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট৷ ৫০ কিলোমিটার দুরত্ব আর কতটাই বা বর্ডারলাইনের এত কাছে নয়া দিল্লির এয়ারপোর্ট নির্মানের খবরই রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে বেজিংয়ের অন্দরে। উত্তরাখণ্ডের নৈনি সৈনি বিমানবন্দরের নাম শুনেছেন, না শুনে থাকলে শুনে নিন কারণ এখান থেকেই অ্যাকশন শুরু। ১৯৯১ সালে চিনা সীমানা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে পিথোরাগড় জেলায় এই বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল প্রশাসনের ব্যবহারের জন্য। এতদিন শুধুমাত্র বায়ুসেনার বিমান ওঠানামা করত এই এয়ারপোর্টে।

এবার সেই বিমানবন্দরে শুরু হবে বাণিজ্যিক উড়ান পরিবহন। ভারতের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা DGCA অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। কুমায়ুন এলাকার পরিবহনের উন্নতি করতেই পিথোরগড়ের এই বিমানবন্দরকে কাজে লাগানো হবে। ডিজিসিএর এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। তিব্বতে লাহসা গোঙ্গার এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে ছোট বড় ৩০ টা বিমানবন্দর তৈরি করে ফেলেছে চায়না। ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট বারবার তথ্য দিয়েছে। এক্ষেত্রে একমাত্র টার্গেটই হল ভারতের ওপর নজরদারি বাড়ানো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর মানে ভারত সীমান্ত লাগোয়া স্ট্র্যাটেজিক নির্মাণ লাগাতার বাড়াচ্ছে। একদমই তাই এক মূহুর্তের জন্যও থেমে থাকননি ভারতের প্রতিরক্ষার নীতিনির্ধারকরা। ২০২২ সালে খবর এসেছিল ভারত লাদাখে চিনের সীমান্তে কাছে আপগ্রেড করছে এক বিমানবন্দর।

রীতিমত এয়ারফিল্ড তৈরি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দৌলত বেগ ওল্ডি, ফুকচে, নওমায় এয়ারফিল্ড আপগ্রেড করার কাজ চলছে। এদিকে মারাত্মক স্ট্র্যাটেজিক এলাকা অরুনাচল প্রদেশ। যেখানে সদাসর্বদা নজর থাকে শি জিনপিংয়ের দেশেরে। সেখানেও ভারত গ্রিন ফিল্ড বিমানবন্দর তৈরির শুরু করে দিয়েছে। চিনকে চিনের ভাষাতেই জবাব দেবে ভারত৷ তবে কূটনৈতিক মহল বলছে উত্তরাখণ্ডে দু’টি বিমানবন্দর রয়েছে দিল্লি ও জয়পুর পর্যন্ত সরাসরি বিমান পাওয়া যায় উত্তরাখণ্ড থেকে। ওই রাজ্যে বিমানবন্দরের সংখ্যা বাড়লে বিমানের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে অনুমান। বলা হচ্ছে উত্তরাখন্ড রাজ্যের বিমান পরিবহনের বিরাট উন্নতি হবে এই ঘোষণার ফলে। এক ঢিলে দুই পাখি অলরেডি মেরে দিল নয়া দিল্লি৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version