India E-commerce Market: চীন আমেরিকাকে পিছনে ফেলবে ভারত! ফুলেফেঁপে উঠছে ই-কমার্স বাজার

।। প্রথম কলকাতা ।।

India E-commerce Market: ভারতে দ্রুত হারে বাড়ছে অনলাইন কেনাকাটার হার। মানুষ বাজারে গিয়ে শপিং করার থেকে বেশি পছন্দ করছেন ঘরে বসে শপিং করা। তাতেই ফুলেফেঁপে উঠছে ই-কমার্স বাজার। ভারতের ই-কমার্স বাজার যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা থেকে মনে করা হচ্ছে ২০২৮ সালের মধ্যে এটি ১৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৩ সালে দেশে অনলাইন কেনাকাটার বাজার আনুমানিক ৫৭ থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলার। এই অঙ্কটাই বছরের পর বছর বাড়তে থাকবে। পরবর্তী ৫ বছরে ছাড়িয়ে যাবে ১৬০ বিলিয়ন ডলারে।

বেইন অ্যান্ড কোম্পানির ‘দ্য হাউ ইন্ডিয়া শপস অনলাইন’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতে অনলাইন শপিংয়ে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই পরিসংখ্যানে পৌঁছানো কোনো ব্যাপারই নয়। দেশে অনলাইন খুচরো কেনাকাটার বাজার প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রায় ৮ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে ডেটা বেইন অ্যান্ড কোম্পানির অনলাইন রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০ সাল থেকে, ভারতের অনলাইন খুচরা বাজার প্রতি বছর ক্রমাগত ৮ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কোম্পানি ই-কমার্স জায়ান্ট ফ্লিপকার্টের সাথে একটি যৌথ প্রতিবেদনে বলেছে যে, ভারতীয় অনলাইন শপিং বাজার এক বছর আগের তুলনায় ২০২৩ সালে ১৭ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তুলনামূলকভাবে, এটি একটি ধীর গতি কিন্তু উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিও এর পিছনে একটা বড় কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড -১৯মহামারীর সময়টা বিশ্বব্যাপী ই-রিটেল গ্রহণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল। সেই কোভিড সংকটের স্মৃতি কিন্তু এখনও তাজা। মহামারীর কারণে সমস্ত বাজারে বিভিন্ন স্তরে অনলাইন কেনাকাটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপরদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো উন্নত বাজারে, ই-রিটেল এন্ট্রির বার্ষিক বৃদ্ধি প্রাক-মহামারী স্তরের তুলনায় সামান্য কম। অনলাইন কেনাকাটার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সত্ত্বেও, ভারতে মোট খুচরা ব্যয়ে ই-কমার্সের অংশ মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশ। ভারতের তুলনায় অর্থনৈতিক শক্তিঘর আমেরিকায়, মোট খুচরা ব্যয়ের ২৩-২৪ শতাংশ এবং চীনে ৩৫ শতাংশের বেশি। যদি শতাংশের দিক থেকে দেখা যায়, ভারতের ই-কমার্স বাজারের বৃদ্ধি আগামী ৫ বছরে ১৬৬ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এর কারণটা কী? আসলে অনেক বড় ই-কমার্স কোম্পানি ভারতে ক্রমবর্ধমান ব্যবসার সুযোগের সুবিধা নিতে এখানে অনলাইন শপিং ইকোসিস্টেমে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যেখানে আমাজন, ওয়ালমার্ট-সমর্থিত ফ্লিপকার্টের পাশাপাশি রিলায়েন্স রিটেলের আজিও-এর মতো বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ এই বছরের শুরুতে, অ্যামাজন ২০৩০ সালের মধ্যে বাজারে অতিরিক্ত ১৫ বিলিয়ন ডলার ইনজেক্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরপর ভারতে কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version