Space station: মহাকাশে বাড়ি বানাবে ভারত, থাকা খাওয়ার নিয়ম জানেন ? গোটা বিশ্বের ভরসা ইসরো

।। প্রথম কলকাতা ।।

Space station: মহাকাশেই ফুটবল মাঠ? গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে কি বানাচ্ছে ভারত? লোহা লক্কর দিয়েই তৈরি হবে মহাকাশ স্টেশন? উড়ে যাবে আপনার মাথার উপর দিয়েই। মহাকাশের ঝুলন্ত স্পেস স্টেশনে কাদের পাঠাবে ভারত? বড় সিক্রেট ফাঁস! চীনকে টেক্কা দিতে গোটা মহাকাশটাই কিনে নিলেন মোদী? ইসরোই ভরসা। নাসার মক্সদ পূরণে মহাকাশে কোটি কোটি টাকা ঢালছে আমরিকা। মহাকাশ স্টেশন, মহাকাশে এবার নভোচারীদের বাড়ি বানাবে ভারত। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কথা কমবেশি সকলেই শুনেছেন। যেটা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তখন থেকেই এটি পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে এবার কি তারই ডিটো কপি বানাবে ভারত? হ্যাঁ মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন হবে। অর্থাৎ এবার থেকে মহাকাশে ভারতীয় মহাকাশচারীরা নিজেদের স্পেস স্টেশনেই থাকবে।

ভারতীয় মহাকাশ স্টেশনটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের তুলনায় অনেক ছোট হবে। এই মহাকাশ স্টেশনটিকে মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরীক্ষা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হবে। মহাকাশ স্টেশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা হল মহাকাশচারীদের ২০ দিনের জন্য মহাকাশে রাখা। মহাকাশ স্টেশনটি পৃথিবীর উপরে ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে তৈরি করা হবে। এই মহাকাশ স্টেশনে ১৫ থেকে ২০ দিন থাকতে পারবেন নভোশ্চররা। মিশন গগনযান সম্পূর্ণ হওয়ার পরে এই পদ্ধতিগুলি তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি মানব মিশনের পরিকল্পনাও রয়েছে ইসরোর। ভারতের বুকের ছাতি আরও চওড়া হবে। এবারের গগনযান মিশন সফল হয় তবে ভারতও আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের সারিতে যোগ দেবে। এই দেশগুলি এখনও পর্যন্ত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। জানিয়ে রাখি, প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীরা থাকতে গিয়েছিলেন ২০০০ সালে। তারপর থেকে ২০টি দেশের আড়াইশো’রও বেশি লোক ওখানে গিয়ে থেকেছেন।

এখন এর যন্ত্রপাতিগুলোর অধিকাংশই কয়েক দশকের পুরোনো হয়ে গেছে। তাই নাসা এই আইএসএসকে ডি অরবিট করে সাগরে আছড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এরমধ্যেই ভারতের গ্র্যান্ড প্ল্যানিং ফাঁস। জানা যাচ্ছে ভারতের মহাকাশ স্টেশন রোবোটিক অপারেশনের মাধ্যমে চালু করতে হবে। ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স এবং স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বুঝিয়ে দিয়েছেন মহাকাশ জয়ের দৌড়ে ভারতের বেনিফিট অনেক। নাসা আইএসএসকে কক্ষপথ থেকে নামিয়ে আনার কাজটা শুরু করবে ২০২৬ সাল থেকে। ২০৩১ সালে এটাকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে আমেরিকা এবং ভারত আগামী বছর মানে ২০২৪ এর শেষে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একজন ভারতীয় মহাকাশচারী পাঠাবে। আর সেই মহাকাশচারী নির্বাচন করবে ISRO, নাসা নয় অতএব চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যের পর আরও একটা বড় সুযোগ ভারতের হাতে।

ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স এবং স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন সদ্য ভারত সফরে এসেছেন। বেশ কতগুলো কমিটমেন্ট করেছেন। আপাতত এখন সেদিকেই নজর গোটা বিশ্বের। নেলসনই মনে করেন, ভারত ২০৪০ সালের মধ্যে নিজস্ব কমার্সিয়াল মহাকাশ স্টেশন তৈরি করে ফেলবে। যে নভোচারীদের বাড়ি বানাতে ভারত কে সাহায্য করতে তৈরি যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু আমেরিকা কেন সাহায্য করবে? স্বার্থ টা কী? বুঝতে হবে মহাকাশ নিয়ে বিশ্বের পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ভারত সেদিক থেকে বাকিদেরকে পেছনে ফেলে তরতরিয়ে এগোনোর রাস্তা পরিষ্কার করছে। শুধু ভারত নয়, বর্তমানে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলির নজর মহাকাশের দিকে। যেখানে আমেরিকার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। তাই আমেরিকা চাইছে, যাতে সমস্ত শক্তিশালী দেশগুলো একজোট হয়ে চীনের সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারে। সেই অঙ্কে চীনকে পেছনে ফেলতে ইসরো কে সাপোর্ট করার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের। আর ভারতের এই জার্নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ভারতকে তার লক্ষ্যপূরণে অনেকখানি এগিয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অতএব বেনিফিট কিন্তু দুপক্ষেরই আছে। আর, মহাকাশে একটা পোক্ত জায়গা গড়ার দৌড়ে ভারত এখন গোটা বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। জানেন আমেরিকার বোয়িং, ব্লু অরিজিন, এলএলসি, ভয়েজার স্পেস হোল্ডিংস-এর আধিকারিকরাও ISRO-র সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য এগিয়ে আসতে চাইছে। চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য ভারতের আকর্ষণ ক্ষমতা বাড়িয়েছে। যে সাফল্যের কারিগর ইসরো আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অলরেডি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরোর সঙ্গে কথা বলে ২০৩৫ সালের মধ্যে ইন্ডিয়ান স্পেস স্টেশন তৈরির ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন ভারতীয় মহাকাশচারী কীভাবে পাঠানো যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাতে বলেছেন। এখন দেখার এই স্বপ্নকে ছুঁতে, কোন পথ ধরে হাঁটবে ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version